পর্যাপ্ত সতর্কতা ছাড়াই চালু হওয়া টালিগঞ্জের পোড়া স্টুডিও অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। ওই স্টুডিও চালু করায় বুধবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। কী ভাবে সেটি খুলল, তা জানতে চেয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার রাজ্যের দুই মন্ত্রী জাভেদ খান এবং অরূপ বিশ্বাস দমকলের পদস্থ অফিসারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। দমকলমন্ত্রী বলেন, “স্টুডিওটি অবিলম্বে বন্ধ করে দিতে বলেছি। না করলে, সিল করে দেব।”
ম্যুর অ্যাভিনিউয়ের ওই স্টুডিওতে ৫ এপ্রিল একটি রিয়্যালিটি শো-এর শু্যটিং চলাকালীন আগুন লাগে। কয়েক জন আহত হন। এর পরে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেন, সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নিয়ে ফের স্টুডিও খোলা হবে। কর্তৃপক্ষের তরফে এ দিন দাবি করা হয়, সতর্কতামূলক সব ব্যবস্থা নিয়েই স্টুডিও খোলা হয়েছে। সরকারি পর্যবেক্ষকরা তা মানতে চাননি।
এ দিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ দুই মন্ত্রী ও সরকারি প্রতিনিধিরা স্টুডিওতে যান। পরে দমকলমন্ত্রী বলেন, “হাইড্রান্ট এবং বিদ্যুৎ-সংযোগ ব্যবস্থার সংস্কার ঠিক মতো করা হয়নি। এক লক্ষ লিটারের জলাধার করার কথা ছিল। করা হয়েছে অপেক্ষাকৃত ছোট জলাধার। জল ছেটানোর ‘স্প্রিঙ্কলার’ এবং সিসিটিভি বসানো হয়নি। চারদিকে ছড়ানো প্রচুর দাহ্য জিনিসপত্র পড়ে রয়েছে। যেকোনও মুহূর্তে আবার বড় বিপদ ঘটতে পারে।”
কিন্তু প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা না-থাকা সত্ত্বেও দমকল বিভাগ কেন স্টুডিও খোলার অনুমতি দিয়েছিল? মন্ত্রী জানান, আদালতের নির্দেশ ছিল স্টুডিওর যে অংশ পোড়েনি, তা খোলা হোক। মন্ত্রী বলেন, “সেই সুযোগ নিয়ে স্টুডিও কর্তৃপক্ষ পোড়া অংশও খুলে দিয়েছেন। এটা হতে দিতে পারি না। আজই অনুমতি প্রত্যাহারের নির্দেশ জারি হয়েছে।” স্টুডিওর মালিক অমিতাভ দাসানির প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তাঁর মোবাইলে ফোন করা ও এসএমএস পাঠানো হলেও তিনি যোগাযোগ করেননি।
|