বাঘছাল জড়িয়ে বাঘের ঘরে বাসা বাঁধতে গিয়ে ধরা পড়ে গেল এক প্রতারক। আইপিএস পরিচয়ে ভবানী ভবনে সিআইডি-র সদর দফতরে ঢুকে পড়েছিল সে। পেশাদার গোয়েন্দাদের কারও চোখে প্রথমে তা অস্বাভাবিক লাগেনি। কারণ, পরিচয় দিতে গিয়ে নিজেকে মহারাষ্ট্র ক্যাডারের প্রবেশনার হিসেবে দাবি করেছিল ওই যুবক। সেই পরিচয়ে ছ’মাসে বার তিনেক সিআইডি দফতরে এসে ‘খাতির যত্নও’ পায়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। মহারাষ্ট্র পুলিশের জাল পরিচয়পত্র সমেত বৃহস্পতিবার ধরা পড়ে যায় অর্পণ চক্রবর্তী নামে ওই যুবক।
সন্দেহের সূত্রপাত দু’মাস আগে। অর্পণের কথায় সন্দেহ হয় এক কর্তার। নিজেকে ২০১২ সালের আইপিএস হিসেবে পরিচয় দিলেও অর্পণ জানায়, সে ২০১৩ সালে আইএএস পরীক্ষায় বসেছে। এক সিআইডি-কর্তার কথায়, “পরীক্ষার খুঁটিনাটি জানতে চাইলে ও আমতা-আমতা করতে থাকে। তখনই সন্দেহ হয়।” সিআইডি মহারাষ্ট্র পুলিশে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, ওই নামে কোনও আইপিএস নেই। এ দিন দুপুরে স্পেশাল সুপার (সদর) তমাল বসুর ঘরে অপর্ণকে চা খেতে ডাকা হয়। অর্পণ উপস্থিত হলে গোয়েন্দারা তাকে গ্রেফতার করেন।
সিআইডি ডিআইজি (স্পেশাল) শঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, “যুবকটি বার দুয়েক আমার ঘরে এসেছিল। সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ নিতে বলি। তখনই পরিষ্কার হয়, মহারাষ্ট্র ক্যাডারে ওই নামে কেউ নেই।” কী মতলবে আইপিএসের ভেক ধরে ভবানী ভবনে আসত অর্পণ, তা পরিষ্কার নয়। তবে সিআইডি-র এক কর্তা বলেন, “প্রবেশনার হিসেবে অনেকে আসেন। সে ভাবেই হয়তো ওই ছেলেটি কারও সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়ের সুবাদে ঢুকেছিল। এমন নয় যে সে নিয়মিত ভবানী ভবনে ওঠাবসা করত।” |