ইদানীং একটি দিনও কাটে না যে দিন মেট্রো কোনও সমস্যা ছাড়া দৌড়য়। বৃহস্পতিবারও সেটিই ঘটল খানিকটা চড়া মাত্রায়। দমদমে পয়েন্টের গোলমালে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে প্রায় দেড়টা পর্যন্ত ব্যাহত হল মেট্রো চলাচল। বাতিল করতে হল ছ’জোড়া আপ ও ডাউন ট্রেন। চূড়ান্ত দুর্দশায় পড়লেন যাত্রীরা।
কেজো দিনের দুপুরে দমদম স্টেশনের কাউন্টারগুলিতে তখন লম্বা লাইন। আচমকাই টোকেন বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হল। কেন? মেট্রো সূত্রের খবর, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ আপ প্ল্যাটফর্মের একটি ট্রেন যাত্রীদের নামিয়ে ডাউন প্ল্যাটফর্মে ঘুরে আসতে গিয়ে আটকে যায়। থমকে যায় দমদম থেকে ট্রেন চলাচল। দুপুরের ওই সময়ে ভিড় কম থাকে না। বহু স্কুলের ছুটি হয়, পড়ুয়ারা বাড়ি ফেরে। মেট্রো বিগড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েন সকলেই।
শুধু দমদম নয়, বিভিন্ন স্টেশনেই কোথাও ১০ মিনিট, কোথাও ১৫ মিনিট, কোথাও বা ২৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে যাত্রীরা আটকে থাকেন। দমদমে আপ ও ডাউন লাইনের সংযোগে (ওয়াই সাইডিং) ট্রেন আটকে থাকায় উল্টো দিকে কবি সুভাষ স্টেশনের দিক থেকে দমদমমুখী ট্রেন ঢুকতেও সমস্যা হয়। মাঝপথে আটকে থাকে কিছু ট্রেন। বেশ কিছুক্ষণ ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পরে কবি সুভাষমুখী ডাউন লাইনে গিরিশ পার্ক স্টেশন থেকে ট্রেন চালু করা হয়।
দমদমেও ২৫ মিনিট যাত্রীরা ট্রেনের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকার পরে ঘোষণা করা হয়, আপ প্ল্যাটফর্ম থেকেই কবি সুভাষের ট্রেন ছাড়বে। যাত্রীরা পড়ি-মরি করে প্ল্যাটফর্ম বদল করেন। তখনই ট্রেন ছাড়েনি। বরং ফের ঘোষণা হয়, ডাউন প্ল্যাটফর্ম থেকেই ছাড়বে ওই ট্রেন। নোয়াপাড়া থেকে একটি এসি রেকও আনা হয়। দুপুর সওয়া একটা নাগাদ দমদম থেকে আবার ট্রেন রওনা হলেও দেখা যায় রেকটির এসি চলছে না। অনেক কামরায় আলোও জ্বলছে না। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিনই মেট্রোয় কিছু না কিছু সমস্যা হচ্ছে। ট্রেন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কখন ট্রেন ছাড়বে, মেট্রো কর্তৃপক্ষ ঠিকঠাক ঘোষণা না-করার ফলেও সমস্যা বাড়ে বলে অভিযোগ।
পরে মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “দমদমের ওয়াই সাইডিংয়ে একটি পয়েন্ট গোলমাল হয়ে যায়। তাই খারাপ হয়ে যায় সিগন্যালও। ফলে এ দিন ট্রেনের গোলমাল হয়েছে।” |