|
|
|
|
ত্রিপুরা |
রান্নাঘরের পাশাপাশি পাড়ার পুজোও সামলাচ্ছেন মহিলারা
আশিস বসু • আগরতলা |
রান্নাঘরে আটকে থাকতে নারাজ তাঁরা। পাড়ার দুর্গাপুজোর দায়িত্ব নিতেও সমান আগ্রহী সকলে। আগরতলার কয়েকটি ক্লাবের শারদোৎসবের ‘রাশ’ তা-ই নিজেদের হাতে নিয়েছেন মহিলারাই।
যেমন, অসম-আগরতলা রোড সংলগ্ন কল্যাণী অঞ্চলের ‘তরুণ সংঘ’। ওই সংগঠনের পুজো এ বার পা দিল ৫৩ বছরে। গত তিন বছর চাঁদা সংগ্রহ থেকে ভোগ বিতরণ---পুজোর খুঁটিনাটির দায়িত্বে রয়েছেন মহিলা সদস্যরাই। কমিটির কোষাধাক্ষ সোমা ভৌমিক বলেন, ‘‘থিম্ পুজোতে সকলের নজর কাড়তে আমরা তৈরি। এ বার মণ্ডপে গাছ লাগান, প্রাণ বাঁচান-এর বার্তা। সবুজায়নের দিকে সমাজের ‘দায়বদ্ধতা’ মনে করিয়ে দিতেই এই প্রয়াস।” তিনি জানান, লক্ষ্মী এবং সরস্বতী থাকবেন রঙিন পাতায়। মণ্ডপ তৈরি হয়েছে সবুজ ধানের চারা দিয়ে। কয়েক মাস আগে থেকেই সেখানে ধানের বীজ রোপন করা হয়েছে। পুজো কমিটিতে রয়েছেন ৩০-৩৫ জন মহিলা সদস্য। তাঁরাই চাঁদা তুলছেন, হিসেব কষছেন। হাওড়া নদীতে গিয়ে মঙ্গলঘটে জল নিয়ে আসেন। সোমাদেবী জানান, এ বছর বিশ্বকর্মা পুজোও করেছেন তাঁরা। সরস্বতী পুজোও করছেন তিন বছর ধরে। তাঁর কথায়, “দুর্গাপুজোয় আনন্দটাই আলাদা। আড্ডা, পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে চারদিন।”
ধলেশ্বরে জেলখানা সংলগ্ন ভারত তীর্থ ক্লাবের পুজোর দায়িত্ব এ বারই হাতে নিয়েছেন মহিলা সদস্যরা। সম্পাদক তপতী ভৌমিক মজুমদারের কথায়, ‘‘মণ্ডপ সাজানোর নকশা নিজেরাই তৈরি করেছি। নকশি কাঁথার নকলে বাঁশ-বেতের কাজে দেখানো হবে পুরনো দিনের কারুকলা। বাজেট কমেছে। খরচ বাঁচাতে নিজেরাই চুমকি দিয়ে দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতীর গয়না গড়ছি। বাড়ির মা-মাসির মতোই শাড়ি পরবেন দুর্গা।” দক্ষিণ যোগেন্দ্রনগরের সাধুটিলায় স্কুল ময়দানে পাঁচ বছর ধরে সর্বজনীন পুজো করছেন রিতা দেবনাথ, রত্না সূত্রধর, রিনা সাহারা। আড়ম্বরহীন মণ্ডপ, কিন্তু পাড়া-প্রতিবেশীদের উৎসাহ অপরিসীম। এ বার ৩৫-৪০ হাজার টাকা বাজেট। রত্নাদেবী জানান, “আর্থিক দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে সাধুটিলা। ২ টাকা চাঁদাও আমরা নিই।” |
|
|
|
|
|