পুজোর চারদিন সবার নজর কাড়তে শুধু পোশাকই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে যদি মানানসই ব্যাগ না থাকে বা জুতো যদি স্টাইলিশ না হয় তাহলে সব মাটি। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যতই কেতা দেখাও না কেন, সব বৃথা।
সুতরাং জামাকাপড় কেনার প্রায় শেষ পর্যায়ে পৌঁছে এ বার তার সঙ্গে আর যা যা লাগে সেগুলি কিনে ফেলার পালা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাই ভিড় জমতে শুরু করেছে কসমেটিক্সের দোকানে। কেউ কিনছেন বিডসের দুল তো কেউ রঙিন পাথরের হার। দোকানিরাও বসে আছেন নানা সম্ভার সাজিয়ে। মেটালের উপর বিভিন্ন রঙের পাথর বসানো গলার হার, সঙ্গে দুল, চুলের ক্লিপ এমনকী ব্রেসলেটও মিলছে রকমারি ডিজাইনের। বেনাচিতি বাজারে এমনই একটি দোকানের মালিক বলেন, “সারা বছরই এ ধরনের জিনিসের চাহিদা টুকটাক থাকে। তবে পুজোর আগে এক ধাক্কায় বিক্রি বেড়ে যায়। প্রায় ২৫ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আগে বৈচিত্র্য কম ছিল। ব্যবহারও কম ছিল। এখন বাহারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চাহিদাও।” |
বিকোচ্ছে বিড্সের হার।—নিজস্ব চিত্র। |
মেয়েরা রাস্তায় বেরোনো মানে সঙ্গে একটা ব্যাগ থাকবেই। তা সে বড় হোক বা ছোট। সেটা মাথায় রেখে নামিদামি কোম্পানি বাজরে নিয়ে এসেছে বিভিন্ন ধরণের ব্যাগ। যেমন তাদের রঙ তেমনই তাদের ডিজাইন। শপিং মল থেকে শুরু করে সাবেক বাজার, সর্বত্র মিলছে এই ব্যাগগুলি। বাজার ঘুরে দেখা গেল, লেদারের কালার ব্যাগের চাহিদায় সবচেয়ে বেশি। কম দামে একাধিক ব্যাগ না কিনে একটু বেশি দাম হলেও নামি কোম্পানির ব্যাগ কিনতে ঝুঁকছেন অনেকেই। এছাড়া পুরনো ধাঁচের বটুয়া তো গত কয়েক বছর ধরেই বাজারে জায়গা করে নিয়েছে। চাহিদা আগের থেকে কম হলেও অনেকেই শাড়ি, জামার সঙ্গে রঙ মিলিয়ে বটুয়া কিনছেন।
জামাকাপড়ের মতো নতুন জুতো না হলেও পুজো জমে না। পুজোর ক’দিন যেহেতু হাঁটাহাঁটি হয়, তাই অনেকেই একটু দেখেশুনে জুতো কেনেন। আবার অনেকের কাছে ফ্যাশনটাই শেষ কথা। পুজোয় নামিদামি কোম্পানিগুলি জুতোর নতুন নতুন মডেল নিয়ে আসে। খবরের কাগজ, টিভিতে বিজ্ঞাপনের দৌলতে সে সব মুখস্ত হয়ে যায় দোকানে যাওয়ার আগেই। দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের একটি শপিং মলে বাজার করতে এসেছিলেন তাপস মুখোপাধ্যায়। তিনি বললেন, “পুজোর সময় সবার জন্যই জুতো কিনি। এবার দেখছি সব সাইজের জুতোই বেশ ফ্যাশনেবল। বাচ্চাদের জুতোর এতো ভ্যারাইটি কোনও বছর চোখে পড়ে না।” কিন্তু এত সাজগোজের পরে যদি গা পোড়ানো রোদ ওঠে, কিংবা ঝমঝম বৃষ্টি নামে তাহলে? তাই একটা ভাল রোদ চশমা আর একটা ছাতাও ব্যাগে রাখা জরুরি। নাহলে পুরনো কালো রঙচটা ছাতায় অমন সুন্দর আনারকলি জেল্লাটা যে মাঠে মারা যাবে। |