দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগে মাঠে হাজির স্বয়ং রানি এলিজাবেথ! দু’দলের ক্রিকেটারদের
সঙ্গে
হাত মেলানোর পরে বসে খানিক্ষণ খেলাও দেখে যান রানি। ছবি: রয়টার্স |
ওয়াটসনও ক্লার্কের অভাবনীয় ‘ভরসা’র মূল্য দিয়ে দ্বিতীয় বলেই কুকের (১২) দামী উইকেট তুলে নেন। পরের ওভারেই ট্রেন্টব্রিজে ‘ডিআরএস’ বিতর্কিত প্রথম টেস্ট নাটকীয় জেতা ইংল্যান্ডের লর্ডসে স্কোর দাঁড়ায় ২৮-৩। রানির পাশে বসে তখন হাওয়ার্ড হাততালি দিচ্ছেন।
এক ওভারে জোড়া ধাক্কা দেন এক বছরেরও বেশি পর টেস্টে নামা হ্যারিস (৩-৪৩)। তেত্রিশ বছর বয়সি পেসার নানাবিধ চোটে কেরিয়ারের মাত্র ১৩তম টেস্ট খেললেও নিজের চতুর্থ ওভারে চার বলের ব্যবধানে আউট করেন রুট (৬) আর পিটারসেনকে (২)। রুট তাঁর এলবিডব্লিউ আউটে ‘ডিআরএস’ চান। ওই সময় মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখানো ‘ডিআরএস’ ব্যাপারটা রানিতে বোঝাতে দেখা যায় ইংল্যান্ড মহিলা ক্যাপ্টেন শার্লটকে। এবং লর্ডসের হক-আই রায় দিল, মাঠের আম্পায়ার ধর্মসেনার সিদ্ধান্তই সঠিক।
|
রানির জন্য এ দিন টেস্ট শুরু হতে মিনিট পনেরো দেরি হল। কুকদের সঙ্গে পরিচয় পর্ব সেরে
রানি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর লর্ডসের রীতি মেনে ঘণ্টা বাজিয়ে অ্যাসেজের দ্বিতীয় লড়াইয়ের সূচনা করেন
স্টিভ ওয়। অস্ট্রেলীয় কিংবদন্তি পরে বলেন, “বিরাট সম্মান। দিনটা সারা জীবন মনে থাকবে।” ছবি: এএফপি |
তার পর থেকে স্মিথের আবির্ভাব না ঘটা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের আর কিছু ‘ঠিক’ যায়নি। প্রথমে ট্রটের (৫৮) সঙ্গে ৯৯ রান যোগ করে ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসের ভিত গড়ার পর বেল পঞ্চম উইকেটে বেয়ারস্টোকে নিয়ে ১৪৪ রানের পার্টনারশিপ খেলেন। কাল কুকের প্রেস মিটে মহিলা সাংবাদিক অজ্ঞান হয়ে পড়লে তিনি সুস্থ হলে ইংল্যান্ড অধিনায়ক রসিকতা করেন, “তা হলেই বুঝুন আমার প্রভাব কী!” এ দিন মাঠে কুকের ‘প্রভাব’ ক্লার্কের দলকে অজ্ঞান করতে পারেনি!
|
অ্যাসেজের ধাক্কায় ডিআরএস নিয়ে সুর নরম
নিজস্ব প্রতিবেদন |
এত দিন ভারতের যুক্তি কেউ শুনতে না চাইলেও অ্যাসেজের প্রথম টেস্টে মাইকেল ক্লার্কের দল ডিআরএসের গুঁতো খাওয়ায় এ বার নড়েচড়ে বসেছে ক্রিকেট বিশ্ব। খোদ আইসিসি যে এ বার ডিআরএস নিয়ে ভারতের আপত্তিকে গুরুত্ব দিতে পারে এমন ইঙ্গিতও পাওয়া গেল আইসিসি চিফ এক্সিকিউটিভ ডেভ রিচার্ডসনের মন্তব্যে। তিনি কার্যত মেনেই নিলেন যে, ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম এখনও নিখুঁত হয়ে উঠতে পারেনি, এত দিন ধরে যা বলে আসছে ভারতীয় বোর্ড। লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টের লাঞ্চের সময় টিভি স্টুডিওয় বসে রিচার্ডসন বলেন, “ভারতের আপত্তির পিছনে যুক্তি আছে। কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্ক অবশ্যই রয়েছে। সেগুলো শুধরে নিতেই হবে। তা ছাড়া যে কোনও সদস্য দেশই আপত্তি জানাতে পারে। দশের মধ্যে অন্তত সাতটা দেশ যদি কোনও ব্যাপারে একমত হয়, তা হলেই সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব।” |
প্রথম টেস্টে যে সাতবার আম্পায়াররা ভুল সিদ্ধান্ত নেন ও তার মধ্যে চারবার তা শুধরে দেওয়া হয়, এই তথ্য আইসিসি-ই জানিয়েছে। এই নিয়ে হঠাৎ বেশ চিন্তিত হয়ে উঠেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তনরা। এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটে তাঁর স্পষ্ট স্বীকারোক্তি, “এখন বুঝতে পারছি, কেন ভারত এর বিরুদ্ধে। এটা (ডিআরএস) কোনও সমস্যার সমাধান নয়, বরং নিজেই একটা বড়সড় সমস্যা হয়ে উঠছে। মাইকেল ক্লার্কের কথা শুনে তো বোঝাই গেল, এটা এখন ক্যাপ্টেনদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে।” ভারত যে কথা এত দিন বলে বোঝাতে পারেনি, এখন এক ধাক্কায় তা বুঝতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া ও আইসিসি। |