|
|
|
|
তৃণমূলের ব্রিগেড পিছিয়ে জানুয়ারি
নিজস্ব সংবাদদাতা |
তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশ আবার পিছিয়ে গেল। পুর্ব ঘোষিত ২৫ নভেম্বরের বদলে এ বার বিগ্রেডের সমাবেশের দিন আগামী বছরের ৩০ জানুয়ারিতে নিয়ে গেলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বুধবার ফের পরিবর্তিত সূচি ঘোষণা করে বলেন, “রাজ্যের পাঁচ পুরসভার ভোট এবং ২৯টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনের ভোট গণনার দিন ধার্য হয়েছে ২৫ নভেম্বর। ফলে আমাদের ব্রিগেড সমাবেশের দিন বদলে ৩০ জানুয়ারি করতে হল।”
এ বার পঞ্চায়েত ভোটের কারণে দলের শহিদ দিবস ২১ জুলাই পরিবর্তন করে ২১ অগস্ট ব্রিগেডে সমাবেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু অগস্টে ভরা বর্ষায় ব্রিগেডে সমাবেশে যোগ দিতে এসে মানুষের নাজেহাল হওয়ার আশঙ্কা করে দিন বদল করে ২৫ নভেম্বর করা হয়েছিল।
সেই পরিবর্তিত দিনও এ বার বদল করা হল। তবে জুলাইতে দলের নির্দিষ্ট যে কর্মসূচি ছিল তা পিছিয়ে অগস্ট পেরিয়ে নভেম্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপরে এ বছরই আর সেই কর্মসূচি না করে আগামী বছর টেনে নিয়ে যাওয়া হল কেন? তৃণমূলের অন্দরের একাংশের ব্যাখ্যা, লোকসভা ভোট প্রায় দোরগোড়ায়। তার আগে ব্রিগেড সমাবেশ থেকেই তৃণমূল নেত্রী ভোট যুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল নিয়ে দলকে বার্তা দেবেন এটাই প্রত্যাশিত। এখনও লোকসভা ভোট ঘোষিত হয়নি। ফলে যত পিছিয়ে ব্রিগেড সমাবেশে হবে তার প্রভাব দলীয় কর্মীদের উপর তত থাকবে। তা ছাড়া, জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারিতে ব্রিগেড সমাবেশ করার কথা বামেদের। রাজ্যে প্রচারে এসে ওই কাছাকাছি সময়েই নরেন্দ্র মোদীরও ব্রিগেডে বক্তৃতা করার কথা। স্বভাবতই তৃণমূল নেতৃত্ব চাইছেন এমন সময়ে সমাবেশ করতে, প্রতিপক্ষের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যা লোকসভার প্রস্তুতি বার্তা দলের কর্মী-সমর্থকদের কাছে পৌঁছে যায়।
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায় অবশ্য বলেন, “ব্যাপারটা তা নয়। ২৫ নভেম্বর কেন করা যাবে না তা আমরা বলেছি। ডিসেম্বর মাসে বড়দিন ও নানা অনুষ্ঠান থাকে। জানুয়ারি মাসেও ২৩ তারিখ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন, তারপর ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস ইত্যাদি পালনের ব্যাপার থাকে। তাই, ৩০ জানুয়ারি ব্রিগেডে সভা করার দিন ধার্য করা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|