সাঙ্গ হয়েছে বোধন থেকে বিসর্জন। মাত্র চারটে দিনে যেন মন ভরে না। আবার ক্যালেন্ডার মেপে ১ বছরের প্রতীক্ষা।
আনন্দের মুহূর্তগুলো কেটে গেলেও মনে তবু রেশ রয়ে গিয়েছে। একাদশীর হাত ধরে একটু পিছিয়ে গিয়ে যদি আবার
শুরুর দিনগুলোকে ফিরে দেখা যায়, তবে কেমন হয়! সেই উদ্যোগ নিয়েই এ বার সংবাদের হাওয়াবদল-এ দুগ্গার গপ্পো।
 
 
• জন্মাষ্টমীতে খুঁটি, কাঠামো পুজো দিয়ে ঢাকে কাঠি শারদোৎবের

• সারদা -কাণ্ডের প্রভাব: স্পনসরের অভাবে ফিকে পুজো

• পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক রেলশহরে: পুজোয় বিধিনিষেধ নিয়ে পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করল পুলিশ -প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর দুর্গামন্দিরে এই বৈঠক হয়। হাজির ছিলেন প্রেমবাজার পুজোকমিটি, অভিযাত্রী, বাবুলাইন, মথুরাকাটি, আদি পুজোকমিটি, সুভাষপল্লি সেবাসমিতি -সহ শহরের মোট ৯৬টি পুজো কমিটির প্রতিনিধিরা। প্রশাসনের তরফে উপস্থিত ছিলেন মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্যুতিমান ভট্টাচার্য, টাউন থানার আইসি অরুণাভ দাস, পুরপ্রধান রবিশঙ্কর পাণ্ডে, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট মৃণাল গুইন প্রমুখ। প্রশাসন সূত্রে খবর, এ দিন পুজো কমিটিগুলিকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, হাইকোর্টের বিধি অনুযায়ী রাত দশটার পর মাইক বন্ধ, পুজো মণ্ডপে ঢোকা -বেরোনোর পথ আলাদা ভাবে ও দূরত্ব মেনে করতে হবে। প্রতিমা বিসর্জনের দিন ঠিক হয়েছে ১৪ অক্টোবর। যে সব পুজো কমিটি সেই দিনে বিসর্জন দিতে পারবে না, তারা ১৭ তারিখ দেবে। তবে এর মাঝের দু’দিন কোনও প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া যাবে না। পুরসভা ও রেলকেও রাস্তা সংস্কার, পথবাতি, পুকুর সংস্কারের মতো বিষয়ে গুরুত্ব দিতে বলা হয়। নতুন করে কোনও পুজোর অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। যানজট এড়াতে এ বছর কৌশল্যা, পুরাতনবাজার এলাকার রাস্তাটি ‘একমুখী’ করে দেওয়া হবে। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। বিসর্জন, মাইক বাজানো নিয়ে কিছু নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি পুজো কমিটিগুলি এই বিধি মেনে চলবে।”

• অগ্রিম দিয়ে বিপাকে পুজো কমিটি

• পুজোর সাজেও পরিবর্তন, চাহিদা বেড়েছে সবুজের

• সুতো-রঙ অগ্নিমূল্য, পুজোর আগে সঙ্কটে কালনার তাঁতির

• রাত ১১টা পর্যন্ত বাজার খোলা

• অল্পই দুর্গা মূর্তি গড়ছেন শিল্পীর

• কুমোরটুলি চান ইসলামপুরের শিল্পীরা: খোলা আকাশের নীচে মুর্তি গড়ায় বৃষ্টি এলে কোথায় সরানো হবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তা মৃৎশিল্পীর। মৃৎশিল্পীদের দাবি, একটি কুমোরটুলি তৈরি হলে সমস্যা মিটবে। শুধু বৃষ্টি নয়, উপযুক্ত স্থান না থাকায় প্রতিমা তৈরির শুরু থেকে বিক্রি পর্যন্ত প্রতি পর্বে সমস্যা পোহাতে হয় বলে অভিযোগ। পুরসভাকে এই বিষয়ে আর্জি করা হবে বলে মৃৎশিল্পীরা জানান। পুর চেয়ারম্যান কানাইয়ালাল অগ্রবাল বলেন, “কুমোরটুলি তৈরির মতো সরকারি জমি নেই। সে কারণেই শহরে কুমোরটুলি তৈরি হয়নি।” উত্তর দিনাজপুর ইসলামপুরে প্রতিমা তৈরির পেশায় আছেন ১০ জন ও তাঁদের পরিবার। এর বেশ কিছু শিল্পী জাতীয় সড়কের ধারে মূর্তি গড়ার কাজ করে থাকেন। স্থানীয় মৃৎশিল্পী সন্তোষ পাল বলেছেন, “ইসলামপুর শহরের একটি কুমোরটুলি বিশেষ প্রয়োজন। সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া তা কিন্তু সম্ভব নয়।”


তখনও পুজো আসতে বাকি এক মাস। শুরু হয়ে গিয়েছে চালচিত্র আঁকার কাজ। নদিয়ার ঘূর্ণির প্রবীণ
শিল্পী স্বপন পাল জানান, সারা বছর কাজ চললেও পুজোর আগের তিন মাস কাজের চাপ সবচেয়ে বেশি।
এলাকা থেকে খুব কম দামে চালচিত্র কিনে নিয়ে গিয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। আড়াই
হাত দীর্ঘ একটি চালচিত্র এঁকে শিল্পীরা পান দশ -পনেরো টাকা। দিনে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা আয় হয় এঁদের।

• পুজোর বাজেট ছেঁটে যাত্রী প্রতীক্ষালয়

• মূল্যবৃদ্ধির আঁচে পুড়ছে কুমোরপাড়াও

• বিষ্ণুপুরের পট, দশাবতার ছবিতে সাজছে কলকাতা-হাওড়ার মণ্ডপ

• ফুলিয়ার উদ্ভাবন, মসলিন সুতোর ‘সফট কটন’

• পঞ্চাশে সাবেক সাজে পাত পেড়ে আয়োজন: পঞ্চাশ বছরে আলিপুরদুয়ার শহরের রামরূপ সিংহ রোড ক্লাবের পুজো। আলিপুরদুয়ার সুতলিপট্টি এলাকার এ পুজোর সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে অষ্টমীর দিন পুজো প্রাঙ্গনে থাকছে বাসিন্দাদের একযোগে খাওয়ার ব্যবস্থা। উদ্যোক্তারা জানান, এবার বাজেট কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কলকাতার কুমোরটুলির শিল্পী দিয়ে আলিপুরদুয়ারে তৈরি করা হচ্ছে দেবী দুর্গা প্রতিমা। চন্দননগরের আলো দিয়ে সাজানো হবে রাস্তা। পুজোর ক’দিন মহিলা, বয়স্কদের নিয়ে নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ঘরোয়া পরিবেশে পুজোই মূল্য লক্ষ্য। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সঞ্জয় সরকার জানান, ১৯৬৩তে শহরের সুতলিপট্টি এলাকায় এই পুজো শুরু হয়। সেই সময় এক বাসিন্দার বাড়িতেই পুজোটি করা হত। ১৯৭৮-এ এলাকার বাসিন্দা রামরূপ সিংহ পুজোর জন্য ৮ ডেসিমেল জমি দান করেন। তারপর থেকে ক্লাবের নিজস্ব জমিতেই পুজো হয়ে আসছে। এ বার সপ্তমী থেকেই মণ্ডপে শুরু হবে ধুনচি দিয়ে আরতি। পুজোর তিন দিন চলবে ধুনুচি নাচ। উদ্যোক্তাদের তরফে বাসিন্দাদের জানানো হয়েছে, অষ্টমীর দিন মহিলারা যেন লাল পাড় শাড়ি পরে মণ্ডপে আসেন। পুরুষদের আসতে হবে পাঞ্জাবি পরে। দুপুরে এলাকার ৬০০ বাসিন্দাকে পাত পেড়ে খাওয়ানো হবে দেবীর ভোগ। সঞ্জয়বাবু জানান, অষ্টমীর দিন বাসিন্দাদের খাওয়ানো হবে খিচুড়ি, বেগুন ভাজা, পটল ভাজা, কাবলি ছোলার ডালনা, লুচি পায়েস ও মিষ্টি। পুজো কমিটি-র যুগ্ম সম্পাদক জনার্দন দাস জানান, সুর্বণজয়ন্তী উপলক্ষে বাজেট পাঁচ লক্ষ টাকা। কাপড়ের উপর থার্মকল, জরির কাজে তৈরি হচ্ছে কাল্পনিক মন্দির।

• নানা আকৃতির পুতুল: চারপাশে দাঁড় করানো নানা রঙের নানা আকৃতির পুতুল। মাটিতেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক। আর তারই মধ্যে নিবিষ্ট মনে কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। তৈরি করে চলেছেন একের পর এক উলের পুতুল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপের সুভাষনগর বিধান সঙ্ঘের দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এ বার সেজে উঠতে চলেছে এমনই সব পুতুলে। পদ্মফুলের কুঁড়ির আকৃতির মণ্ডপে রঙিন পুতুল ছাড়াও দর্শনার্থীদের জন্য থাকছে আরও নানা আকর্ষণ। যেমন মণ্ডপের সামনে থাকবে পুকুর। তাতে চরবে হাঁস। জলে খেলা করবে নানা ধরনের মাছ ইত্যাদি। থাকবে আলোর নানা কারিকুরিও। মাস দুয়েক ধরে চলছে এই কর্মযজ্ঞ। রাশি রাশি নানা রঙের উল নিয়ে দিনরাত কাজ করে চলেছেন কুড়ি জন শিল্পী। গত বছরেও নানা রকমের ফল নিয়ে তৈরি এঁদের মণ্ডপ নজর কেড়ে নিয়েছিল দর্শকদের।

• গ্রামীণ ক্রেতার অপেক্ষায় পুজোর বাজার

• দক্ষিণা বাড়ছে না, প্রশিক্ষণ শিবিরে ক্ষুব্ধ পুরোহিতেরা

• পুজোর মুখে তাঁতমেলা জেলা পরিষদ ভবনে: পুজোর আগে শুরু হল জেলা তাঁতবস্ত্র প্রদর্শনী ও মেলা। এ বার ৩১ তম বর্ষ। মেদিনীপুরে জেলা পরিষদ চত্বরে সোমবার বিকেলে মেলার উদ্বোধনে হাজির ছিলেন জেলাশাসক গুলাম আলি আনসারি, সভাধিপতি উত্তরা সিংহ, অতিরিক্ত জেলাশাসক পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, বিধায়ক মৃগেন মাইতি, মহকুমাশাসক অমিতাভ দত্ত প্রমুখ। দুই মেদিনীপুর ছাড়াও বাঁকুড়া, হুগলির শিল্পীরা তাঁদের পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন। সব মিলিয়ে স্টল রয়েছে ৭৬টি। মেলা চলবে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত। জেলা হস্ততাঁত উন্নয়ন আধিকারিক মহম্মদ আজিজ মণ্ডল বলেন, “এ বার আমরা স্টলের সংখ্যা বাড়িয়েছি। আশা করি, প্রতি বছরের মতো এ বারও প্রচুর সংখ্যক মানুষ মেলায় আসবেন। কেনাকাটা করবেন।” ক্ষুদ্র ও ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্র দফতরের উদ্যোগে এবং জেলা পরিষদের সহযোগিতায় এই মেলার আয়োজন। এ দিন বিকেল থেকেই মেলায় ভিড় জমাতে শুরু করেছেন উৎসাহীরা।

• পুজোর ৫০, মরণোত্তর চক্ষু দান: সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বছরে দুর্গা পুজোয় সাবেকি মূর্তির সঙ্গে পাট ও মাদুরের তৈরির দুর্গা প্রতিমা থাকবে কিশোর সঙ্ঘের মণ্ডপে। শহরের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দেবীনগরে আলোক সজ্জার মাধ্যমে তৈরি হবে প্রায় ৭০ ফুট উঁচু আইফেল টাওয়ার। পুজোর কয়েকটা দিন মণ্ডপে থাকবে নানা ধরনের অনুষ্ঠান। পুজো কমিটির সভাপতি গৌতম দে জানান, ১৯৬৩ সাল থেকে এই ক্লাবের পুজো হয়ে আসছে। ৫০ বছর উপলক্ষে এ বার ক্লাবের নিজস্ব ময়দানে তৈরি হচ্ছে বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে কাল্পনিক মন্ডপ। পাশেই পুকুরে বাঁশের মাচার উপর প্রর্দশনীর জন্য রাখা থাকবে শিলিগুড়ি থেকে আনা শোলা, পাট ও মাদুর দিয়ে তৈরী বিশেষ দুর্গা প্রতিমা। এ দিন উদ্যোক্তাদের তরফে অমলেন্দু কুণ্ডু জানিয়েছেন, পুজোর ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ইতিমধ্যে রক্তদান শিবির করা হয়েছে। পুজোর সময় মরণোত্তর চক্ষু দানের শিবির করা হবে। মণ্ডপের পাশেই মনীষীদের ছবি-সহ তাঁদের করা নানা বক্তব্যের পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনা সংক্রান্ত প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মণ্ডপে দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকা ঢাকি ও পুরোহিতদের জন্য বিশেষ সংবর্ধনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরিবেশের কথা মাথায় রেখে মাটির দুর্গা প্রতিমার উপর প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করছেন শিলিগুড়ির শিল্পীরা। এই পুজোয় প্রায় আনুমানিক আট লক্ষ টাকা খরচ হবে। তবে তার মধ্যে বড় একটা অংশ এ বার চন্দননগরের আলোকসজ্জার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।


খলনায়ক: এ বছর দুর্গা প্রতিমা গড়ছেন না বহরমপুরের শিল্পী সীতারাম দাস। স্থানীয় একটি ক্লাবের অনুরোধ,
গড়ে দিতে হবে এমন ২৫ জনের মডেল যাঁরা বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে জেলে রয়েছেন। মঞ্চে স্থান পাবে
সুদীপ্ত সেন, বলিউডের মুন্নাভাই সঞ্জয় দত্ত থেকে ক্রিকেটার শ্রীসন্থ পর্যন্ত। পরিশ্রম কিছু বেশি, কিন্তু রোজগারও
কম নয়। শিল্পী জানালেন, অন্য বছর দুর্গা মূর্তি গড়ে যা লাভ থাকে, এ বছর তার কিছু বেশিই মিলবে তাঁর।

• বেলুন টপ চোখে না ধরলে রয়েছে চান্দেরি

• মুক্তি চাই, বড়দেবীর কাছে প্রার্থনা শিল্পীর

• দুই বাংলা মিলিয়ে দেয় মহামায়া পাটের পুজো

• পুজো এলেই কলকাতায় বদলায় পটনার বাঙালি-পাড়া

• লিনেন, রঙিন ধুতিতে বাজার মাত পুরুষদের

• পুজোর জন্য অপেক্ষায় ব্যবসায়ীরা

• মধুবালা আর ডান্সিং ফ্রকেই জাদু

• গ্রামীণ বাজারে বাড়ছে পুজোর ভিড়

• সরকার বাড়ির দু’শো বছরের পুজো জাতপাত থেকে মুক্ত

• দুই মণ্ডপের লড়াইয়ে অসমে জমছে পুজো

• কাঁধে চাপিয়ে দুর্গা বিসর্জন কাশিডায়

• মুঠো চাল জমিয়ে পুজোর খরচ চালায় ভাড্ডি গ্রাম

• শুকনো পাটে মণ্ডপ সাজছে গৌরীপুরে

• পুজোর বাজারের সুযোগ দিল্লিতে: দুর্গাপুজোয় কলকাতা চলুন। পর্যটক টানতে এই বিজ্ঞাপনে ইতিমধ্যেই দিল্লি ভরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বার পুজোর বাজারটাও দিল্লিতেই সেরে ফেলার সুযোগ করে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের হস্তশিল্প এবং তাঁতজাত পণ্য নিয়ে দিল্লি হাটে বিশেষ প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করছে তারা। পশ্চিমবঙ্গ থেকে শিল্পীদের নিয়ে এসে গত বছরও দশ দিন ধরে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এ বার ২১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর, ১৫ দিন ধরে মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দিল্লিতে নিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবে জানান, এ বারও দারুণ সাড়া মিলছে। প্রথম চার দিনেই প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ্য পণ্য বিক্রি হয়ে গিয়েছে। কাঁথা সেলাই, নকশি কাঁথা, টেরাকোটা, ঝিনুকের পণ্যের সঙ্গে থাকছে বাংলার মিষ্টি এবং কলকাতার তেলেভাজাও। শনি-রবিবার এবং মেলার শেষের দিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। রেসিডেন্ট কমিশনার জানান, দিল্লি সরকার জনকপুরীতে নতুন দিল্লি হাট খুলছে। সেখানে সারা বছর পসরা বিক্রির জন্য বিপণি ভাড়া নিচ্ছে রাজ্য।

• পুরনো প্রথাতেই সাজছে দুগ্গা

• হৈমবতীকে বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ডুয়ার্স

• ঢাকের বোলে পুজো এল কালজানির চরে

• পুজোয় বাড়তি লাভ পর্যটকের

• যাত্রা-পালা দুর্গাবাড়িতে: রথযাত্রায় কাঠামো পুজা করে মণ্ডপে প্রতিমার কাজ শুরু হয় শামুকতলার দুর্গাবাড়িতে। চার দিন মঞ্চ বেঁধে যাত্রার আসর বসে। মেলাও চলে। বাণেশ্বর থেকে পদ্ম আর ফাঁসখোয়া ঝোরা থেকে জল আনা হয় পুজোর জন্য। কোচবিহারের দিনহাটা থেকে আসেন ঢাক এবং সানাই শিল্পীরা। ৬৭ বছর ধরে চলছে এই ঐতিহ্য। পুজা কমিটির পক্ষে শিবেন পাল, রাজা চক্রবর্তী, সুভাষ ঘোষ বলেন, “সে সময় পুজো উদ্যোক্তরা নিজেরাই বাঁশ বেঁধে মঞ্চ বেঁধে যাত্রা-গানের আসর বসাতেন। বিদ্যুৎ না থাকায় গ্যাসের আলো জ্বালানো হত। পুরনো সেই ঐতিহ্য মেনে দুর্গাবাড়ির পুজোয় যাত্রার আয়োজন রাখা হয়।”

• চেন্নাই এক্সপ্রেসে ভর করে ছুটছে বাজার

• সাজ শেষে চাই লেদার ব্যাগ

• ১২ মাসে ১৩ পার্বণ: বারো মাসে তেরো পার্বণ’। বছরভর হইহুল্লোড়ের পরব হারিয়ে যেতে বসেছে। বাঙালির চিরায়ত পার্বণগুলি শারদ উৎসবে বাসিন্দাদের সামনে ধরতে এ বার দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলির বিপ্লবী সঙ্ঘের পুজোর থিম- ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ।’ ক্লাবের এই অভিনব উদ্যোগে সামিল হয়ে কাঁথি, নবদ্বীপ ও মেদিনীপুর থেকে ৫০ জন শিল্পী গত প্রায় দেড়মাস ধরে মণ্ডপ গড়ে তুলছেন। উদ্যোক্তারা জানান, গোটা হিলি বাজারের রাস্তা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত চন্দননগরের আলোর তোরণ, ফোয়ারা ও মালায় সাজার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

• শ্রমিক কমছে পটুয়াপাড়ায়, সমস্যায় বহু প্রতিমা শিল্পী

• হরিজন পল্লির পুজোয় সামিল ত্রিপুরা

• বাড়ছে খরচ, চিন্তায় অসমের পুজোকর্তারা

• অভিমান ভেঙে পুজোর আনন্দে সামিল মাথাভাঙার অসুররাও

• মূর্তি গড়ছে পরিবার, বিক্রি নিয়ে উদ্বেগ

• বায়না পাওয়ার আগে গুরুর বাড়ি জোরদার মহড়া ঢাকিদের

• দোরগোড়ায় পুজো, ভিড় জমছে পার্লারে

• প্রচলিত প্রথা ভাঙতে চান না পাঠক পরিবারের সদস্যরা


• পুজো আসছে, জানান দিতে কাশফুলে ঢেকেছে সীমান্ত


• মফস্সলের বুটিকে হিট আনারকলি-ঘিচা শাড়ি


• পুজোয় পালকি ফিরছে রাজবাড়িতে

• ৫ দিনের মনসা পুজো ফুলঘরায়: দুর্গা পুজোর তিথি নক্ষত্র মেনে ৫ দিন মনসার আরাধনা করেন বালুরঘাটের ফুলঘরা গ্রামের মানুষ। আত্রেয়ী নদীর ধারে বোয়ালদার অঞ্চলে জল জঙ্গলে ঘেরা ফুলঘরায় সাপ আধিক্য বেশি ছিল। বাসিন্দাদের কথায়, “স্বপ্নাদেশ পেয়ে গ্রামে বেদি প্রতিষ্ঠা করে বাঁশের বেড়ার মন্দিরে দুর্গাপুজোর তিথিতে শুরু হয়েছিল মনসা পুজো। তার পর সাপের দাপট কমে যায়। সেই থেকে দেবীর কৃপায় কৃতজ্ঞ হয়ে বাসিন্দারা মনসাদেবীর পুজো শুরু করেন।” কালে কালে এই বেদিতে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে পাকা মন্দির। মা মনসা বারোয়ারি মন্দির কমিটি গড়ে সেখানে দুর্গাপুজোর রীতি নিয়ম মেনে মনসার পুজো হচ্ছে। পুজো কমিটির বিনিময় মোহান্ত, রঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, “এই পুজো ৩০০ বছরের পুরনো। পুরোহিত থেকে ঢাকি, মৃৎশিল্পী বংশ পরম্পরায় পুজোর সঙ্গে যুক্ত।” পুজোর বৈশিষ্ট্য, গোটা গ্রামের মানুষ এই ক’টা দিন নিরামিষ খেয়ে পুজোয় সামিল হন।

• শিল্পীদের টানছে বাড়তি রুজি, শোলার সংসারে গিন্নি দশভুজা

• আতঙ্ক নিয়েই উপার্জনে যান খোসনগরের ঢাকিরা

• মহালয়া শুনতে ভরসা মোবাইল

• অন্য পুজো শুরু সূর্যোদয়ে


• অসুরের দাড়ি, দুর্গা পরেছেন নানা রঙের শাড়ি

• জৈন বাড়িতে দুর্গার আরাধনা

পুজো তর্পণে দুই মেদিনীপুরে প্রকাশ শতাধিক শারদ সংখ্যার

আর্ট কলেজের পড়ুয়ারাই পুজোর ‘থিম মেকার’

সাবেক ধাতু ব্যবহারের বার্তা শোনাচ্ছে মণ্ডপ

• ঠাকুর দেখার দিন গুনছেন দেবারুরা

• এ বার গ্রামেই বাজবে ঢাক, প্রথম পুজো চলবলপুরে

• হিংসার স্মৃতি ভুলে উৎসবে ৫৪ গাঁ

• দুর্গার আরাধনায় জোট বেঁধেছে প্রমীলা বাহিনী

• সপ্তমীতে পালকি নিয়ে শোভাযাত্রা গোর্খাদের

• রান্নাঘরের পাশাপাশি পাড়ার পুজোও সামলাচ্ছেন মহিলারা

• রাজসজ্জা ছেড়ে এ বার ঢাকে কাঠি মহারাজের

• পুজোর বাজারে বিক্রি বাড়ছে মোটর বাইক, মোবাইলেরও

• কাগজের তৈরি দুর্গা: ছাত্রজীবন থেকে থিমপুজোর কাজ করছেন তুহিন ঘোষ। কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্র, জলপাইগুড়ির বাসিন্দা তুহিন এই মুহূর্তে কাগজের দুর্গা বানাতে ব্যস্ত। দুর্গার সঙ্গে কাগজ আর থার্মোকল দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্যাঁচা এবং রাজস্থানী পুতুল। তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া তাঁর ক’জন ছাত্রছাত্রী রাহুল, তপন, রামানন্দ, অনির্বাণ, রিম্পা, শ্রাবণী, বর্ণালী এবং জয়শ্রী। দেড় মাস ধরে মূলত কাগজ, থার্মোকল ও রং ব্যবহার করে চলছে এই শিল্পকর্ম। তাঁর তৈরি দুর্গা, প্যাঁচা ও পুতুল দেখা যাবে জলপাইগুড়ির সেনপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির (কালীতলা রোড) দুর্গাপুজোয়। পুজো কমিটির সম্পাদক নীহার মজুমদার বলেন, ‘লোকশিল্পকে সমৃদ্ধ করার দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের থিমের পরিকল্পনা। মণ্ডপে দেখা যাবে ছোটবড় নানা মাপের প্রায় তিনশোটি প্যাঁচা। এই ধরনের প্যাঁচা বর্ধমানের জয়দেব অঞ্চলের লোকশিল্প। তা ছাড়া লক্ষ্মীর এই বাহন সমৃদ্ধিরও প্রতীক। আমরা সবার সমৃদ্ধি কামনা করি। থাকছে বেশ কয়েকটি রাজস্থানী পুতুল। আমাদের মণ্ডপটিও আর পাঁচটা মণ্ডপ থেকে আলাদা। সম্পূর্ণ উন্মুক্ত এই মণ্ডপ, জাতি ধর্ম শ্রেণি নির্বিশেষে বাঙালির ঐদার্যের এক লক্ষ এক হাজার টাকা। বিগ বাজেটের পুজো বলতে যা বোঝায়, আমাদের পুজো তা নয়। তা না হলেও এই অন্য রকম পুজো নজর কাড়বে তা বলা বাহুল্য।

• কালিম্পঙের পুরনো দুর্গা পুজো: কালিম্পংয়ের সব চেয়ে পুরোনো পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম মিলনী ক্লাবের দুর্গা পুজো। এ বছর এই পুজো পঁচাশি বছরে পা দেবে। পুজোর প্রতিষ্ঠা পুরুষ কালিম্পংয়ের আদি বাঙালি বাসিন্দা গণেশ পাইন। সে সময় পুজো হত কালিম্পং থানার উল্টো দিকে ( বর্তমান সুপার মার্কেটের জায়গায়)। দায়িত্বভার ছিল মৈত্রী সংঘের ওপর। পুজোর সূচনাকালে (১৯২৯) কালিম্পং ছিল নিরিবিলি এক পাহাড়ি জনপদ। যাতায়াতের সুব্যবস্থা ছিল না। এ পথে টয়ট্রেন চলত গেলখোলা পর্যন্ত। শিলিগুড়ি থেকে প্রতিমা টয়ট্রেনে চাপিয়ে নিয়ে আসা হত গেলখোলা পর্যন্ত। তার পর প্রতিমা নিয়ে যাওয়া গত রোপওয়ে করে। ১৯৩৫ থেকে প্রতিমা সরাসরি সড়কপথে নিয়ে আসা হয়। এ বছরও প্রতিমা আসবে শিলিগুড়ি থেকে। পুজোর সরঞ্জাম আনা হচ্ছে জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়ি বাজার থেকে। মালদা থেকে আসবে ঢাকি ও গঙ্গাজল। দশমীর পর দিন থেকে লক্ষ্মীপুজোর পর দিন পর্যন্ত বাংলা নাটক অভিনীত হত সেই সব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মুলতুবি রাখা হয়েছে। হবে না স্মরনীকা প্রকাশও বলে জানালেন ক্লাবের সভাপতি মণীন্দ্রনাথ বিশ্বাস। পুজোর কটা দিন কালিম্পং পাগাড়ের প্রায় দুশোটি বাঙালি পরিবার পুজো মণ্ডপেই খাওয়া দাওয়া সারবেন। নবমীর মহাভোজে উপস্থিত থাকবে শৈলশহরের সব সম্প্রদায়ের মানুষ।

• নিজেরা পুজো করে অন্যদেরও স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ওঁরা

• কারও খোঁজ না রাখার অভিমান নিয়েই হারিয়ে যাচ্ছে কাশবন

• দুর্গা-মুখের আরাধনায় দেবশালা

• সন্ধিক্ষণ বুঝতে সাহায্য ৫টি ঘড়ির

• কাঠ নয়, এ বছর পুজোয় বোল উঠছে লোহার ঢাকে

• মন ভাল নেই পালকি গ্রামের

• প্রহর মেনে রাগরাগিণীর আসর কাছাড়ে দেবলস্কর বাড়ির পুজোয়
 
আনন্দবাজার পত্রিকায়া প্রকাশিত পুজোর খবরের সংকলন
রোজের আনন্দবাজারএ বারের সংখ্যাসংবাদের হাওয়াবদলআপনার রান্নাঘরস্বাদবদলপুরনো সংস্করণ