সাত রকমের পাথর, দশ নদীর জল আর সাত রকমের মাটি। শতাব্দী পেরিয়ে গেলেও পুজোর উপকরণে কোনও রদবদল হয়নি। তুফানগঞ্জের শতাব্দী প্রাচীন আদি বারোয়ারি দূর্গাপুজোর উদ্যোক্তারাও অবশ্য উপকরণ যোগাড়ে কোনও খামতি রাখতেও চান না। এখনও দেবী পুরাণ আর কালিকা পুরাণের মিশেলে হাতে লেখা বই দেখে মন্ত্রোচ্চারণ করেন পুরোহিত। পুজো কমিটির সম্পাদক ভবতোষ পাল বলেন, “এবার পুজোর ১২৭ বছর। পঞ্জিকার বিধি মেনে প্রাচীন রীতি অনুযায়ী এবারেও উপকরণ তালিকা অপরিবর্তিত রেখে পুজোর আয়োজনে আমরা কোনও খামতি রাখতে চাইছি না।”
পুজো কমিটি সূত্রে জানা গেল, সাত রকমের পাথরের তালিকায় মুক্তো, প্রবাল, পান্না, গোমেদ, নীলা, পোখরাজ, ক্যাটসআই রয়েছে। দশ নদীর জলের মধ্যে গঙ্গা, ত্রিবেণী থেকে রায়ডাক নদীর জলও রয়েছে। বংশানুক্রমিক ভাবে ওই পুজো করছেন অমল প্রসন্ন ভট্টাচাযর্। অমলবাবুর কথায়, “দেবী পুরাণ আর কালিকা পুরাণের মিশেলে হাতে লেখা বই রয়েছে। সেই বই দেখেই পুজো হয়। এছাড়া নানা উপকরণ তো রয়েইছে। বছরভর চেষ্টা করেই তা জোগাড় করতে হয়। এবারেও সমস্ত উপকরণের জোগাড় হয়ে গিয়েছে।”
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তুফানগঞ্জ বাজার চত্বরে স্থায়ী মন্দিরে পুজোর আয়োজন হয়। আলোকসজ্জা বা মণ্ডপসজ্জার আতিশয্য না থাকলেও আদি বারোয়ারির পুজোর সঙ্গে তুফানগঞ্জের বাসিন্দাদের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। অর্জুন পাল এবার প্রতিমা গড়ছেন। বিসর্জনের শোভাযাত্রাতেও সবার প্রথমে আদি বারোয়ারির প্রতিমা থাকে। পশু বলির কোনও রেওয়াজ এই পুজোয় নেই।
পুজো উপলক্ষে মহাষ্টমীতে প্রসাদ বিলির আয়োজনে জোর দিয়েছেন উদ্যোক্তারা। কমিটির সম্পাদক জানান, প্রতি বছর গড়ে ৪ কুইন্ট্যাল খিচুড়ি বিলি করা হয়। এ বছর পরিমাণ বাড়বে। |