|
|
|
|
আতঙ্ক নিয়েই উপার্জনে যান খোসনগরের ঢাকিরা
দয়াল সেনগুপ্ত • দুবরাজপুর |
বর্ষাকাল এলেই আগে আতঙ্কে থাকতেন দুবরাজপুরের খোসনগর দাসপাড়ার খান ৩০ পরিবার। শাল নদীর ধারঘেঁষা গ্রাম হওয়ায় বর্ষায় জল ঢুকে প্রায় প্রতি বছরই নিয়ম করে ক্ষতিগ্রস্থ হত ওই পরিবারগুলির ঘরবাড়ি। এক একবার পুজোর সময় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হত। সেই সময়ও পরিবার রেখে আতঙ্ক নিয়ে ঘর ছাড়তে বাধ্য হতেন কিছু পুরুষ। এ ছাড়া, উপায় নেই। কারণ, তাঁরা পেশায় ঢাকি। ঢাক বাজানোটাই মূল পেশা ওই পাড়ায় বসবাসকারি অন্তত দশটি পরিবারের। পুজোর সময় মোটা টাকা রোজগারের সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইতেন না তাঁরা। |
|
প্রস্তুতি। বৃহস্পতিবার তোলা নিজস্ব চিত্র। |
গত তিন বছর আগে জেলা পরিষদের টাকায় ওই পাড়ায় একটি উঁচু বাড়ি তৈরি হয়েছে। তাই পুজোর সময় বৃষ্টি হলে বা বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে পরিবারের সদস্যরা কোথায় ঠাঁই নেবেন সেটা নিয়ে ততটা চিন্তা এখন আর নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকি রবীন্দ্রনাথ দাস, ষষ্ঠীপ্রসাদ দাস, দুলাল দাসরা। আর মাত্র কটা দিন বাকি রয়েছে পুজোর। বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি তুঙ্গে। কোনও বাড়িতে চলছে ঢাকের মহড়া। কোনও বাড়িতে আবার নতুন করে ঢাক ছাইবার কাজ চলছে। ঢাকিদের কথায়, “প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে তৈরি একটি ঢাকের দৈনিক ভাড়া কমবেশি ৩০০ টাকা। ধর্মরাজ, লক্ষ্মী, সরস্বতী, বিশ্বকর্মা পুজো বা অন্য কোনও অনুষ্ঠানে ঢাক বাজালে এর থেকে বেশি টাকা দিতে রাজি হন না পুজো কমিটি বা উদ্যোক্তারা। তবে দুর্গাপুজোর সময় ঢাকিদের কদর একলাফে বেশ কিছুটা বাড়ে।” এ বার পুজোর চার দিনের দু’টি ঢাক ও একটি কাঁসি-সহ দুর্গাপুরে গিয়ে বাজানোর জন্য ৬০০০ টাকা পাবেন ঢাকি দুলাল দাস (যাতায়াত ও খাওয়া খরচ বাদে)। অন্যরাও প্রায় একই রকম টাকায় বীরভূম ও বর্ধমানের বিভিন্ন পুজোয় বাজাতে যাবেন। তবে বছরের অন্য সময় আরও একটু বেশি টাকা মিললে ভাল হত। তাই আক্ষেপটা থেকেই গিয়েছে ঢাকিদের। |
|
|
|
|
|