প্রস্তাবিত উত্তরপাড়া ফিল্মসিটির জমিতে এত দিন ইটভাটা চালিয়ে আসা অধিকাংশ ইটভাটা মালিকই মেনে নিলেন, ওই জমি আদতে কলকাতা পুরসভার। ক্ষতিপূরণের শর্তে তাঁরা ওই জমি ছেড়ে দিতেও রাজি।
জমিজট কাটাতে সোমবার কলকাতা পুরসভায় ভাটা মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুরকর্তারা। মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও ছিলেন উত্তরপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল দিলীপ যাদব। দিলীপবাবুর দাবি, ১৪ জন মালিকের মধ্যে ১১ জন ক্ষতিপূরণ পেলে সরে যাওয়ার আশ্বাস দেন। বাকি তিন জন জানান, নিজেদের জমিতেই ভাটা করেছেন। ওই তিন দাবিদারকে তিন দিনের মধ্যে জমির সত্ত্বের নথি দেখাতে বলা হয়েছে।
রাজ্যে ক্ষমতায় এসেই হুগলির উত্তরপাড়ায় গঙ্গার পাড়ে প্রায় ৪০০ বিঘে জমির উপরে একটি আধুনিক ফিল্মসিটির পরিকল্পনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অন্তত ১৫টি ইটভাটা রয়েছে। তাদের নোটিস দেওয়া হয়। কিন্তু ইটভাটা মালিকেরা জানান, জমি লিজ নিয়ে তাঁরা ব্যবসা করছেন। কেউ-কেউ দাবি করেন, নিজেদের জমিতেই ভাটা করেছেন। বেশ কিছু শ্রমিক-কর্মীও আছেন কয়েক দশক ধরে। উত্তরপাড়া-কোতরং পুরসভাকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দেয় কলকাতা পুরসভা। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে হুগলি জেলা প্রশাসন পুরো এলাকা টিনের প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ শেষ করেছে। জমিটি খালি করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকার জমি খালি করার কাজে জোর খাটাতে রাজি নয়। ইটভাটার মালিকদের সঙ্গে দফায়-দফায় কথাবার্তা চালাচ্ছে প্রশাসন। দিলীপবাবু জানান, সম্প্রতি ক্ষতিপূরণের বিনিময়ে জমি ছাড়া নিয়ে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা হয়। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ইটভাটা মালিকদের ডেকে পাঠানো হয়। এ দিনের বৈঠকে ১৫টি ভাটার মধ্যে ১৪টির প্রতিনিধি হাজির ছিলেন। যাঁরা সরতে রাজি হয়েছেন, তাঁরা কী চান জানিয়ে সোমবারের মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে শুধু আর্থিক দাবিই বিবেচিত হবে।” |
ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হল সঙ্গীতশিল্পী মান্না দে-র। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে শিল্পীর প্রস্রাবে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। পাঁচ মাস আগে কিডনির অসুখ নিয়ে বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মান্না দে। তখন থেকেই তিনি আইসিইউ-এ রয়েছেন। সোমবার রাতে ওই হাসপাতালের মুখপাত্র কে বাসুকি ও শিল্পীর চিকিৎসক সীমাপ্পা হেগড়ে জানান, মান্নাবাবুর অবস্থা সঙ্কটজনক হলেও স্থিতিশীল রয়েছে।
পুরনো খবর: হাসপাতালে ভর্তি মান্না দে
|