|
|
|
|
|
বাড়ছে খরচ, চিন্তায়
অসমের পুজোকর্তারা
রাজীবাক্ষ রক্ষিত • গুয়াহাটি |
|
অগ্নিরোধক এবং পরিবেশ-বান্ধব সামগ্রী দিয়ে প্রতিমা, মণ্ডপ নির্মাণের প্রশাসনিক নির্দেশে ফাঁপরে গুয়াহাটির প্রায় পাঁচশো পুজোর উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেই ওই হুলিয়ার জেরে তাঁদের খরচ বাড়ছে ২০ শতাংশেরও বেশি।
প্রশাসনিক ফরমানে জানানো হয়েছে, জলে সহজেই দ্রবীভূত হবে এমন সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপ, প্রতিমা তৈরি করতে হবে। ব্যবহার করতে হবে ভেষজ রঙ। প্লাস্টার অব প্যারিস, নাইলন, সিন্থেটিক, প্লাস্টিক বা পলিথিন জাতীয় জিনিস একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না।
এমন পরিস্থিতিতেও থিম্-যুদ্ধে অন্য ক্লাবকে একটুও জমি ছাড়তে নারাজ কেউ-ই।
ছত্রীবাড়ি দেব পূজাস্থান কমিটির মণ্ডপ তৈরি হচ্ছে শামুক, শঙ্খ, ঝিনুক দিয়ে। সম্পাদক অজয় দাস জানান, পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকা থেকে ওই সব সামুদ্রিক সামগ্রী নিয়ে আসা হচ্ছে। রেহাবাড়ি সর্বজনীন দুর্গা পূজা কমিটির সম্পাদক কার্তিক দাস জানান, পরিবেশবান্ধব, সহজেই জলে মিশে যায় এমন মণ্ডপ-সামগ্রী জোগাড় করতে হচ্ছে ভিন্ রাজ্য থেকে। তাতে খরচও আকাশমুখী। প্রতিমার দামও এ বছর বেড়েছে। কখনও রাজমা, কখনও ময়ূরের পেখম, কখনও চকের প্রতিমা গড়ে দর্শকদের চমকে দেওয়া বিলপাড় পুজো কমিটি পাথরকুচি, নুড়ির প্রতিমা গড়ছে। মণ্ডপ তৈরি করছেন নগাঁওয়ের শিল্পী নিত্য বিশ্বাস। ট্রাকে ভরে কাঁচামাল আসছে রাজস্থান থেকে।
বীনাপাণির পুজোও জনপ্রিয়। এ বছর তাদের মণ্ডপে কেদারনাথের মন্দির, উত্তরাখণ্ডের হড়পা বানের দৃশ্য। ১২ লক্ষ টাকার বাজেটে প্লাইউডের মণ্ডপে আলো ও যন্ত্রের প্রযুক্তিতে ভাসাবে হড়পা বান। এই বছর তারা ৭২ তম বছরে পা দিল। পুজো উপলক্ষে স্মারকপত্রিকাও বার হচ্ছে তাদের।
নয়নতারার পুজোয় ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের গামছা দিয়ে সাজছে মণ্ডপ। গামছায় ঢেকেই তৈরি হচ্ছে মন্দির। দাঁতালপাড়ায় গত বছর ৫১ ফুটের প্রতিমা সকলকে তাক্ লাগিয়েছিল। এ বছর তারা ৭৫ ফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়ছে। গীতানগর সর্বজনীন তৈরি করছে পাহাড়। সরকারি আর্ট কলেজের ছাত্রছাত্রীরাই গড়ছে সেই পর্বত। মণ্ডপে থাকবে গুহা, জলধারাও। ছোট ছোট মন্দিরও থাকবে। থাকবেন ‘জীবন্ত’ মহাদেব। |
|
|
|
|
|