বাল্বের মতো চকচকে একটা জিনিস। তা থেকেই বেরোয় রংবেরঙের আলো। এ বারের কালীপুজো বা দীপাবলির প্রস্তুতিতে সেই আলোই ‘হিট’। নাম ‘ডিজে ডিস্কো’।
বেশ কিছু বছর ধরেই দীপাবলির আলোর সাজে বদল এসেছে। সাধারণ বাল্ব, রাইস আলোর পরিবর্তে বাজারে এসেছে এলইডি আলো। আর এ বছর চাঁদনি থেকে এজরা স্ট্রিট, বড়বাজার-সহ জেলার স্থানীয় বাজার ছেয়ে গিয়েছে ‘ডিজে ডিস্কো’য়। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ক্রিস্টালের বলের ভিতরে চাকতিতে লাগানো থাকে আলো। তা ঘুরে ওই ক্রিস্টালে পড়ে নানা রঙের আলো বেরোয়। এর দাম ২০০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, ঝুমুর নামে আরও এক রকমের আলো এসেছে বাজারে। তবে ডিস্কো-র বিক্রিই বেশি। কলেজপড়ুয়া সৌমেন কুশারী চাঁদনিতে এসেছিলেন আলো কিনতে। বললেন, “এই আলো লেজারের মতো।” চাঁদনি চকের ব্যবসায়ী মহম্মদ আশরফের কথায়, “রাইস বা এলইডি আলোর চেন যেমন বিক্রি হচ্ছে, তেমনই বিকোচ্ছে ডিজে-ডিস্কোও।”
এজরা স্ট্রিটের ব্যবসায়ীরা মনে করেন, প্রতি বছর কালীপুজোয় নতুন আলোর চমক না দিলে বিক্রি বাড়বে না। যেমন কয়েক বছর ‘মহব্বতেঁ’ আলো বেশ বিক্রি হয়েছে। |
‘কাঁটা লগা’, রোপ বা হার্ট আলোর মালাও প্রতি বছরই বিক্রি হয়। এ বছর দামের তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি বলেই জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে চাঁদনি বাজারের সঙ্গে এজরা ও ক্যানিং স্ট্রিটে আলোর দামে ১০ থেকে ১৫ টাকার ফারাক রয়েছে।
লিলুয়া থেকে চাঁদনিতে আলো কিনতে আসা বরুণ সরকার বললেন, “রাস্তায় আলু-পটলের মতো ঢেলে আলো বিক্রি হচ্ছে। কোনটা ছেড়ে কোনটা নেব?” প্রতি বছর এই সময়ে চাঁদনি বাজারের ছবিটাই বদলে যায়। সিডি-র দোকান বদলে হয় আলোর দোকান। বাইরের লোকেরাও এ ক’টা দিন চাঁদনিতে আলোর দোকান দেন।
চাঁদনি বাজারে রাইস আলোর ৩২ ফুটের চেন বিকোচ্ছে ৪৫ টাকায়। এলইডি হলে দাম ৮০ থেকে ৯০ টাকা। মাল্টিকালার এলইডি আলো ১০০ টাকা। ২৫ টাকায় ২২ ফুটের রাইস আলোর চেনও মিলছে। আছে আলোর প্রদীপ, মোমবাতি-সহ ফুলের ঝাড় ও স্টার। এজরা স্ট্রিটে ২৫টি প্রদীপ ও মোমবাতির চেনের দাম ৫০ টাকা। ফুলের ঝাড়, স্টার আলোর দাম ১৫০ টাকা।
এজরা স্ট্রিটের এক আলো-বিক্রেতা তপন শূর বললেন, “আলোর চেনগুলি চিনে তৈরি। তা দিয়ে তৈরি বিভিন্ন নকশার আলো স্থানীয় বাজারেই তৈরি হচ্ছে। সেগুলোই বাজারে ছড়াচ্ছে।” |