পশ্চিমবঙ্গে কর আদায়ের পরিমাণ কম। কিন্তু বৃদ্ধি ছাড়িয়ে গেল জাতীয় হারকে।
সোমবার কলকাতায় বড় অঙ্কের করদাতাদের পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিশেষ একটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করতে এসে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিব সুমিত বসু এ কথা জানিয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আয়কর আদায়ের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ২০১২-’১৩ অর্থবর্ষে বেড়েছে ১৫%। যেখানে জাতীয় গড় ১৩ শতাংশের নীচে। ওই সময়ে রাজ্যে উৎপাদন শুল্ক-সহ অন্যান্য কর আদায়ের পরিমাণও ছাড়িয়ে গিয়েছে জাতীয় গড়কে। পশ্চিমবঙ্গে ওই হার ২২.৪৭%। যেখানে জাতীয় গড় ২১.১০%।”
রাজ্যে শিল্পের সস্প্রসারণ প্রত্যাশিত গতিতে হচ্ছে না বলে একটা সাধারণ ধারণা বিভিন্ন মহলে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে কী করে কোম্পানি কর, আয়কর ছাড়াও অন্যান্য কর আদায় বৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের থেকে বেশি? জবাবে সুমিতবাবু বলেন, “কর আদায়ের পরিমাণ এই রাজ্যে যে উল্লেখজনক ভাবে বেশি, তা মনে করার কারণ নেই। তবে তার হার বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ এগিয়ে।” এ ব্যাপারে সুমিতবাবুর ইঙ্গিত, এই রাজ্যে কর আদায়ের পরিমাণ বেশি নয়। তাই শতাংশের হিসাবে বৃদ্ধির অঙ্ক বেশি।
বড় মাপের করদাতাদের উন্নত মানের পরিষেবা দিতে কলকাতায় ‘লার্জ ট্যাক্সপেয়ার্স ইউনিট’ (এলটিএ) নামে একটি বিশেষ কেন্দ্র চালু করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব বিভাগ। যে-পরিষেবা ওই কেন্দ্র থেকে পাওয়া যাবে, তাকে কার্যত করের একজানালা পরিষেবা বলা যায়। বিভিন্ন সংস্থার আয়কর ছাড়াও কেন্দ্রীয় উৎপাদন শুল্ক ও পরিষেবা কর সংক্রান্ত পরিষেবাও মিলবে। রাসবিহারী কানেক্টরে এ দিন ওই কেন্দ্রটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা ও কর ব্যবস্থার সংস্কার সংক্রান্ত কমিশনের চেয়ারম্যান পার্থসারথি সোম। যে-সব আয়কর বা কোম্পানি করদাতার করের পরিমাণ গত অর্থবর্ষে ১০ কোটি টাকা বা তার বেশি হয়েছে, তাঁরা এলটিইউ থেকে পরিষেবা পাবেন। যে-সব সংস্থার উৎপাদন শুল্ক বা পরিষেবা কর গত অর্থবর্ষে ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি, তারাও ওই পরিষেবার আওতায় আসবে। আপাতত অবশ্য এই পরিষেবার আওতায় আসা বাধ্যতামূলক নয়। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই এবং দিল্লিতে ওই ধরনের পরিষেবা আগেই চালু করেছে কেন্দ্র। |