নিজস্ব সংবাদদাতা • বুদবুদ |
বকসী পরিবারের বর্তমান সদস্য অমল বকসী জানালেন, বর্ধমানের রাজা বিজয় চাঁদের কাছ থেকে পাওয়া জমিদারী থেকে তাঁদের দেবশালা গ্রামে বাস। আশেপাশের বহু জমি জায়গা তাঁদের জমিদারীর অর্ন্তভূক্ত ছিল। বকসী পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হওয়ার পরই নবমীর দিন নাচনচন্ডী মন্দিরে পুজো হয়। অমলবাবু জানালেন, তিনি পূর্বপুরুষদের থেকে জেনেছেন মন্দিরটি বর্ধমানের রাজার আমলেই তৈরি হয়েছিল। সেই সময় থেকেই চলে আসছে এই পুজো। বকসীরা ওই অঞ্চলের জমিদারী পেলে তাঁরা ভার নেন পুজো করার। অমলবাবু বলেন, “আগে এখানে সারা বছর ধরেই পুজো দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে তা আর হয় না।”
রায়কোনা গ্রামের এক নবীন বাসিন্দা আমিনুল চৌধুরী জানান, তাঁদের গ্রামের কেউই কোনওদিন এই মন্দিরকে অশ্রদ্ধার চোখে দেখেননি। হিন্দুদের মন্দির হলেও তাঁরা সব সময়ই এই মন্দিরকে শ্রদ্ধা করে আসেন। আমিনুল চৌধুরী বলেন, “পুজোর এই দিনটাকে আমরা একটা উৎসবের দিন হিসেবেই দেখি।” |