নতুন রঙের গন্ধে ভরপুর কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি চত্বর। ৬ মাস ধরে চলছে সংস্কারের কাজ। কমবেশি সাড়ে ৮ হাজার বর্গফুটের বিশাল নাটমন্দিরের ছাদ এ বছর নতুন করে প্লাস্টার করে রং করা হচ্ছে। অন্দরমহলেও এসেছে আমুল পরিবর্তন। ঘর সাজানো হয়েছে রাজবাড়ির দুষ্প্রাপ্য ও মূল্যবান সামগ্রী এবং আসবাবপত্রে।
নাটমন্দিরে প্রাচীন কাঠের সিংহাসন ও পালকির পালিশ আর রঙের কাজ চলছে। রাজবাড়ির বধূ অমৃতা রায় বলেন, “এই পালকি আর সিংহাসন কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির অন্দরমহলেই ছিল। কিন্তু ২০০৪ সালে রাজবাড়িতে ডাকাতি হয়। সেই সময় দুষ্কৃতীরা এই সিংহাসন ও পালকির গুরুত্ব না বুঝেই ভেঙে নষ্ট করে। এর পর সংস্কারের জন্য আমরা এগুলো কলকাতার বাড়িতে নিয়ে যাই। এ বছর দেবীর দোলায় আগমন। সেই উপলক্ষেই এ বছর নাটমন্দিরে এ সব প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” |
চলছে সাফাই। —নিজস্ব চিত্র। |
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির বর্তমান বংশধর এই পরিবারের ৩৯তম পুরুষ সৌমীশচন্দ্র রায় জানান, ১৬০৫ খ্রিস্টাব্দে ভবানন্দ মজুমদারের আমলে রাজবাড়িতে অন্নপূর্ণা পুজোর প্রচলন ছিল। তখন রাজধানী ছিল নদিয়ার মাটিয়ারি। এর পর মহারাজা রাঘবের আমলে রাজধানী স্থানান্তরিত হয় কৃষ্ণনগরে। তখন কৃষ্ণনগরের নাম ছিল ‘রেউই’। রাঘবের ছেলে রুদ্ররায়ের আমলে তৈরি হয় নাটমন্দির। যত দূর জানা গিয়েছে, রুদ্ররায়ের প্রপৌত্র কৃষ্ণচন্দ্রের সময়েই দুর্গাপুজো সর্বজনীন রূপ পায়। কৃষ্ণচন্দ্রই দেবীর নাম দেন ‘রাজরাজেশ্বরী’। দেবীর এখানে যোদ্ধার বেশ।
পুজোতে তিন দিন বসবে নহবত। পুজোর তিন দিন সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমীতে যথাক্রমে ৭, ৮ ও ৯ রকম ভাজা-সহ নানা পদের ভোগ দেওয়া হবে। অষ্টমীর দিন ভোগ পোলাও, ছানার ডালনা, মিষ্টি আর সুজির হালুয়া। |