এই শহর জুড়ে নিরন্তর ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার মাত্র কয়েকটি হয়ে ওঠে সংবাদের শিরোনাম।
ভাল আর মন্দ
সেখানে হাত ধরাধরি করে আসে। শেষ তিরিশ দিনে প্রকাশিত শহরের সেরা শিরোনামগুলি
দিয়েই বোঝা যায় কেমন
আছে এ শহর। কলকাতার হাঁড়ির হাল বুঝতে ২১ অক্টোবর ২০১৩ থেকে ২০ নভেম্বর ২০১৩-র শীর্ষ শিরোনাম।
• বাজির বাজার: বাজি বাজার শুরু হচ্ছে ২৮ অক্টোবর থেকে। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধি মেনে যে সব বাজি তৈরি হয়েছে, সেগুলিই মেলার মাঠে বিক্রি করা যাবে বলে বুধবার কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। কোনগুলি বিক্রি করা যাবে তা দেখতে ২৫ অক্টোবর তারাতলার নেচার পার্কে বাজি পরীক্ষা করেও দেখবে পুলিশ।
• ইস্টবেঙ্গলের প্রশংসা এএফসি কর্তার: এএফসি কাপ সেমিফাইনালে মেহতাবদের অভিযান থেমে গেলেও ম্যাচের সংগঠক ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এবং মাঠে হাজির সমর্থকদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন এএফসি কর্তারা। তাঁদের কথায়, “মঙ্গলবারের ম্যাচ নিয়ে কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহ বোঝাল ভারতীয় ফুটবলের সুদিন ফিরে আসতে চলেছে।” মঙ্গলবার যুবভারতীতে ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন এএফসি-র উপমহাসচিব উইন্ডসর জন। ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স দেখে খুশি এএফসি উপমহাসচিব বলেন, “এ বারের এএফসি কাপে ইস্টবেঙ্গলের পারফরম্যান্স ভারতীয় ফুটবলকে ফের তুলে ধরল এশিয়ান ফুটবলের মানচিত্রে। এই সাফল্য আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের সাফল্যকেই উজ্জ্বল করবে।” এখানেই না থেমে উইন্ডসর কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের প্রশংসা করে বলেছেন, “ম্যাচ আয়োজকদের পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্যও ধন্যবাদ প্রাপ্য। এ রকম ফুটবল-পাগল স্পোর্টিং সমর্থক খুব কম শহরেই রয়েছে।”
• জগদ্ধাত্রী পুজো দেখতে: চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো এবং আলোকসজ্জা ঘুরে দেখানোর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করছে কলকাতা ট্রাম কোম্পানি এবং চন্দননগর পুরসভা। আগামী ৯ থেকে ১১ নভেম্বর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাস ও সাধারণ বাসে করে দর্শনার্থীদের নিয়ে যাওয়া হবে সেখানে। এসি বাসে ভাড়া লাগবে ১১০০ টাকা এবং সাধারণ বাসে মাথাপিছু ভাড়া ৬৫০ টাকা করে। সিটিসি সূত্রে জানা গিয়েছে, চা, স্ন্যাকস্, রাতের খাবার এবং পানীয় জলও দেওয়া হবে বাসের যাত্রীদের। এ সবের মূল্য ধরা থাকছে টিকিটের মধ্যেই। ওই তিন দিন দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটের মধ্যে ধর্মতলা থেকে ছাড়বে বাসগুলি। ৩ নভেম্বর কালীপুজোর রাতে একই ভাবে বাসে করে দর্শনার্থীদের বারাসতে নিয়ে যাবেন ট্রাম কর্তৃপক্ষ। সাধারণ বাসে ভাড়া ঠিক হয়েছে ৫৫০ টাকা এবং এসি বাসে ১০৫০ টাকা করে।
• কচ্ছপ উদ্ধার:দুই ব্যাগ ভর্তি কচ্ছপ উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। আটক হয়েছে দুই ব্যক্তি। ধৃত বাসুদেব সরকার ও গৌর রায় ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দু’জন দু’ব্যাগ ভর্তি ছোট কচ্ছপ নিয়ে দাঁড়িয়েছিল ৩০এ বাসস্ট্যান্ডের কাছে। খবর পেয়ে সিঁথি থানার পুলিশ তাদের আটক করে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রায় ২০০টি কচ্ছপ মিলেছে তাদের থেকে। কচ্ছপগুলোকে সল্টলেকের বন্যপ্রাণী উদ্ধার কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
• সরকারের আশ্বাস:ছট পুজোয় রবীন্দ্র সরোবরে জমা জঞ্জাল পুরসভা ও সরকার সাফ করবে। শুক্রবার হাইকোর্টের দুই বিচারপতি অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেয়। লেক ক্লাব লাভার্স ও এক সংস্থা এই দূষণ বন্ধের আর্জিতে মামলা করে। তাদের আইনজীবী মুজিবর রহমান বলেন, লেকে তেল, ঘি ফেলা হয়। প্রায় ১০ হাজার পুণ্যার্থী আসেন। বেঞ্চ জানায়, পুজো এখনই বন্ধ হবে না। তবে জল দূষণ মুক্ত করার আশ্বাস মিলেছে।
• ‘যন্ত্রণাহীন প্রসব’ পিজি-তে: যন্ত্রণাবিহীন স্বাভাবিক প্রসব সফল ভাবে সম্পন্ন হল এসএসকেএমে। শুক্রবার সকালে মহেশতলার বাসিন্দা জয়ত্রী মণ্ডল প্রসবের জন্য ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তিনি যন্ত্রণাবিহীন স্বাভাবিক প্রসবের জন্য বিশেষ প্রক্রিয়া ব্যবহারে সম্মতি জানান। স্ত্রী-রোগ বিশেষজ্ঞ সুদীপ সাহার নেতৃত্বে এক চিকিৎসক দল সফল ভাবে ওই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কোনও সরকারি হাসপাতালে এমন প্রসব এই প্রথম হল। এসএসকেএমে যে কোনও প্রসূতি চিকিৎসকদের লিখিত সম্মতি দিলে যন্ত্রণাবিহীন স্বাভাবিক প্রসব পদ্ধতির সুবিধা পেতে পারেন। এই পরিষেবা মিলবে নিখরচায়। কী ভাবে প্রসব যন্ত্রণাহীন হতে পারে? সুদীপবাবু জানান, প্রসবের সময় কয়েক রকম হরমোন নির্গত হয়। যা মূলত জরায়ুর সংকোচন-প্রসারণ ঘটানোর জন্য দায়ী। একই সঙ্গে ওই হরমোনগুলি জরায়ুর কিছু স্নায়ুতন্তুর উপরেও কাজ করে। ওই তন্তুগুলি প্রসবকালীন যন্ত্রণার জন্য দায়ী। ব্যথাহীন প্রসবের জন্য স্পাইনাল কর্ডের উপরে নির্দিষ্ট অংশে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়, যা ওই তন্তুগুলিকে সাময়িক ভাবে নিষ্ক্রিয় করে দেয়। তবে এই সময় প্রসূতিকে প্রতি মুহূর্তে নজরদারিতে রাখা দরকার বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.