|
|
|
|
|
কাঁধে চাপিয়ে দুর্গা
বিসর্জন কাশিডায় প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায় • রাঁচি |
|
দিন বদলেছে, কিন্তু ৬৬ বছরের পুরনো রীতি বদলায়নি।
পুজো যে সময় প্রথম চালু হয় তখন থেকেই কাঁধে চাপিয়ে প্রতিমাকে বিসর্জনে নিয়ে যাওয়া হত নদীতে। আজও তা-ই চলছে ঘাটশিলার কাশিডার পুজোয়। এখনও প্রতিমাকে দীর্ঘ রাস্তা কাঁধে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিসর্জন সেই পুজোর অন্যতম আকর্ষণ। ঘাটশিলায় বিসর্জন হয় সুবর্ণরেখা নদীতে। একচালা দুর্গাপ্রতিমা কাঁধে চাপিয়ে ঘাটে যেতে সময় লাগে প্রায় ৬ ঘন্টা। ‘কাশিডা বিক্রমপুর তামাক পাল দুর্গাপুজো কমিটি’র উদ্যোক্তারা জানান, দেশের স্বাধীনতার বছরেই এই পুজো শুরু হয়েছিল। ঈশ্বরের আর্শীবাদেই স্বাধীনতা মিলেছে—সে বিশ্বাস এবং সংস্কার থেকেই কাঁধে চাপিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের রীতি শুরু হয়। এলাকার বাসিন্দারা সেই সংস্কার মেনে চলেন আজও। পুরনো ঐতিহ্য বাঁচিয়ে রাখতে ঘাটশিলার ওই পুজোয় তৈরি হয় একচালার প্রতিমাই।
পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘ভারী প্রতিমা কাঁধে নিয়ে যাওয়া খুবই পরিশ্রমের কাজ। কয়েক বছর আগে একবার লরি করে প্রতিমা বিসর্জন দিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় নদীতে পৌঁছনোর আগেই মূর্তি ভেঙে যায়। তারপর থেকে লরিতে প্রতিমা তোলা হয় না।” তিনি জানান, মাঝরাস্তায় মাঝেমধ্যেই বিশ্রাম নিয়ে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয় সুবর্ণরেখায়।
বিসর্জনের মূল ‘কারিগর’ অবশ্য কাশিডার আশপাশের গ্রামের সাঁওতাল, মুণ্ডা আদিবাসীরা। তাপসবাবু জানান, কাঁধে প্রতিমা তোলার একটা কৌশল রয়েছে। সেটা আদিবাসীরাই ভালো জানেন। প্রথম থেকে এমনই হয়ে আসছে। প্রতি বছর দশমীতে ২৫-৩০ জন আদিবাসীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। |
|
|
|
|
|