নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
সাঁতার শিখতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হল এক যুবকের। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের একটি সুইমিং পুলে। ডিএসপি-র ওই সুইমিং পুলটি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। এর আগেও সেখানে সাঁতার কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার বিভিন্ন সুইমিং পুলের পরিকাঠামো বা অন্য কোনও সমস্যা আছে কি না তা সংশ্লিষ্ট দফতরকে দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন রাজেশ জৈন (৩৩)। তাঁর বাড়ি বিহারের ভাগলপুরের কাঞ্চননগরে। বেশ কিছু দিন ধরে ওই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ দিনও সেখানে যান। সেখানকার কর্মীরা পুলিশকে জানান, সাঁতার কাটার সময়ে এ দিন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাজেশের আত্মীয় সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালা অবশ্য অভিযোগ করেন, সুইমিং পুলের কর্মীরা রাজেশকে হাসপাতালে ফেলে দিয়ে চম্পট দেয়। তাঁর ঠিক মতো চিকিত্সা হয়নি। ওই সুইমিং পুলের পরিকাঠামো নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যে বেসরকারি সংস্থা পুলটি দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে, তার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলটি আগে ডিএসপি নিজেই পরিচালনা করত। ২০০৬ সালে বেসরকারি সংস্থাকে সেটি তারা লিজ দেয়। ২০০৭ সালের ৬ জুন সাঁতার কাটার সময়েই গুরুতর অসুস্থ হন ডিএসপি-র এক আধিকারিক শুভজিত্ রায়চৌধুরী (৪৬)। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১২-এর এপ্রিলে সাঁতার কাটতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ডিএসপি হাসপাতালের চিকিত্সক, আসানসোলের বাসিন্দা স্বর্ণরেণু মুখোপাধ্যায় (৪০)। তাঁকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিন দিন পরে মৃত্যু হয়। ওই সুইমিং পুলে সাঁতার কাটতে যান এমন কয়েক জনের মতে, সেখানে একটি জরুরি চিকিত্সার ইউনিট থাকা জরুরি। সে ক্ষেত্রে হঠাত্ কেউ অসুস্থ হলে ন্যূনতম প্রাথমিক চিকিত্সা পাবেন। ডিএসপি-র মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক বিভুরঞ্জন কানুনগো জানান, সংশ্লিষ্ট দফতরকে দিয়ে সংস্থার সমস্ত সুইমিং পুলের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হবে। |