মহারাষ্ট্র কঠোর আইন করেছে। বাংলা ছবির জাল সিডি এবং ডিভিডি আটকাতে এ বার তাদের মতোই কড়া আইন চাইছে টলিউড। সোমবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে ওই ধরনের আইন তৈরির আর্জি জানান অভিনেতা প্রসেনজিৎ ও পরিচালক গৌতম ঘোষ। মহাকরণ সূত্রের খবর, তাঁদের প্রস্তাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। |
প্রায় দু’ঘণ্টার বৈঠকে ছিলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রও। তিনি জানান, সরকার সিনেমার শ্যুটিংয়ের জন্য এ বার ‘সিঙ্গল উইন্ডো সিস্টেম’ বা এক-জানলা ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে। বৈঠকের পরে গৌতম ঘোষ বলেন, “বাংলা ছবির প্রচুর দর্শক আছেন। বাংলার এই শিল্পকে আন্তর্জাতিক দর্শক সমাজের কাছে নিয়ে যেতে হবে। সরকার আমাদের সেই জায়গা তৈরি করে দিচ্ছে।” তাঁর বক্তব্য, এ রাজ্যে পাহাড়-জঙ্গল-সমুদ্র সবই আছে। সেগুলিকে কাজে লাগালে শ্যুটিংয়ের জন্য সুইৎজারল্যান্ড, তাইল্যান্ডে যেতে হবে না। বাংলা ছবির বড় বাজার তৈরি করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তাঁরা সম্প্রতি বাংলাদেশে গিয়ে আলোচনা করেছেন বলেও জানান গৌতমবাবু। তিনি বলেন, ছবির স্বার্থে যাতে বহু সরকারি দফতরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে না-হয়, সেই জন্য তাঁরাই এক-জানলা নীতির আবেদন জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। অর্থমন্ত্রী সেই ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
মহাকরণ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলা ছবিকে গ্রামে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু নীতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রসেনজিৎ বলেন, “বলিউডের তারকারা এসে এ রাজ্যে প্রচুর শ্যুটিং করছেন। বিদেশি পরিচালকদের কাছেও এ রাজ্যের শ্যুটিংয়ের জায়গাগুলিকে তুলে ধরা দরকার। গ্রামে গ্রামে ‘মিনি সিনেপ্লেক্স’ গড়ার প্রস্তাবও দেন প্রসেনজিতেরা। তাঁরা জানান, মাল্টিপ্লেক্সে টিকিটের দাম বেশি বলে অনেকেই সেখানে ছবি দেখতে পারেন না। তাই ‘মিনি প্লেক্স’ গড়ার ভাবনা। বাংলা ছবির বাজার বাড়াতেও তাঁরা সচেষ্ট। গৌতমবাবু জানান, মাল্টিপ্লেক্সে আরও বেশি বাংলা ছবি দেখানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্স-মালিকদের সঙ্গে কী চুক্তি হয়েছিল, তা খতিয়ে দেখার জন্য সরকারকে আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁরা। |