মাথার উপরে এক পাশে জলাধার, অন্য পাশে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র। চাতালে ওভেন আর নীচে উচ্ছিষ্ট ফেলার পাত্র। ফুটপাথ বা রাস্তায় বসা হকারদের জন্য এমনই কিয়স্ক বানাচ্ছে পুরসভা। মহাকরণ ও মেট্রো ভবনের সামনে বসা হকারদের পুনর্বাসন হবে ওই কিয়স্ক দিয়েই। শুক্রবার পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, শীঘ্রই মহাকরণের আশপাশের হকারদের নিখরচায় ওই কিয়স্ক দেওয়া হবে।
পুর সূত্রের খবর, কয়েকটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের পরে রাস্তার হকারদেরও অগ্নিবিধির আওতায় আনতে এই উদ্যোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই কিয়স্ক বানানোর পরিকল্পনা হয়।
মহাকরণের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গার আশপাশে পলিথিনের ছাউনি খাটিয়ে, উনুন জ্বালিয়ে দেদার ব্যবসা চলছে। যা একেবারেই না পসন্দ্ মুখ্যমন্ত্রীর। বছরখানেক আগে পিজি-র সামনে আগুন জ্বালিয়ে রান্নার দৃশ্য দেখে ক্ষিপ্ত হন তিনি। তখনই ওই সব দোকান সরানোর নির্দেশ দেন। তা করাও হয়। |
পুর সূত্রে খবর, সিভিল দফতরকে নতুন কিয়স্কগুলি সরবরাহ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। ডিজি (সিভিল) জানান, এন্টালি ওয়ার্কশপকে ওই কিয়স্ক বানাবে। পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, প্রাথমিক ভাবে ওই কিয়স্কের নকশায় অগ্নিবিধি মেনে চলার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। পরে মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ কিয়স্কে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র রাখার পরামর্শ দেন। বর্তমান মেয়র পারিষদ সামসুজ্জামান আনসারি জানান, রাজ্য ইতিমধ্যেই ৮৪টি কিয়স্ক বানানোর অর্ডার দিয়েছে। প্রতিটি কিয়স্কের দাম ২২-২৪ হাজার টাকার মধ্যে হবে।
পুরমন্ত্রী বলেন, “এলাকা জুড়ে একই ধরনের কিয়স্ক থাকলে শহরের সৌন্দর্যও বাড়বে। ভবিষ্যতে সরকার শহরের অন্য এলাকায় ওই কিয়স্কের ব্যবস্থা করবে।” এর জন্য বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে ফিরহাদ জানান। |