এই শহর জুড়ে নিরন্তর ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার মাত্র কয়েকটি হয়ে ওঠে সংবাদের শিরোনাম।
ভাল আর মন্দ
সেখানে হাত ধরাধরি করে আসে। শেষ তিরিশ দিনে প্রকাশিত শহরের সেরা শিরোনামগুলি
দিয়েই বোঝা যায় কেমন
আছে এ শহর। কলকাতার হাঁড়ির হাল বুঝতে ২১ মার্চ ২০১৩ থেকে ২০ এপ্রিল ২০১৩-র শীর্ষ শিরোনাম।
• প্রয়াগ কর্তার বাড়িতে হামলা: শিল্ড জেতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে র্যান্টিদের স্পনসর প্রয়াগের কর্ণধার বাসুদেব বাগচীর বাড়িতে হামলা হল। তাঁর গাড়ির কাচও ভাঙচুর হয়। রাতে বাসুদেববাবু অভিযোগ করেন, “শিল্ড নিয়ে বাড়ির বাইরে যখন উৎসব করছিলাম তখন কিছু লাল-হলুদ সমর্থক এসে বাইরে রাখা গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়। বাড়িতেও ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।” পুলিশ এলে তাদের দিকেও ইট ছোড়া হয়। দু’জন পুলিশকর্মী আহত হন। পরে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। পর্ণশ্রী থানার কর্তব্যরত অফিসারও জানিয়েছেন, হামলাকারীরা ইস্টবেঙ্গলের সমর্থক।
• মিত্রাভ ফের চ্যাম্পিয়ন: ডাবল হ্যাটট্রিক করেও থামল না মিত্রাভ গুহ। টানা সাত বার দাবা খেতাব জিতল ক্লাস সিক্সের এই দাবাড়ু। বেঙ্গল চেস সংস্থার উদ্যোগে কাঁকুরগাছির যোগোদ্যান মঠে অনুষ্ঠিত ২৫ তম বয়স ভিত্তিক গ্রুপ দাবায় অনূর্ধ্ব-১৩ ফাইনালে নিজের সপ্তম খেতাব পেল মিত্রাভ। “আমি খুব খুশি আবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে”, বলছিল সাউথ পয়েন্টের মিত্রাভ। বয়স অনুযায়ী দাবাড়ুদের চারটে গ্রুপে (অনূর্ধ্ব-৭, অনূর্ধ্ব-৯,অনূর্ধ্ব-১১,অনূর্ধ্ব-১৩) ভাগ করা হয়। বেঙ্গল চেস সংস্থার উদ্যোগের প্রশংসা করে বাংলার গ্র্যান্ডমাস্টার দিব্যেন্দু বড়ুয়া বললেন, “এর ফলে বাচ্চাদের মধ্যে খেলার আগ্রহ বাড়বে।” মেয়েদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হল আরুষি চট্টোপাধ্যায় (অনূর্ধ্ব-৭), বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় (অনূর্ধ্ব-৯), সমৃদ্ধা ঘোষ (অনূর্ধ্ব-১১) ও খুশি ধারেওয়া (অনূর্ধ্ব-১৩)। ছেলেদের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন আর্য ভক্ত (অনূর্ধ্ব-৭), অর্পণ দাস (অনূর্ধ্ব-৯), কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায় (অনূর্ধ্ব-১১)। প্রতিটি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবে।
• ‘বিশ্ব জল দিবসেই’ জলের দাবিতে বিক্ষোভ: বন্ডেল রোডের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু বাসিন্দা ‘জল দাও’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে শুক্রবার হাজির হন কলকাতা পুরসভার সামনে। পুলিশ ঢুকতে দেয়নি। মেয়রকে স্মারকলিপিও দেন তাঁরা। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আরএসপি-র সুশীল শর্মা বলেন, “জল-সমস্যা বহু দিনের। মেয়রকে বলেছি পুরনো লাইন বদলাতে।” মেয়র জানান, পুরসভা ব্যবস্থা নেবে।
• বিক্ষোভের জের, বন্ধ চিড়িয়াখানা: কারচুপি করে ‘কিপার’ পদে লোক নিয়োগ হওয়ার আশঙ্কায় শুক্রবার দুপুরে দেড় ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখল আইএনটিইউসি। যার জেরে তীব্র গরমে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভুগলেন বহু দর্শনার্থী। কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়োগে কারচুপির কোনও সম্ভাবনাই নেই। আলিপুর চিড়িয়াখানায় কিপার পদে ২৬ জন নিযুক্ত হবেন। চিড়িয়াখানার মেম্বার সেক্রেটারি টিভিএন রাও এবং ডিরেক্টর কানাইলাল ঘোষ এ দিন জানান, সাড়ে ৬ হাজারেরও বেশি দরখাস্ত জমা পড়েছে। তার মধ্যে ১৬৮ জনকে চিঠি দিয়ে লিখিত পরীক্ষায় ডাকা হবে। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে নীতেশ সিংহ নামে এক যুবক চিড়িয়াখানার মেম্বার সেক্রেটারির সঙ্গে দেখা করে চার জনের একটি তালিকা দেন। তাঁর বক্তব্য, কিপার পদে ওই চার জন দরখাস্ত করেছেন। কর্তৃপক্ষ যেন তাঁদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করেন। আইএনটিইউসি-র নেতা রাকেশ সিংহের অভিযোগ, নীতেশ নিজেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে চাপ সৃষ্টি করছেন। নিয়োগে কারচুপির ভয়ে এ দিন তাঁদের সংগঠন চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখে বলে তাঁর দাবি। টিভিএন রাও এ দিন বলেন, “চিড়িয়াখানা বন্ধ থাকলেও, আমার কার্যালয় বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে না। আমার সঙ্গে কারও দেখা হওয়ার অর্থ এই নয় যে, সরকারি নিয়ম না মেনে কর্মী নিযুক্ত হবে। কিপার পদে নিয়োগের জন্য তিন সদস্যের কমিটি রয়েছে।”
• অনলাইন কেনাকাটায় পিছিয়ে কলকাতা: ছোট শহরের হাত ধরেই ব্যবসার নতুন দরজা খুলছে ‘অনলাইন’ কেনাকাটা বা ই-কমার্স। বার্ষিক ৩০% হারে বাড়তে থাকা এই বাজারে অবশ্য দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদের থেকে পিছিয়ে কলকাতা। দেশের সব শহরের মধ্যে কলকাতা অষ্টম। প্রথম সারির ই-কমার্স সংস্থা ই-বে’র সমীক্ষা বলছে অনলাইন কেনাকাটার বাজারে নতুন ক্রেতারা অধিকাংশ মহিলা। এবং ‘লাইফস্টাইল’ পণ্যের দৌলতেই এই ব্যবসা লাফিয়ে বাড়ছে। সংস্থার কর্তা শরত্ দ্বিগুমূর্তির দাবি, বর্তমানে ৪৩০০ কোটি টাকার এই ব্যবসা ২০১৫ সালে ২৭,০০০ কোটিতে পৌঁছবে। শুধু দেশি পণ্য নয়। ছোট ও মাঝারি শহরেও বিদেশি মোবাইল, ল্যাপটপ, খেলনা-সহ নানা জিনিস কেনার প্রবণতা বাড়ছে।
• হয়নি সংস্কার, স্টার থিয়েটারে ফাটল: ফাটল ধরেছে স্টার থিয়েটারের কিছু অংশে। তবে আশঙ্কার কারণ নেই বলে জানিয়েছে পুর-প্রশাসন। দিন কয়েকের মধ্যে সংস্কার শুরু হবে। পুরসভা সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে লিফটের পাশের দেওয়ালে ফাটল দেখে জানানো হয় পুর-কর্তৃপক্ষকে। সোমবার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার ও পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ স্টার থিয়েটারের হাল দেখে আসেন। দেবাশিসবাবু বলেন, “দেওয়ালে একটা ফাটল হয়েছে। আরও কয়েকটি জায়গায় ছোটখাটো ভাঙা রয়েছে। গত ৮ বছর স্টার কমপ্লেক্সে সংস্কার হয়নি।” তিনি জানান, শীঘ্রই সেখানে সংস্কার শুরু হবে। পুরসভার চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে সংস্কার চলাকালীন হলের কোনও অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন দেবাশিসবাবু।
• খসল চাঙড়, বাঁচলেন মন্ত্রী: কামরা সংলগ্ন বাথরুমে গিয়েছিলেন। আচমকাই খসে পড়ল সিলিংয়ের চাঙড়। কোনও ক্রমে বাঁচলেন অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণমন্ত্রী উপেন বিশ্বাস। তড়িঘড়ি পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে পরীক্ষা করে শুরু হয়েছে মেরামতি। সোমবার রোজের মতোই মহাকরণে তিনতলায় নিজের চেম্বারে যান উপেনবাবু। বৈঠকও করেন। দুপুরে বাথরুমে হাত ধুতে যেতেই বিপত্তি। মঙ্গলবার মহাকরণে আসেননি মন্ত্রী। বিকেলে তাঁর চেম্বারে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশ বেঁধে মেরামতি চলছে। উপেনবাবু বলেন, “ছাদের কিছু অংশ খসে পড়েছে। মেরামতি চলছে। তাই অন্য অফিসে বসে কাজ করছি।” অন্য মন্ত্রী-আমলাদের ঘরের অবস্থা খতিয়ে দেখছে পূর্ত দফতর।
• ফুটবলারদের সমস্যা মাঠ, কোচের চোট আঘাত:৬ এপ্রিল, শনিবার প্রয়াগ ইউনাইটেড অনুশীলন করল যুবভারতীর দরজা বন্ধ করে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের প্রবেশও নিষিদ্ধ ছিল! তবে প্রয়াগের কোনও কর্তা বা কোচ এলকো সাতোরির কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বয়ং যুবভারতী কর্তৃপক্ষ। আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হওয়ার পর চার দিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনও বেহাল দশা যুবভারতীর মাঠের। বলের বাউন্স ঠিক রাখার জন্য কৃত্রিম ঘাসের মধ্যে যে কালো রঙের ছোট ছোট রবারের টুকরোগুলো রয়েছে, সেগুলো বেরিয়ে এসেছে। প্র্যাক্টিসের সময় ফুটবলারদের বুটে পেড়েকও আটকে যাচ্ছিল। পরে র্যান্টি বলছিলেন, “সত্যিই মাঠের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে রয়েছে।” মাঠের পাশাপাশি ট্র্যাকেরও কয়েকটা জায়গা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। প্রয়াগ কোচ এলকো সাতোরি অবশ্য আফসোস করছিলেন সংগ্রামের চোট নিয়ে। গোয়ায় সালগাওকরের বিরুদ্ধে ম্যাচে ডান হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান সংগ্রাম। পরে এক্স রে করে দেখা যায়, আঙুল ভেঙে গিয়েছে। চোটের যা অবস্থা, তাতে এই মরসুমে সংগ্রামকে পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই। এলকোও বলে দিলেন, “সংগ্রামকে আর এই মরসুমে পাওয়া যাবে না।”
• শহরে এ বার কার্টুনকে থিম করে আবাসন:মিকি মাউস, ডোনাল্ড ডাক বা গুফি। ওয়াল্ট ডিজনির চিরপরিচিত কার্টুনদের হাত ধরেই এ বার আবাসন শিল্পে নয়া চমক। পেন্সিল বক্স, কাপ, জলের বোতল থেকে শুরু করে তোয়ালে, বেড কভার, জামাকাপড়। ডিজনির কার্টুনরা উপস্থিত বিভিন্ন পণ্যে। এ বার আরও এক ধাপ এগিয়ে এই সব কার্টুন নির্মাণ সংস্থাকে ভাড়া দিচ্ছে ডিজনি ইন্ডিয়া। অর্থাৎ কার্টুনকে ‘থিম’ হিসেবে ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে আবাসন শিল্প। ডিজনি ইন্ডিয়ার প্রধান রোশনি বক্সি জানান, মুম্বই ও কলকাতা থেকেই শুরু হচ্ছে এই ব্যবসা। কলকাতায় স্থানীয় নির্মাণ সংস্থা টিম টরাসের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে ডিজনি ইন্ডিয়া। টরাসের কর্তা অমিতাভ রায় জানান, ডিজনি থিমের বাড়ি মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে থাকছে। ১৫ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা দামের বাড়ি তৈরি হচ্ছে।
• ট্রাম থেকে শব্দদূষণ ঠেকাতে সক্রিয় আদালত:কলকাতায় ট্রাম চলার শব্দের মাত্রা মানুষের সহনশীলতার মাত্রার থেকে বেশ বেশি। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছ থেকে এই তথ্য পাওয়ার পরে এ বার বসত এলাকায় ট্রামের গতি নিয়ন্ত্রণ করা বা ট্রাম চলার সময়সীমা বেঁধে দেওয়ারব্যাপারে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চাইল আদালত। শহরে দিনের পাশাপাশি রাতেও দূষণ ছড়াচ্ছে। ট্রামের শব্দ থেকেও দূষণ হচ্ছে। কলকাতা হাইকোর্টে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের করা এই সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে জানতে চান, কে ট্রাম চালায়? পর্ষদের কৌঁসুলি জানান, ট্রাম চালায় রাজ্যের অধীনস্থ এক সংস্থা। সুভাষবাবু আদালতকে জানান, আগে ট্রামলাইন কংক্রিটের ছিল না। তাই এত শব্দ হত না। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ট্রামলাইন কংক্রিট হওয়ার পর থেকে শব্দ বেড়ে গিয়েছে। ট্রামের শব্দদূষণ কমাতে সুভাষবাবু আদালতের কাছে দু’টি প্রস্তাব দেন। প্রথমত, যে সব বসতি এলাকা দিয়ে ট্রাম যায় সেখানে ট্রাম চলুক ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়ত, ট্রামের গতি বেঁধে দেওয়া হোক। সুভাষবাবুর এই দু’টি প্রস্তাব শুনে আদালত রাজ্য সরকারের কৌঁসুলিকে নির্দেশ দেয়, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে দূষণ কমাতে বসত এলাকায় ট্রামের গতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে কি না এবং রাতে ট্রামের সময়সীমা পরিবর্তন করা যাবে কি না।
• প্রয়াত বিপ্লবী বিনোদবিহারী:চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনে মাস্টারদা সূর্য সেনের অন্যতম প্রধান সহযোগী বিনোদবিহারী চৌধুরী প্রয়াত হয়েছেন। বয়স হয়েছিল ১০৩ বছর। বার্ধক্যজনিত নানান অসুখ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেনই। তাঁর পুত্রবধূ উপালি চৌধুরী জানান, সপ্তাহখানেক আগে চট্টগ্রাম থেকে বারাসতে ছোট ছেলের বাড়িতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিনোদবাবু। ভর্তি করানো হয় দক্ষিণ কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন একটি নার্সিংহোমে। বুধবার রাতে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। স্ত্রী ও দুই ছেলে আগেই মারা গিয়েছেন। আছেন ছোট ছেলের স্ত্রী উপালিদেবী এবং এক নাতি। মাস্টারদার হাত ধরে বিনোদবাবু অল্প বয়সেই স্বাধীনতা-যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সময় গুলিবিদ্ধ হন। যোগ দেন জালালাবাদ পাহাড়ের যুদ্ধেও। চট্টগ্রামকে মুক্ত ঘোষণা করে তেরঙা পতাকা তুলেছিলেন তাঁরাই। চলচ্চিত্রায়িত হয়েছে এই অগ্নিপুরুষের জীবন ও সংগ্রাম। স্বাধীনতার পরেও চট্টগ্রামেই থাকতেন। আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন নানা ধরনের কল্যাণকাজে।
• জগজীবন রামের নামে প্রফেসরশিপ: প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী, প্রয়াত জগজীবন রামের নামে সমাজবিজ্ঞানে চেয়ার প্রফেসরশিপ চালু করল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জগজীবন রামের মেয়ে, লোকসভার স্পিকার মীরা কুমারের উপস্থিতিতে শুক্রবার ওই প্রফেসরশিপের কথা ঘোষণা করা হয়। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র বাড়তি অর্থসাহায্য পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবার্ষিকী হলে একটি অনুষ্ঠানে মীরা কুমার বলেন, “স্কুলছাত্র হিসেবে আমার বাবা শরৎচন্দ্র ও রবীন্দ্রনাথের সাহিত্য পড়ার জন্য বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় উনি যথেষ্ট স্বচ্ছন্দ ছিলেন।” জগজীবন রামের নামে সমাজবিজ্ঞান পঠনপাঠনের একটি পৃথক কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দেন আচার্য-রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। পরে ইউজিসি-র চেয়ারম্যান বেদ প্রকাশ জানান, চেয়ার প্রফেসরশিপ চালু হয়ে গেলে বছর দুয়েক বাদে তার মূল্যায়ন করে ওই কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ভাবা হবে।
• বর্ণপরিচয় নিয়ে ফের বৈঠক: কলেজ স্ট্রিটে বর্ণপরিচয় মার্কেটে পুনর্বাসন নিয়ে বেঙ্গল শেল্টারের সঙ্গে শনিবার বৈঠকে বসবেন পুরনো বাজারের ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভায় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বেঙ্গল শেল্টারের কর্ণধার সমর নাগের বৈঠকে ওই সিদ্ধান্ত হয় বলে মেয়র জানান। ছিলেন মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ ও পুর কমিশনার খলিল আহমেদ। তারকবাবু বলেন, “পুরনো কলেজ স্ট্রিট মার্কেটে ৯৫৩ জন মতো ব্যবসায়ী ছিলেন। পিপিপি মডেলে মার্কেট গড়ার দায়িত্ব পায় বেঙ্গল শেল্টার। শর্ত ছিল, সব ব্যবসায়ীকে জায়গা দিতে হবে।” তিনি জানান, জাতীয় বিল্ডিং নিয়ম মেনে বাড়িটির একতলায় জায়গা কমে গিয়েছে। তা ব্যবসায়ীদের জানানোও হয়েছে। বৈঠক শেষে সমর নাগ বলেন, “মূল সমস্যা যেখানে যার ব্যবসা ছিল, সেখানে তা দেওয়া নিয়ে। শনিবার তা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসব।”
...চাই স্বাস্থ্য, আনন্দ-উজ্জ্বল পরমায়ু
একটি অনুষ্ঠানে হাতের লেখায় শুভেচ্ছা-বার্তা রেখে গেলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব চিত্র
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.