রোগীর চাপে কুলিয়ে উঠতে পারছিল না এসএসকেএমের ‘স্কুল অফ ডাইজেস্টিভ অ্যান্ড লিভার ডিজিজেস।’ মাত্র ৪৩টি শয্যা থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য রোগী ফিরে যাচ্ছিলেন। যকৃতের রোগীদের শয্যাসঙ্কট মেটাতে সোমবার দু’টি নতুন ওয়ার্ড চালু হল এসএসকেএমে হেপাটোলজি ও পেডিয়াট্রিক গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি। দু’টিতেই শয্যা রয়েছে ২০টি করে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ফ্রি বেড। মঙ্গলবার থেকেই দুই ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি শুরু হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যে এসএসকেএম-এ যকৃতের রোগ নিয়ে গবেষণার জন্য একটি বায়োজেনোমিক্স ল্যাবরেটরি কাজ শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন কতৃর্পক্ষ।
|
এসএসকেএম-এর সুপার তমাল ঘোষ জানান, জায়গার অভাবে শয্যা বাড়ানো যাচ্ছিল না। এ দিকে যকৃতের রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শেষ পর্যন্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের পাশে এসএসকেএম পলিক্লিনিকে নতুন ওয়ার্ড খোলার কথা ভাবা হয়। কারণ পলিক্লিনিক অনেক দিন থেকেই ভাল চলছিল না। অনেক জায়গা পড়ে ছিল। তমালবাবু জানান, “এতদিন যকৃতের অসুখে আক্রান্ত শিশুরোগীদের মূলত মায়েদের সঙ্গে ফিমেল ওয়ার্ডে রাখা হত। এখন তাদের পেডিয়াট্রিক গ্যাসট্রোএন্টেরোলজিতে রাখা যাবে। আর ইমার্জেন্সি ছাড়া ক্রনিক পেটের অসুখে আক্রান্তদের একটু বেশিদিন ধরে হেপাটোলজির এই বর্ধিত অংশে স্থানান্তরিত করা হবে।”
গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি-র বিভাগীয় প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালির কথায়, “স্কুল অফ লিভার ডিজিজেস-এ গ্যাসট্রোএন্টেরোলজি-র, হেপাটোলজি ও গ্যাসট্রো ইন্টেস্টেইনাল সার্জারি মিলিয়ে মাত্র ৪৩ শয্যায় এসএসকেএমের মতো সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে কুলিয়ে ওঠা যাচ্ছিল না। অতিরিক্ত শয্যার খুব দরকার ছিল। এতদিনে তা হল। আমাদের ডাক্তার যথেষ্ট রয়েছে। নতুন দুই ওয়ার্ডের জন্য আলাদা করে ৮ জন নার্স আনা হয়েছে। ফলে পরিষেবা শুরু করতে সমস্যা হবে না।” |