|
|
|
|
কিশোরীকে অত্যাচার, ধৃত গৃহকর্ত্রী
সংবাদ সংস্থা • নয়াদিল্লি |
প্রতিদিনই ফ্ল্যাটটা থেকে একটা মেয়ের চিৎকার আর কান্নার আওয়াজ শোনা যেত। কিন্তু প্রতিবেশীদের কেউ কখনও সাহস করে এগিয়ে যাননি। তবে তাঁরা একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে খবর দিয়েছিলেন। ওই সংস্থা আর পুলিশের সাহায্যেই অবশেষে মঙ্গলবার সকালে দিল্লির বসন্তকুঞ্জের ওই ফ্ল্যাট থেকে বছর ষোলোর এক কিশোরীকে উদ্ধার করা হল। ওই কিশোরীর সারা দেহে অসংখ্য ক্ষত ছিল। তাকে সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ডেপুটি পুলিশ কমিশনার বি এস জায়সবাল জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড থেকে এক বছর আগে ওই কিশোরীকে তার এক আত্মীয়া দিল্লিতে নিয়ে আসেন। বসন্তকুঞ্জের অভিজাত এলাকায় একটি ফ্ল্যাটে পরিচারিকার কাজে যোগ দেয় মেয়েটি। ওই ফ্ল্যাটে ৫০ বছরের এক মহিলা তার মাকে নিয়ে থাকেন। ওই মহিলা কোনও বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। চিকিৎসকের কাছে মেয়েটি জানিয়েছে, প্রথম থেকেই কথায় কথায় তাকে মারতেন ওই মহিলা। ঠিক করে খেতে দেওয়া হত না। বাড়ি যেতে চাইলেও জুটত অকথ্য অত্যাচার। শুধু তা-ই নয়, ওই কিশোরীর দাবি, মাঝে মধ্যেই তার দিকে কুকুর লেলিয়ে দিতেন মহিলা।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফেও দাবি করা হয়েছে, উদ্ধারের সময়ে কিশোরীটির ঘাড়ে, মুখে কুকুরের কামড়ের দাগ ছিল। তার দেহে ছুরির আঘাতের দাগও ছিল। চিকিৎসকেরা জানান, মেয়েটির মাথায় গভীর আঘাত রয়েছে। সম্ভবত ভারী কিছু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছিল। অথবা দেওয়ালে তার মাথা ঠোকা হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। প্রয়োজনে তার অস্ত্রোপচার হতে পারে। তবে কিশোরীটি যথেষ্ট ভয় পেয়েছে বলে এখনই জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না।
মঙ্গলবার ওই ফ্ল্যাটের মালকিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে বন্দি করে রাখা, নাবালিকার উপরে অত্যাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। জায়সবাল জানিয়েছেন, অভিযোগ পেয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং পুলিশ গত কাল রাতেই বসন্তকুঞ্জে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা পুলিশ না থাকায় ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা যায়নি। মঙ্গলবার সকালে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকদের আশা শীঘ্রই সুস্থ হয়ে যাবে সে। |
|
|
|
|
|