|
|
|
|
ডোপ বিতর্ক ক্রিকেটেও |
ধরা পড়লেন কেকেআরের সঙ্গওয়ান
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি ও কলকাতা |
আইপিএলে স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারির আগুন এখনও নেভেনি। রাজস্থান রয়্যালসকে নিয়ে বিতর্ক এখনও চলছে পুরোদমে। কিন্তু তার মধ্যেই এ বার নতুন কেলেঙ্কারি ফাঁস হয়ে গেল আইপিএলে।
শিরোনামে এ বার ডোপিং। এবং যেখানে সর্বপ্রথম জড়িয়ে পড়লেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের এক ক্রিকেটার। তিনি— প্রদীপ সঙ্গওয়ান।
আইপিএল সিক্সের সময় যে র্যান্ডম ডোপ টেস্ট হয়েছিল, তাতে ফেল করেছেন সঙ্গওয়ান। আইপিএলে ডোপিং কাণ্ডে এর আগে জড়িয়েছিলেন মহম্মদ আসিফ। তার পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সেই তালিকায় কেকেআরের বাঁ হাতি পেসারের নাম। ইতিমধ্যেই দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কাছে বোর্ডের চিঠি চলে গিয়েছে। যেখানে পরিষ্কার করে লেখা, দিল্লির পেসারের মূত্রের ‘এ’ নমুনার রিপোর্ট পজিটিভ। অর্থাৎ, তিনি নিষিদ্ধ ড্রাগ ব্যবহার করেছন আইপিএলে।
সঙ্গওয়ান এই মুহূর্তে লন্ডনে। তবে তাঁর কোচ অমরনাথ শর্মা আনন্দবাজারকে জানালেন, আইপিএল শুরুর আগে কাঁধের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন সঙ্গওয়ান। তখনই স্থানীয় এক ডাক্তারের থেকে ব্যথা কমানোর ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন। সেখান থেকে ব্যাপারটা হয়ে থাকতে পারে। “আমার সঙ্গে সঙ্গওয়ানের কথা হয়েছে ফোনে। ও-র তেমনই সন্দেহ। |
|
কেকেআরে সঙ্গওয়ান
২ ম্যাচ ৪ রান
০ উইকেট
১২.৭৫ ইকনমি |
|
সঙ্গওয়ান মনে করছে আইপিএলের আগেই ব্যাপারটা ঘটে গিয়েছে। ওর অজান্তে।” তবে সঙ্গওয়ান ঠিক কী ড্রাগ নিয়েছেন, সেটা এখনও পরিষ্কার নয়। মূত্রের ‘বি’ স্যাম্পেলের রিপোর্ট এখনও আসেনি। সাধারণত দু’রকম ড্রাগ থাকে। এক, পারফরম্যান্স এনহ্যান্সিং ড্রাগ। যা নিয়ে সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটারের পারফর্ম করার ক্ষমতা বেড়ে যায়। দুই, নিষিদ্ধ ড্রাগ। সঙ্গওয়ানের ব্যাপারে মনে করা হচ্ছে, তিনি সম্ভবত নিষিদ্ধ কোনও ড্রাগ নিয়ে ফেলেছেন। পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য নেননি। যার ফলে তাঁর শাস্তি শেষ পর্যন্ত গুরুতর না-ও হতে পারে।
কী শাস্তি হতে পারে সঙ্গওয়ানের?
বোর্ড সূত্রের খবর, সঙ্গওয়ান যেহেতু প্রথম বার এ ব্যাপারে জড়িয়েছেন সেক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ দু’বছর তাঁকে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হতে পারে। কিন্তু দ্বিতীয় বার একই জিনিস ঘটলে, আজীবন নির্বাসন হতে পারে। কেকেআর ম্যানেজমেন্ট এ ব্যাপারে কোনও দায় নিচ্ছে না। বলা হচ্ছে, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সমস্ত ক্রিকেটারের হাতে চার্ট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যেখানে লেখা ছিল, কোন কোন ড্রাগ নেওয়া যাবে। কোনটা নেওয়া যাবে না। এর পর ক্রিকেটারের দায়িত্ব সেটা মেনে চলা। আরও বলা হচ্ছে, কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষেই সম্ভব হয় না ক্রিকেটারদের উপর চব্বিশ ঘণ্টা নজরদারি করে চলা। কিন্তু কেকেআর সঙ্গওয়ানকে নির্বাসনে পাঠাবে কী? শুনে এক কেকেআর কর্তা বৃহস্পতিবার রাতে বললেন, “আমরা কেন কিছু করতে যাব? ও তো আমাদের আর ক্রিকেটারই নয়। সমস্ত ক্রিকেটারের সঙ্গে চুক্তি এ বছর শেষ হয়ে গিয়েছে। সঙ্গওয়ানের সঙ্গেও।” সঙ্গে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এ বছর নিলাম আছে। সেখানে আবার নতুন করে সব হবে। সঙ্গওয়ানকে আর কেকেআর নেবে, গ্যারান্টি কোথায়? তবে টিম ম্যানেজমেন্টের কেউ কেউ এখনও কড়া কোনও মন্তব্যে যেতে রাজি নন। যেমন সহকারী কোচ বিজয় দাহিয়া। বলছিলেন, “ওর বি স্যাম্পেলের রিপোর্ট এখনও আসেনি। তাই আগাম কিছু বলা উচিত হবে না।”
|
|
|
|
|
|