এই শহর জুড়ে নিরন্তর ঘটে চলা বিভিন্ন ঘটনার মাত্র কয়েকটি হয়ে ওঠে সংবাদের শিরোনাম।
ভাল আর মন্দ
সেখানে হাত ধরাধরি করে আসে। শেষ তিরিশ দিনে প্রকাশিত শহরের সেরা শিরোনামগুলি
দিয়েই বোঝা যায় কেমন
আছে এ শহর। কলকাতার হাঁড়ির হাল বুঝতে ২১ জুন ২০১৩ থেকে ২০ জুলাই ২০১৩-র শীর্ষ শিরোনাম।
• বাগানে চতুর্থ বিদেশি এনে দেবেন করিমই: করিম বেঞ্চারিফা কেন দু’তিনদিনের জন্য হঠাৎ ঝটিকা সফরে শনিবার কলকাতায় এলেন তা নিয়ে ধোঁয়াশা তুঙ্গে। পাসপোর্ট সমস্যা, ক্লাবের পরিস্থিতি বুঝতে, প্রো লাইসেন্স নিয়ে কথা বলতেনানা কথা শোনা যাচ্ছে। মোহনবাগান কোচ নিজেও মুখ খুলছেন না। বললেন, “এখান থেকে সিঙ্গাপুর বা মরক্কো যাব। পরিবার নিয়ে ব্যস্ত আছি।” করিম ‘ব্যস্ততা’র কারণ দেখিয়ে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেও হাসপাতালে গিয়ে সকালে দেখা করে এলেন ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্রের সঙ্গে। আলোচনা করলেন চতুর্থ বিদেশি এবং ফুটবল দল নিয়ে। শোনা যাচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার সিমেন পাডাংয়ের খেলা লাইবেরিয়ার জাতীয় দলের স্ট্রাইকার এডওয়ার্ড জুনিয়র উইলসনকে নিয়ে করিম নাকি কথা বলেছেন।
• রাজ্য মিটে ভাল ফল হাওড়ার: রাজ্য অ্যাথেলেটিক মিটে পঞ্চম স্থান পেল হাওড়া। প্রথম হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। দ্বিতীয় কলকাতার একটি ক্লাব, তৃতীয় হয়েছে নদিয়া। হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর হাওড়ার ঝুলিতে এসেছে আটটি সোনা, পাঁচটি রূপো ও পাঁচটি ব্রোঞ্জ। পদক তালিকায় ভাল অবস্থান ছাড়াও দু’টি রেকর্ডও করেছে হাওড়া। শটপুটে চয়ন নন্দী (অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগ) ও ১৫০০ মিটার দৌড়ে শশীভূষণ সিংহ (অনূর্ধ্ব ১৮ বিভাগ) রাজ্য রেকর্ড ভেঙেছেন। হাওড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যকরী সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অনেক বছর পর রাজ্য অ্যাথেলেটিক মিটে এত ভাল ফল করল হাওড়া। বিশেষ করে শশীভূষণ সিংহকে মিটে উপস্থিত পর্যবেক্ষকেরা রাজ্যের অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান অ্যাথেলেটিক বলে জানিয়েছেন।”
শহরের পথে স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। সঙ্গী সুভাষচন্দ্র বসু, প্রফুল্লচন্দ্র রায় প্রমুখ।
স্যার আশুতোষের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে এমনই নানা সাজে ছোটদের মিছিল।
• বাংলাদেশি বাণিজ্য-দল কলকাতায়: নিজেদের দেশে আরও বেশি লগ্নি টানতে ভারত সফরে আসা বাংলাদেশের বাণিজ্য প্রতিনিধিদল রবিবার পা রাখল কলকাতায়। ইতিমধ্যেই মুম্বই ও চেন্নাই ঘুরে প্রায় ৯ কোটি ডলারের (৫৪০ কোটি টাকা) ১২টি চুক্তি সই করেছে ৩০ জনেরও বেশি সদস্যের ওই দলটি। নেতৃত্বে আছেন বাংলাদেশ লগ্নি পর্ষদের এগ্জিকিউটিভ চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুস সামাদ। এ দিন কলকাতাতেও মোট ৫০ লক্ষ ডলারের (৩০ কোটি টাকা) দু’টি মউ সই করে তারা। এ ছাড়া যৌথ উদ্যোগে লগ্নির জন্য দু’দেশ যে ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে আছে হাসপাতাল ও চিকিৎসা সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি, ওষুধ, পর্যটন, বস্ত্র, প্লাস্টিক।সিআইআইয়ের আয়োজনে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের লগ্নি-বৈঠকের চূড়ান্ত পর্বে, এ দিন ভারতের ইয়ং ইঞ্জিনয়ারিং ক্যালিবারেশন ও ইউবি একজিম-এর সঙ্গে দু’টি চুক্তি হয় বাংলাদেশের আর্মা গোষ্ঠীর। ইস্পাতের সেতু তৈরির জন্য সে দেশের লগ্নি পর্ষদের কাছে ইচ্ছাপত্র জমা দিয়েছে টিটাগড় ওয়াগন লিমিটেডও। ভারতের শিল্পমহলের কাছে সিআইআই ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমিত মজুমদারের আর্জি, “ভারত থেকে বাংলাদেশে বিনাশুল্কে রফতানির সুযোগ নিন।” বাংলাদেশকে এশিয়ায় লগ্নির ‘অনাবিষ্কৃত গন্তব্য’ আখ্যা দিয়ে দু’দেশের বাণিজ্যিক সহযোগিতা পোক্ত করার ডাক দেন সৈয়দ সামাদ ও ভারত-বাংলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মাতলাব আহমেদের মতো প্রতিনিধিরা।
• বলরামের নাম প্রস্তাব করল ইস্টবেঙ্গল:পদ্মশ্রীর জন্য তুলসীদাস বলরামের নাম রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের কাছে প্রস্তাব করল ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। সেই প্রস্তাবিত চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে ফেডারেশনের কাছেও। ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, “তুলসীদাস বলরাম ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি দেশকেও অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। কিন্তু তাঁর প্রাপ্য সম্মান পাননি। সে জন্যই আমরা এই উদ্যোগ নিচ্ছি।” এরই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “আমেদ খান, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় সহ ইস্টবেঙ্গলে সাফল্যের সঙ্গে খেলে যাওয়া অনেক ফুটবলারই কিন্তু তাঁদের প্রাপ্য সম্মান পাননি। তাঁদের প্রাপ্য সম্মান এনে দিতে আগামী দিনে আমরা উদ্যোগ নিতে পারি।”
• এক মাস পিছিয়ে গেল তৃণমূলের শহিদ দিবস:পঞ্চায়েত ভোটের জেরে ২১ জুলাই দলের ‘শহিদ দিবসে’র সমাবেশ এক মাস পিছিয়ে দিল তৃণমূল। ধর্মতলার চিরাচরিত জায়গাতেই ওই সমাবেশ ২১ অগস্ট হবে বলে বুধবার ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১৪ জুলাই থেকে ২১ জুলাই রাজ্যের ব্লকে ব্লকে ‘শহিদ স্মরণ’ করবে তৃণমূল। পঞ্চায়েতের ভোটপর্ব ২৯ জুলাই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু তারও বেশ কিছু দিন পরে শহিদ দিবস পালনের প্রশ্নে সুদীপবাবুর বক্তব্য, “আমরা প্রথমে স্থির করেছিলাম, ৯ অগস্ট সমাবেশ করব। কিন্তু রমজানের পরে ৯ অথবা ১০ অগস্ট ঈদ পালিত হতে পারে। সেই অনিশ্চয়তা থেকেই ২১ অগস্ট সমাবেশ হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।” পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের জয় সম্পর্কে নিশ্চিত মুকুল রায় এ দিন বলেন, “পঞ্চায়েতের জয়টা আমরা শহিদদের উৎসর্গ করতে চাই।” প্রসঙ্গত, ২০১১-র বিধানসভা ভোটে জেতার পরে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ব্রিগেড প্যারেড ময়দানে হয়েছিল। সুদীপবাবু জানান, ২১ অগস্টের সমাবেশও ব্রিগেডে করার প্রস্তাব উঠেছিল। কিন্তু সেই সময়ে বৃষ্টিতে ময়দানে সভা করার অসুবিধার কথা চিন্তা করে সেই ধর্মতলাকেই তাঁরা বেছে নিয়েছেন। মমতার নেতৃত্বে ১৯৯৩ সালে ‘মহাকরণ অভিযানে’ পুলিশের গুলিতে মারা গিয়েছিলেন ১৩ জন। সে বারই ধর্মতলায় মমতার নেতৃত্বাধীন তৎকালীন যুব কংগ্রেস ২১ অগস্ট ‘শহিদ দিবস’ পালন করেছিল বলে মুকুলবাবু জানিয়েছেন।
• শতায়ু স্বাধীনতা-যোদ্ধা বিভূতি গুপ্তভায়া প্রয়াত: শতায়ু বাঙালির তালিকা আরও একটু ছোট হল। চলে গেলেন আরও এক শতায়ু বাঙালি বিভূতি গুপ্তভায়া। জন্ম ১৯১১-র জুনে। বয়স হয়েছিল ১০২ বছর। বৃহস্পতিবার রাতে সল্টলেকের বাড়িতে তাঁর জীবনাবসান হয়। শ্বাসকষ্ট-সহ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। প্রবীণ এই স্বাধীনতা সংগ্রামী দীর্ঘদিন আনন্দবাজার পত্রিকায় কাজ করেছেন। পালন করেছেন বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব। স্কুলজীবন আলিপুরদুয়ারে। পরে রাজশাহীতে এবং কলকাতায় কলেজে পড়তে পড়তেই স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়া। জেল খেটেছেন সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গেও। বিপত্নীক বিভূতিবাবুর দুই ছেলে ও দুই মেয়ে আছেন।
• প্রথম স্নাতকোত্তর ফল প্রেসিডেন্সির: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফল শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পরে প্রেসিডেন্সি থেকে এই প্রথম ছাত্রছাত্রীরা পাশ করে বেরোলেন। আগামী ২২ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে ডিগ্রি পাবেন তাঁরা। উপাচার্য মালবিকা সরকার জানান, প্রথম বারে এমএ এবং এমএসসি মিলিয়ে মোট ৩৫৫ জন পরীক্ষা দিয়েছিলেন। পাশ করেছেন ৩১৯ জন। প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণের সংখ্যা ২৮৭। এমএ-তে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১৩৮। পাশ করেছেন ১২১ জন, প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ৯৫ জন। এমএসসি-তে ২১৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯৮ জন পাশ করেছেন। প্রথম শ্রেণি পেয়েছেন ১৯২ জন। উপাচার্য বলেন, “যাঁরা সফল হতে পারেননি, তাঁদের জন্য বিশেষ সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে।” অগস্টের প্রথম সপ্তাহে সেই পরীক্ষা হবে বলে জানান উপাচার্য।
একটি পুরনো বাড়ি মেরামত করে পার্ক সার্কাসে হয়েছে এই নতুন রেস্তোরাঁটি।
• ভারতগৌরব অরুণ, বর্ষসেরা সৌমিক:ভারতগৌরব পুরস্কারে তাঁকে সম্মানিত করা হবে শুনেই অরুণ ঘোষের স্মৃতির ভিড়ে যাঁর ছবি সবার আগে ভেসে উঠল, তিনি ইস্টবেঙ্গল পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম সদস্য বেঙ্কটেশ। যাঁর খেলা দেখার জন্য পুলিশের লাঠিও সহ্য করেছেন অরুণবাবু। শুক্রবার সোনালি দিনগুলো স্মরণ করতে বসে সত্তরোর্ধ্ব অরুণবাবু বললেন, “এত নামী ফুটবলারের ভিড়ে ইস্টবেঙ্গল যে আমার কথা ভেবেছে, সেটাই বড় পাওনা। বেঙ্কটেশের কথা খুব মনে পড়ছে। বেঁচে থাকলে তিনিও এই সম্মান পেতেন।” অরুণবাবু-কে দু’লক্ষ টাকা ও স্মারক দেওয়া হবে। ইস্টবেঙ্গলের বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন সৌমিক দে। গত তিন বছর ধরে লাল-হলুদ রক্ষণের অন্যতম ভরসা। সৌমিক বলছেন, “এই পুরস্কার আমাকে আরও দশ বছর খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করল।” সারা জীবনের স্বীকৃতি পুরস্কার পাচ্ছেন সমরেশ চৌধুরী ও অবনী বসু। পল্টু দাস মেমোরিয়াল ট্রফির জন্য প্রয়াত অশোকলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করা হয়। সেরা সাংবাদিক জয়ন্ত চক্রবর্তী ও চিত্র সাংবাদিক মনোজিৎ চন্দ। সবচেয়ে চমকপ্রদ ব্যাপার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাব ও কলকাতা রেফারি অ্যাসোসিয়েশনকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার ঘোষণা। প্রাক্তনদের পাশে দাঁড়ানোর ঐতিহ্য ইস্টবেঙ্গলে নতুন নয়। শুক্রবার সেই প্রথা মেনেই দীপঙ্কর দে-র ইস্টবেঙ্গলে খেলে অবসর নেওয়ার আবেদনে শিলমোহর দিলেন কর্তারা। তুলুঙ্গাও নতুন মরসুমের দলে থাকবেন। অধিনায়ক মেহতাব হোসেন।
• মমতার পাঁপড়, জিলিপি পেলেন মন্ত্রী-সচিবেরা:মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার রথযাত্রা উপলক্ষে মহাকরণে মন্ত্রী ও বিভিন্ন দফতরের সচিবদের পাঁপড় ও জিলিপি খাওয়ালেন। এ দিন মহাকরণে মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। পঞ্চায়েত ভোটের জন্য মুখ্যমন্ত্রী জেলার মন্ত্রীদের আসতে নিষেধ করেছিলেন। বৈঠকে ছিলেন কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকার মন্ত্রীরা। বৈঠক চলাকালীনই মন্ত্রীদের হাতে প্লেটে করে তুলে দেওয়া হয় পেল্লায় আকারের একটি পাঁপড় ও দু’টি করে জিলিপি। পরে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কর্মীরা মহাকরণে বিভিন্ন দফতরের সচিবদের ঘরে ঘরে গিয়েও পাঁপড় ও জিলিপি খাইয়ে আসেন। মহাকরণ সূত্রের খবর, রথযাত্রা উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী রেলের কেটারিং সংস্থা আইআরসিটিসি-কে পাঁপড় ও জিলিপি সরবরাহ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সচিবদের অনেকেই পাঁপড়, জিলিপি পেয়ে খুশি। তাঁদের আশা, উল্টোরথেও ব্যতিক্রম হবে না।
• আষাঢ়েই শরতের নীলে পুজোর মেজাজ: আষাঢ়ের আকাশে শরতের মেঘ! শুধু তা-ই নয়, মেঘ-বৃষ্টির বদলে মেজাজ চড়েছে রোদেরও। বাংলা ঋতুচক্রের হিসেবে, আষাঢ়-শ্রাবণ ভরা বর্ষার মাস। আকাশ জুড়ে কালো মেঘের মেলা, জল থইথই দুপুর। কিন্তু গত দিন দশেক ধরে সেই মেজাজটাই হারিয়ে গিয়েছে কলকাতা ও সংলগ্ন দক্ষিণবঙ্গ থেকে। আবহবিদেরা বলছেন, জুন মাসের শেষ লগ্ন থেকে বর্ষা কিছুটা মুখ দুর্বল হয়ে পড়াতেই আষাঢ়ের আবহাওয়ার এই পরিবর্তন।
• মোহনবাগানরত্ন বলাইদাস: তাঁর প্রিয় শিষ্য চুনী গোস্বামীর হাতে ‘মোহনবাগানরত্ন’ উঠেছিল আট বছর আগেই। এ বার সবুজ-মেরুন তাঁবুর এই সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছেন চুনীর গুরু বলাইদাস চট্টোপাধ্যায়। সোমবার ক্লাব তাঁবুতে কার্যকরী সমিতির বৈঠকের পর বলাইদাসকে মরণোত্তর ‘মোহনবাগানরত্ন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন সচিব অঞ্জন মিত্র। আগামী ২৯ জুলাই মোহনবাগান দিবসের দিন এই সম্মান গ্রহণের জন্য প্রয়াত বলাইদাসের পুত্র বীরেন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে ক্লাবের তরফে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে। ১৯২০ থেকে টানা আট বছর মোহনবাগানে গোষ্ঠ পাল, উমাপতি কুমারদের সঙ্গে চুটিয়ে সেন্টার হাফে খেলেছেন বলাইদাস। খেলা ছাড়ার পর কোচিং এবং রেফারিং করেছেন সমানতালে। ১৯৪৮-এর লন্ডন অলিম্পিকে এবং ১৯৫১-৫২ মরসুমে ভারতীয় ফুটবল দলের দূরপ্রাচ্য সফরে তিনিই ছিলেন প্রধান কোচ। ওই দলের টি আও, শৈলেন মান্নারাও ‘মোহনবাগানরত্ন’ হয়েছেন তাঁর অনেক আগেই। ফুটবল ছাড়াও বক্সিং, অ্যাথলেটিক্স-সহ একাধিক খেলায় মোহনবাগানের প্রাণপুরুষ ছিলেন বলাইদাস।
• ক্লাসের পড়ায় মন ফেরাতে নয়া প্রযুক্তি: ক্লাসরুমের দেওয়ালে ডিজিটাল বোর্ড। তাতে পাঠ্য সংক্রান্ত লেখার পাশাপাশি ফুটে উঠছে ছবি, গ্রাফ। ফলে বোঝার সুবিধার পাশাপাশি কাটছে একঘেয়েমিও।
স্কুলে যাওয়া হয়নি? ফোন করে বন্ধুদের থেকে জানতে চাওয়ার দরকার নেই। স্কুলের ওয়েবসাইটেই দেওয়া থাকবে ক্লাসে কী পড়ানো হল, তার খুঁটিনাটি। বাড়ি থেকে দেখে নিলেই হল।
ক্লাসরুমের পড়াশোনাকে আকর্ষণীয় করতে এ ভাবেই নিজেদের প্রযুক্তিতে মুড়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে জুলিয়েন ডে স্কুল। এ জন্য তারা গাঁটছড়া বাঁধছে পিয়ারসন এডুকেশন সার্ভিসেসের সঙ্গে। ক্লাসরুমের প্রতি ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পঠনপাঠনের উদ্দেশ্য নিয়েই স্মার্ট ক্লাসের ব্যবস্থা করবে তারা। তবে স্কুলের নাম কিংবা ট্রাস্টিতে কোনও পরিবর্তন আনা হবে না।
বৃষ্টিভেজা ময়দানে খেলোয়াড়দের সঙ্গে ফুটবল নিয়ে মেতেছেন
এক বিদেশিনি ও তাঁর বন্ধু।
• ইতিহাসবিদ বরুণ দে-র জীবনাবসান: প্রয়াত হলেন ইতিহাসবিদ বরুণ দে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। কয়েক দিন ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় তাঁর। বুধবার বরুণবাবুর দেহ তাঁর বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান। বরুণবাবুর স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে আছেন। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সপ্তদশ ও অষ্টাদশ শতাব্দী এবং আধুনিক ভারতের প্রাক্-ঔপনিবেশিক, ঔপনিবেশিক ও স্বাধীনতা-পরবর্তী যুগের সামাজিক-অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ও বাংলার নবজাগরণের সাংস্কৃতিক ইতিহাসে বিশেষ ব্যুৎপত্তি ছিল প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তনী বরুণবাবুর। প্রেসিডেন্সির পরে অক্সফোর্ডের সেন্ট ক্যাথরিনস ও নাফিল্ড কলেজে পড়াশোনা করেন তিনি। অক্সফোর্ড, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন বরুণবাবু।
•
সায়ন্তনের হ্যাটট্রিক যুব দাবায়: অনূর্ধ্ব ১৫, ১৭-র পর এ বার অনূর্ধ্ব ১৯-এও জাতীয় চ্যাম্পিয়ন বাংলার সায়ন্তন দাস। এক বছরের মধ্যেই সব বয়সভিত্তিক বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির আর কারও নেই। স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির এই ছাত্র গত মাসে গুয়াহাটিতে অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দাবায় সেরা হয়েছিল। গত বছর সেপ্টেম্বরে অনূর্ধ্ব ১৫-র জাতীয় খেতাব জেতে নাগপুরে। এ বার লখনউয়ে সফল অ্যালেখিন চেজ ক্লাবের এই দাবাড়ু। বৃহস্পতিবার কেরলের সুনীলদুত লিনা নারায়ণনের বিরুদ্ধে ড্র করে এক পয়েন্ট পাওয়ায় তামিলনাড়ুর ফিডে মাস্টার অরবিন্দ চিদাম্বরমকে পিছনে ফেলে দেয় সায়ন্তন। তার মোট পয়েন্ট দাঁড়ায় ৯.৫। চিদাম্বরম ৯।
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website
may be copied or reproduced without permission.