|
|
|
|
ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে মজার নাটক এ বার সিএবি-তে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
প্রেসিডেন্ট পদ নয়। সচিব পদ নয়। কোষাধ্যক্ষ পদও নয়। সিএবি-র কোনও পদেই নির্বাচনের এ বার নামগন্ধ নেই। কিন্তু নিরীহ ট্রাস্টি বোর্ডের নিয়মমাফিক পরিবর্তনকে ঘিরে যে এমন মজাদার নাটকের মশলা পাওয়া যাবে, কে জানত!
মজাদার কেন? যাঁরা আছেন, তাঁদের অধিকাংশ পদ ছাড়তে চাইছেন না! সিএবি প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার অফিসে নিত্যনতুন হাজির হচ্ছেন সিএবি-র এক-একজন। কেউ বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, কেউ বা আগামী বোর্ডের সম্ভাব্য। পাঁচটা জায়গার জন্য অন্তত গোটা বারো নাম ঘোরাফেরা করছে। তবে আগাম কেউ মনোনয়ন জমা দিতে চাইছেন না। অবস্থা বুঝে নাকি ব্যবস্থা! মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৩ জুলাই। দেখেশুনে সিএবি-র এক কর্তার সরস মন্তব্য, “যা তদ্বির চলছে, সেটা সচিব বা কোষাধ্যক্ষ পদের জন্যও হতে দেখিনি।”
কিন্তু সিএবি-র ট্রাস্টি বোর্ড নিয়ে এত আকর্ষণ কীসের?
ঘটনা হচ্ছে, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য একবার হয়ে যাওয়া মানে পাঁচ বছরের জন্য নিশ্চিন্ত। পাঁচ বছরে কোনও নির্বাচন হবে না। তার মধ্যে প্রেসিডেন্ট বদল হলেও না। দ্বিতীয়ত, ট্রাস্টি বোর্ড আসলে সিএবি-র কাস্টডিয়ান। দৈনন্দিন কাজকর্ম কম, দায়বদ্ধতাও সচিব বা কোষাধ্যক্ষের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম। খবর হচ্ছে, বর্তমানে সিএবি-র যে পাঁচ সদস্যের ট্রাস্টি বোর্ড আছে, তাঁদের মধ্যে তিন জন থেকে যেতে চান। বলা হচ্ছে, অতীতে বিশ্বনাথ দত্ত ছাড়াও কেউ কেউ বহু দিন ট্রাস্টি বোর্ডে ছিলেন। তা হলে এ ক্ষেত্রে নিয়ম মানতেই হবে, কে বলল?
সিএবি-র প্রাক্তন যুগ্ম-সচিব ও বর্তমানে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শরদিন্দু পাল বলছিলেন, “ব্যক্তিগত ভাবে আমি কী চাই না চাই, সেটা অন্য। প্রেসিডেন্টকে আমি নিজের মতামত জানিয়েছি। কে বা কারা আসবে, নিশ্চয়ই বসে ঠিক হবে।” আর এক সদস্য (ইনিও প্রাক্তন সিএবি সচিব) বাবলু কোলে আবার বলছেন, “পাঁচ বছর পর ট্রাস্টি বোর্ড পাল্টে ফেলতে হবে এ রকম নিয়ম রুলবইয়ে নেই। কিন্তু আমি মনে করি, পাঁচ বছর পর এমনিই পরবির্তন হওয়া উচিত।” বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড চেয়ারম্যান পি বি দত্ত অসুস্থ। তাঁর থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। সমস্যা বাকি চারের মধ্যে তিন জনকে নিয়ে।
তা হলে কী নির্বাচন হতে পারে?
সিএবি-র উচ্চপদস্থ কর্তাদের মতে, সম্ভাবনা কম। বরং নতুন ট্রাস্টি বোর্ডকেই নাকি শেষ পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। |
|
|
|
|
|