হিমাচল প্রদেশের অসুর, উত্তর ভারতের রাবণ, ওড়িশার নরসিংহ, বাংলার নিজস্ব ছো এমন সব মুখোশ নিয়েই এক প্রামাণ্য শিল্পশালা হচ্ছে কলকাতায়। সেখানে ১ একর জায়গায় থাকবে দেশ-বিদেশের ৬০টি মুখোশ। চলছে পরিকল্পনা রূপায়ণের কাজ। ইংরেজি নববর্ষে খুলে দেওয়া হবে এটি। নিউ টাউনে ইকো পার্কের ৩ নম্বর গেটের পাশে শিশু-উদ্যানের কাছে এই প্রকল্পের দায়িত্বে ‘হিডকো’। সংস্থার চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন বলেন, “তিনটি বিভাগের একটিতে পশ্চিমবঙ্গ, দ্বিতীয়টিতে ভারতের অন্যান্য রাজ্য, তৃতীয়টিতে বিদেশের মুখোশ থাকবে। এ রাজ্যে জাদুঘর ও গুরুসদয় সংগ্রহশালার মতো কিছু জায়গায় মুখোশ রয়েছে, তবে বেশির ভাগই শো-কেসে। ফলে কাছ থেকে ভাল করে দেখা ও বৃত্তান্ত জানার সুযোগ থাকে না। প্রস্তাবিত এই শিল্পশালায় সেই সুবিধেটা থাকবে।” তিনি জানান, প্রকল্প রূপায়ণের মূল দায়িত্বে থাকছেন সংস্থার চিফ ইঞ্জিনিয়ার শ্যামাপদ চট্টোপাধ্যায়।
শ্যামাপদবাবু বললেন, “পূর্ব এশিয়ায় প্রথম মুখোশের খোঁজ মেলে। শিল্পশালার প্রথমেই থাকবে সেটি। এর পরে প্রতিটি বিভাগে নির্দিষ্ট বিন্যাসে থাকবে দেশ-বিদেশের মুখোশ।” পশ্চিমবঙ্গের ১৪টি, কেরল, ওড়িশা, অসম, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাডু, অন্ধ্র, কর্নাটক, অরুণাচল প্রদেশ মিলিয়ে ১২টি মুখোশ থাকবে। থাকবে আফ্রিকা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বলিভিয়া, জাপান, শ্রীলঙ্কা, কম্বোডিয়া, ভুটানের ৩৫টি মুখোশ। হিডকোর এক কর্তা বলেন, “ক’জন জানি, ঝাড়খণ্ড, পুরুলিয়া, ময়ূরভঞ্জের ছো-র মুখোশ তিন রকমের? এ সবের আন্দাজ মিলবে প্রস্তাবিত মুখোশশালায়।”
এই মুখোশশালার দ্রষ্টব্য তৈরি হবে ফাইবার গ্লাসে। প্রতিটি এক মিটার চওড়া, দেড় মিটার লম্বা। যাতে বেশি দিন টেকে সে জন্য ৪-৫ মিলিমিটার পুরু করা হবে। এ কথা জানিয়ে দেবাশিসবাবু বলেন, “প্রদর্শশালায় টালিতে বাঁধানো পথ ও মানানসই আলো থাকবে। টেন্ডারও ডাকা হয়েছে। খোলা আকাশের নীচে থাকায় মুখোশের আকর্ষণ যাতে নষ্ট না হয়, তার জন্য ব্যবহৃত হবে বিশেষ ধরনের রং।” |