বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতার মহাবোধি সোসাইটি নিয়ে সতর্ক হল লালবাজার। পুলিশ সূত্রের খবর, পুলিশকর্তারা মহাবোধি সোসাইটি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে শহরের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতেও।
পুলিশ জানিয়েছে, কলেজ স্কোয়ারের পিছনে বঙ্কিম চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মহাবোধি সোসাইটিতে সারা বছরই নিরাপত্তা সংক্রান্ত নজরদারি থাকে। এ দিন বিকেলে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানার ওসি-সহ পুলিশ অফিসারেরা মহাবোধি সোসাইটিতে গিয়ে কথা বলেন। পুলিশ সূত্রের খবর, রাত থেকে মহাবোধি সোসাইটিতে নিরাপত্তা বসানোর কথা বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ দিন মহাকরণ থেকে এক প্রতিনিধি মহাবোধি সোসাইটিতে যান। মহাবোধি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ডি রেবতা থেরো বলেন, “মহাকরণ থেকেও এক প্রতিনিধি এসেছিলেন বলে শুনেছি। তবে আমার সঙ্গে তাঁর দেখা হয়নি।” |
মহাবোধি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক এ দিন জানিয়েছেন, বিহারের ঘটনায় মাওবাদীদের হাত থাকতে পারে। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, সাধারণ সম্পাদকের এই মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন লালবাজারের শীর্ষকর্তারাও।
এ ছাড়াও, শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান নিয়েও বিশেষ রিপোর্ট তৈরি করতে বলা হয়েছে গোয়েন্দাদেরও। সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন হয়েছে। কালীঘাট, চিড়িয়াখানা-সহ নানা স্থানে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে পুলিশকর্তারা জানান।
বুদ্ধগয়ার বিস্ফোরণের জেরে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ফোনেও নাজেহাল হচ্ছেন মহাবোধি সোসাইটি কর্তৃপক্ষ। সাধারণ সম্পাদক জানান, আগামী মাস থেকেই বুদ্ধগয়ায় পর্যটকদের ঢল নামার কথা। কিন্তু এই ঘটনার পরে অনেকেই আসতে ভয় পাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই মন্দির দর্শনের পরিকল্পনা বাতিল করতে চেয়ে ফোন আসতে শুরু করেছে। সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জাপান, শ্রীলঙ্কার মতো অনেক দেশ থেকেই ঘন ঘন ফোন আসছে। কী হয়েছে, তা জানতে চাইছে সে দেশের প্রশাসন। তাঁদের নিরাপত্তা বাড়ানো হবে বলেই আশ্বাস দিয়েছি।” |