বিমান চলাচলের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে নিউ টাউনের বদলে সল্টলেকে ‘ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’ গড়তে চায় রাজ্য সরকার। এর জন্য সল্টলেকে পাঁচ একর জমি বরাদ্দ হয়েছে। পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম সোমবার বিষয়টি নিয়ে মহাকরণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, কলকাতায় এই প্রকল্প নির্মাণের জন্য মাস দুই আগে মুম্বইয়ের বণিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আগ্রহ জানান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার্স (ডব্লিউটিসি) কর্তৃপক্ষ। এর পরেই ডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জমি চিহ্ণিতকরণ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। ডব্লিউটিসি-কে জমিও দেখানো হয় নিউ টাউনে।
পুরমন্ত্রী বলেন, “নিউ টাউনে বেশি উঁচু বাড়ি তৈরি করলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি পেতে সমস্যা হতে পারে। এই কারণেই সল্টলেকে জমি নেওয়া হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “এমন প্রকল্প হলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও এরিক আর ডাহ্ল বলেন, “তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।”
এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে নয়াদিল্লির ‘ধূত গোষ্ঠী’কে। এই গোষ্ঠীর এমডি পবন ধূত এ দিন মহাকরণে বলেন, “বিশ্বের ৯২টি দেশের ৩২২টি শহরে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার আছে। এ দেশে আছে দু’টি শহরে।” প্রস্তাবিত ভবন কত তলার হবে বা এতে কত খরচ হতে পারে, সে আন্দাজ অবশ্য মেলেনি। পুরমন্ত্রী বলেন, “ওঁরা আগে ভবনের নকশা জমা দিন। সেটি বিমানবন্দরের ছাড়পত্র পেলে বিস্তারিত ঠিক হবে।”
প্রসঙ্গত, বাম আমলেও কলকাতায় ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার তৈরির কথা হয়েছিল। তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরেই কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ গঙ্গাতীরের একটি গুদাম ভেঙে প্রায় ৪৫তলবিশিষ্ট ভবনে এমন একটি প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিল রাজ্যকে। কিন্তু সেই সব ভাবনার কোনওটি চূড়ান্ত আকার নেয়নি। |