পুজো মানেই নতুন জামা। তবে, দিন পাল্টেছে। বদলে যাচ্ছে মানুষের চাহিদাও। পুজোর উপহার হিসেবে তাই কখনও মেয়ের আবদার মেনে মোবাইল কিনে দিচ্ছেন বাবা, নতুন কলেজে ওঠা ছেলেকে কিনে দেওয়া হচ্ছে মোটর বাইক। শুধু তাই নয়, নতুন চাকরি পেলে পুজোয় বান্ধবীকে মোবাইল উপহার দেওয়াই যায়, কিংবা স্ত্রী-র হাতে স্মার্ট ফোন। পুজোয় উপহার দেওয়ার এ এক নতুন ধরন। বছর তিন-চারেক ধরে পুজোয় মোবাইল ফোন বা মোটর বাইক কেনার চল বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। |
শেষ রবিবারে কেনাকাটার ভিড় শাড়ির দোকানেও।—নিজস্ব চিত্র। |
অন্য সব কিছু ছেড়ে বাইক বা মোবাইল ফোন কেনার ধূম দেখা যাচ্ছে কেন?
ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মতে, আজকের প্রজন্মের কাছে এই দু’টো জিনিসেরই চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এখন কলেজে উঠলেই মোটর বাইক চাই ছেলের। সঙ্গে অবশ্যই মোবাইল ফোন। পুজোর বোনাসের টাকায় ছেলে-মেয়ের আবদার মেটান বাবা-মায়েরা। মোবাইল বিক্রেতা রাজা রায়ের কথায়, “পুজোর সময় অন্য মরসুমের থেকে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বিক্রি বাড়ে। এই সময় সকলেরই নজর থাকে একটু দামী মোবাইলের দিকেই। ন্যূনতম ১০ হাজার টাকা দিয়ে শুরু। শেষ হয় ৩০-৩৫ হাজারে গিয়ে।” মোটর বাইকের ক্ষেত্রেও প্রায় এক চিত্র। মোটর বাইক শো-রুমের মালিক পার্থ পালের কথায়, “অন্য সময়ের থেকে ২০ শতাংশ বিক্রি বাড়ে। ৩-৪ বছর ধরেই এটা দেখা যাচ্ছে। এই সময় সাধারণত ছেলেমেয়েদের দাবি মেটাতে বাবা-মা মোটর বাইক কিনে দেন। আজকের প্রজন্ম একটু ভারী গাড়ি পছন্দ করে। তাই এই সময় ১২৫ সিসি বা ১৩৫ সিসি মোটর বাইকই বেশি বিক্রি হয়। যার দাম ৫০-৫৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু। শেষ লক্ষাধিক টাকায়।”
তবে এ বার মোটর বাইক বিক্রির বাজার কিছুটা মন্দা। কারণ, এবার অসুর হল বৃষ্টি। টানা বৃষ্টি চলছেই। তাই অন্য মরসুমের থেকে ১০ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে। পার্থবাবুর কথায়, “টানা বৃষ্টির জন্য এবার মানুষ তো বেরোতেই পারছেন না। শহরাঞ্চলের ক্রেতারাই বৃষ্টি থামলে বেরিয়ে কিনছেন। গ্রামীণ এলাকার ক্রেতারা এখনও পৌঁছতেই পারেননি।” |