‘আশা করছি সুস্মিতা আমার লেডি লাক নিয়ে আসবে’
দেবাশিষ সেন • কলকাতা |
অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে নিজের বিবাহিত জীবন শুরু করে ফেললেন মনোজ তিওয়ারি।
হাওড়ার এক অভিজাত ক্লাবে বৃহস্পতিবার রাতে বিয়ে করলেন মনোজ। পাত্রী সুস্মিতা রায়ের
সঙ্গে সাত বছরের প্রেম শেষে। বিয়ের কথা ঘুণাক্ষরেও কেউ টের পায়নি। বাংলার সতীর্থদের
কেউ কেউ জানতেন না। সিএবি কর্তাদেরও দেখা যায়নি। ভারতীয় দলের টিমমেট প্রজ্ঞান ওঝা ছিলেন।
রাতের দিকে দেখা গেল অশোক দিন্দাকে। বিয়ের শেষে একান্ত সাক্ষাৎকারে মনোজ তিওয়ারি বললেন... |
প্রশ্ন: টেনসড লাগছে?
মনোজ: টেনসড তো ছিলামই। কিন্তু এই দিনটার জন্য অনেক দিন অপেক্ষাও করেছি। চোটটা আমার কাছে শাপে বর হল বলতে পারেন। আমি সব সময় অদৃষ্টে বিশ্বাস করে এসেছি। ভেবে এসেছি, যখন যা ঘটার, ঘটবেই। এখন বিয়েটা হওয়ার ছিল। আয়্যাম ভেরি হ্যাপি টু গেট ম্যারেড।
প্র: কিন্তু এত গোপনীয়তা কেন? বাংলার তারকা ক্রিকেটার বিয়ে করে ফেললেন, আর অর্ধেক লোকে জানলই না!
মনোজ: গোপনীয়তার কিছু নেই। ব্যাপারটা একটু ব্যক্তিগত রাখতে চেয়েছিলাম। দেখলাম এখন হাতে সময় আছে। অপারেশনের ডেট পিছিয়ে গিয়েছে। তাই সেরে ফেললাম। ভাল লাগছে এটা ভেবে যে সাত বছরের প্রেম এত দিনে পূর্ণতা পেল।
প্র: প্রেমের দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে?
মনোজ: সবই মনে আছে। বলতে পারেন ইট ওয়াজ আ লাভলি জার্নি। মনে রাখার মতো একটা সফর। কিন্তু সেটা সুস্মিতা সঙ্গে না থাকলে সম্ভব হত না। |
নবদম্পতি: বিয়ের আসরে মনোজ-সুস্মিতা। বৃহস্পতিবার। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
প্র: ভারতীয় দলের কারও থেকে শুভেচ্ছা পেলেন?
মনোজ: এখনও সে রকম না। অর্ধেকে তো জানতই না আমার বিয়ের কথা। এখন দেখছি অনেকেই জেনে গিয়েছে। ভারতীয় টিমের কয়েক জন বন্ধুবান্ধব এসেছে। সুরেশ রায়না টুইটও করেছে শুনলাম। দেখা হয়নি। দেখে উত্তর দেব ওকে।
প্র: সুস্মিতাকে প্রশ্নটা করছি। মনোজের আচমকা চোট লাগল। ভারতীয় দলের বাইরে। সময়টা ভাল যাচ্ছে না। আপনি তা হলে এ বার মনোজের লেডি লাক নিয়ে আসছেন?
মনোজ: (সুস্মিতাকে থামিয়ে) হ্যাঁ, হ্যাঁ, ও লেডি লাক নিয়ে আসবে। (দু’জনের হাসি)।
প্র: সুস্মিতাকে আরও একটা প্রশ্ন। ক্রিকেটার মনোজকে আমরা জানি। মানুষ মনোজ কেমন?
সুস্মিতা: খুবই ভাল মানুষ। গর্ব হচ্ছে যে ও আমার স্বামী।
প্র: আর হাজব্যান্ড মনোজ কেমন হবেন বলে মনে হয়?
সুস্মিতা: (একগাল হেসে) ভালই হবে। হি ইজ আ নাইস গাই। |
|