নিউটাউন রাজারহাট উপনগরীকে ঘিরে রেখেছে যে অজস্র গ্রাম সেই গ্রামগুলোতে আজ ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন। এ দিন ওই গ্রামগুলোতে সারাদিনই চললো পুলিশি টহল। নিউটাউন ও রাজারহাট সংলগ্ন এলাকাতে রয়েছে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চয়েত। এই গ্রাম পঞ্চায়েতগুলোর মধ্যে মহিষবাথান দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ও পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাতেই বেশি পুলিশি টহল হয়। পুলিশ জানিয়েছে, নিউটাউন থানা এলাকার মধ্যে রয়েছে ৬৩ টি বুথ। এর বুথগুলির মধ্যে অতি স্পর্শকাতর ও বুথ রয়েছে ৫০টি এবং স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ১৩টি। রাজারহাট থানার অধীনে যে বুথগুলি রয়েছে তার মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ২৩টি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউন থানা এলাকার মহিষবাথান, মহিষগোট, ঠাকুরদারি, বালিগুড়ি, লস্করহাটি, লাঙলপোতা গ্রামগুলিতে গ্রামগুলোতে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। নিউটাউন থানা এলাকার বিভিন্ন বুথে ২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও ৪০০ মতো পুলিশ মোতায়ান করা হচ্ছে।
এ দিকে মহিষবাথান এলাকায় বহিরাগতদের ঘাটি গাড়া নিয়ে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। অভিযোগ, মহিষবাথান এলাকায়, ও সল্টলেকের সেক্টর কয়েকটি গেষ্ট হাউসে ইতিমধ্যে বহিরাগতরা জমায়েত হতে শুরু করেছেন। এলাকার সিপিএম এর প্রাক্তন বিধায়ক রবীন মণ্ডল বলেন, “মহিষবাথানে আমাদের প্রার্থীরা গ্রাম ছেড়ে চলে গিয়েছে। ৫৬টি বাড়ি গ্রাম ছাড়া। মহিষবাথানে আমাদের কোনও ভোটের প্রচার করতে দেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল ওই এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছে।” যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, “সিপিএম এর এই অভিযোগ মিথ্যা। ওরা যে ভোট প্রচার করেছে তার ভিডিও রেকর্ডিং পুলিশ করেছে। সন্ত্রাসের কোনও অভিযোগই ধোপে টেকে না।” বিধাননগর কমিশনারেটের এডিসিপি সন্তোষ নিম্বলকর বলেন, “সন্ধ্যাবেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এলাকায় টহল দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত এলাকায় অশান্তির খবর নেই।” |