|
|
|
|
|
দুই মণ্ডপের লড়াইয়ে
অসমে জমছে পুজো নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
|
পুজোয় দর্শক টানার ‘লড়াই’য়ে এক দিকে ১২০ ফুট চওড়া মণ্ডপ। অন্য দিকে, টিন-ড্রাম-কৌটোয় দুর্গামন্ত্র। গুয়াহাটির রেল কলোনির দুই ‘হেভিওয়েট’ পুজো ঘিরেই ধুন্ধুমার মালিগাঁও।
শহরে দুর্গাপুজোর অন্যতম ‘ভরকেন্দ্র’ রেল কলোনি। নটসূর্য ফণী শর্মা গোলপার্কের পুজোর মণ্ডপ গড়ছে আগরতলা রাজবাড়ির আদলে। রাজবাড়ি বলবেন না স্টেশন— তা নিয়ে অবশ্য দ্বিধায় পুজো কমিটির সম্পাদক শিবাজী দাস। গত বছর কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরই মণ্ডপে তুলে এনেছিলেন তিনি। এ বার আগরতলার রাজবাড়ি। ওই রাজবাড়ির আদলেই স্টেশন তৈরি হয়েছে আগরতলায়। স্টেশনের আদলে মণ্ডপ বলতেও তা-ই তাঁর আপত্তি নেই। রাজবাড়ি হোক বা স্টেশন-- এলাহি সেই প্রাসাদ গড়তে শিল্পী আসছেন কোচবিহারের থেকে। মণ্ডপটি চওড়ায় ১২০ ফুট। উচ্চতা ৬০ ফুট। সাবেকি প্রতিমা গড়ছেন নদে-শান্তিপুরের শিল্পী শ্রীদাম পাল। পুজোয় আঁকা, আরতি প্রতিযোগিতাও থাকছে। আলোর শিল্পী আনা হচ্ছে শ্যামনগর থেকে। এ বার তাঁদের বাজেট ৫ লক্ষ টাকা।
৫৪ বছরের নামবাড়ি সর্বজনীনের মণ্ডপে থাকবে ‘দুর্গামন্ত্র’। প্লাইউড-কাপড় নয়, সেখানে মণ্ডপ গড়ছে ড্রাম, সরষের তেলের টিন, দুধের কৌটো দিয়ে। কমিটির সম্পাদক শঙ্কর সরকারের ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিতে শিলিগুড়ি থেকে আসছেন মণ্ডপশিল্পী বুড়া ভদ্র। আলোকশিল্পীও শিলিগুড়ির। প্রতি বছরই প্রতিযোগিতায় শিরোপা জেতা ওই পুজোর সম্পাদক বলেন, “থিমের সঙ্গে আলো ও প্রতিমাটাও মানানসই হওয়া জরুরি। সোনার মুর্তির আদলে প্রতিমা গড়া হবে।” প্রতিমাশিল্পী বিষ্ণু পাল। মণ্ডপের ভিতরে জ্বলবে দু’হাজার প্রদীপ। সাড়ে ৬ লক্ষ টাকার বাজেট। পুজোয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আসর বসবে মণ্ডপ প্রাঙ্গনে। থাকবে শাঁখ বাজানো, আঁকা ও আরতি প্রতিযোগিতাও। |
|
|
|
|
|