|
|
|
|
শহরে নয়া উড়ালপুলের ভাবনা
নিজস্ব সংবাদদাতা |
যানজট এড়ানোর চেষ্টায় যাদবপুর থানার সামনে উড়ালপুল করতে চায় রাজ্য সরকার। বিষয়টি নিয়ে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা বলেন কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভা এবং ‘সাউথ সিটি’ প্রকল্পের নির্মাতা-প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বাম আমলে ওই প্রকল্পের নির্মাতারা বেশ কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে কথা বলেছিলেন। কিন্তু প্রকল্প রূপায়িত করা যায়নি।
প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে সাউথ সিটি প্রকল্প তৈরির পর ওই রাস্তা এবং রাজা সুবোধ মল্লিক রোডের সংযোগস্থলে ব্যাপক যানজট হচ্ছে। গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সমস্যা। এ দিন বৈঠকের পর সাউথ সিটি প্রকল্পের নির্মাতা সংস্থার অন্যতম অধিকর্তা সুশীল মোহতা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রস্তাবিত প্রকল্পের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছেন। কী ভাবে সেটি রূপায়িত করা যায়, সে ব্যাপারে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন কেএমডিএ এবং কলকাতা পুরসভাকে।” প্রকল্পের অপর এক অধিকর্তা যুগল খেতওয়াত বলেন, “বেশ ক’বছর আগে আমরা রাজ্য সরকারকে বলেছিলাম ওখানে উড়ালপুল হলে আমরা ১২ কোটি টাকা দেব। মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছি, প্রকল্পটি হলে আমরা সব রকম সহযোগিতা করব।” |
|
কেএমডিএ সূত্রের খবর, যাদবপুর থেকে দক্ষিণাপণ পর্যন্ত একটি উড়ালপুলের প্রাথমিক নকশা তৈরি হয়েছে। যাদবপুর থানার সামনে থেকে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে লর্ডসের মোড় পর্যন্ত অপর একটি উড়ালপুল তৈরির ভাবনাও রয়েছে। এলাকার যান-চলাচল স্বাভাবিক রেখে কী ভাবে প্রকল্প করা সম্ভব, শীঘ্রই তা চূড়ান্ত করা হবে। সাউথ সিটি-প্রকল্পে চারটি টাওয়ারে ফ্ল্যাটের সংখ্যা ১৬৪২। আবাসিকের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারের মতো। উৎসবের মরসুমে সেখানকার শপিং কমপ্লেক্সে বাড়তি ভিড়ে যানজট আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
সাউথ সিটি আবাসিক সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “এই চত্বরে সম্প্রতি আরও একটি বহুতলের কাজ শেষ হয়েছে। যুক্ত হবে বেশ কিছু ফ্ল্যাট। এই সঙ্গে বাড়ছে রাজা সুবোধ মল্লিক রোডে গাড়ির সংখ্যা। এই অবস্থায় একটি উড়ালপুল হলে গোটা এলাকার সুবিধা হবে।” সম্ভাব্য প্রকল্পের ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে পুর সূত্রে খবর, প্রকল্পটি রূপায়ণের ও আর্থিক দায়িত্ব থাকবে কেএমডিএ-র হাতেই। |
|
|
|
|
|