|
|
|
|
পুজো এলেই কলকাতায় বদলায় পটনার বাঙালি-পাড়া |
স্বপন সরকার • পটনা |
পুজোর দিনগুলোয় আচমকা কলকাতার মতোই লাগে পটনার বাঙালি মহল্লাগুলি। দুপুরে ভোগ। সন্ধ্যায় অলিগলিতে জমে ওঠে আড্ডার আসর।
রাজধানীর অন্যতম বাঙালি-আখড়ার পুজোর এ বার ১২১ বছর। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, হাজারখানেক লোককে ভোগ বিতরণ হয় সপ্তমী, অষ্টমীতে। নবমীতে ভোগ খাবেন প্রায় দু’হাজার মানুষ। তারই প্রস্তুতি ব্যস্ত বাঙালি-পাড়া। পুজোর কর্মকর্তা অমিত সিংহ বলেন, “ওই চারদিন বাংলার পরিবেশ থাকে পাড়ায়। দুর্গা, কালী, বাসন্তী, শিব এবং গনেশের পুজো নিয়ে বছরভর মেতে থাকেন স্থানীয় বাঙালিরা। দুর্গাপুজোয় আনন্দটা একটু বেশিই। আড্ডাও থাকে, খাওয়ার ব্যবস্থাও হয়।” তিনি জানান, দুর্গাপুজোয় পর বাঙালি আখড়ায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। |
|
পটনায় বাঙালি আখড়ার পুজোর প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র। |
পটনার কালীবাড়িতে পুজোর সন্ধ্যায় প্রথমে আরতি হয় প্রতিষ্ঠিত মন্দিরে। তারপরই শুরু হয় দুর্গার সন্ধ্যারতি। এ বার কালীবাড়ির পুজোয় হবে চণ্ডীপাঠ। কালীবাড়ির সম্পাদক অশোক চক্রবর্তী বলেন, “কালীবাড়ির পুজোর সঙ্গে স্থানীয় বাঙালিদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। পুজোর চারদিন তেমনই ভিড় জমে এখানে।”
পি ডব্লিউ ডি দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ষষ্ঠীতে সেখানে অনুষ্ঠান করবে কলকাতার একটি নাটক-গোষ্ঠী। তিনদিন ধরে রংবেরঙের অন্য অনুষ্ঠানও হবে। গুলজারবাগের সংস্কৃতি পরিষদের পুজোরও আকর্ষণ তিনদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দশমীতে সিঁদুর-খেলা তো রয়েছেই। পুজোর সম্পাদক চঞ্চল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা পুরোপুরি বাঙালি আচার মেনে পুজোর আয়োজন করি। এ বারও কুমোরটুলির শিল্পীই গড়ছেন প্রতিমা।”
আদালতগঞ্জের পুজোয় সামিল হন সকলেই। প্রতিমা কাঁধে নিয়ে বিজর্সন দিতে যাওয়া হয় সেখানে। উদ্যোক্তা পূণের্ন্দু মুখোপাধ্যায় ও পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, “১৯২৩ সাল থেকে প্রতিমা বিসর্জনের এই রীতি মেনে আসা হচ্ছে।”
বাঙালির সংখ্যা কমছে পটনার অনেক পাড়ায়। কিন্তু তাতেও জৌলুস কমেনি শহরের দুর্গাপুজোগুলির। |
|
|
|
|
|