রাজারহাট-নিউ টাউনে ১০ একর জায়গা জুড়ে উন্নত মানের বাস ডিপো তৈরি হবে। মহাকরণ সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে আগামী ২৭ জুলাই নগরোন্নয়ন এবং পরিবহণ দফতরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। ঠিক হয়েছে, রাজারহাটে ডিরোজিও কলেজের পাশে অ্যাকশন এরিয়া ২ডি-তে হবে ওই ডিপো। মহাকরণের এক কর্তা জানান, প্রস্তাবিত ডিপোটি থেকে আন্তর্জাতিক, আন্তঃরাজ্য এবং অন্তঃরাজ্য বাস চলাচল করবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য থাকবে আধুনিক প্রতীক্ষালয়, খাবার জায়গা, জ্বালানি কেন্দ্র, বিশ্রামকক্ষ সব কিছুই। মহাকরণের ওই কর্তা বলেন, “চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরুতে এমন কয়েকটি ডিপো রয়েছে। দফতরের এক প্রতিনিধিদল খুব শীঘ্রই ওই সব শহরের বাস ডিপোগুলি দেখে আসবে। তার পরেই রাজারহাটের ডিপোর চূড়ান্ত নকশা তৈরি হবে।” ওই কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, ডিপোটি বহুতল করা হবে। দোতলায় হবে যাত্রীদের জন্য বিশ্রামাগার এবং প্রতীক্ষালয়। তার উপরের তলগুলি বাণিজ্যিক ভাবে ব্যবহৃত হবে। তাঁর কথায়, “ওই ডিপো থেকেই ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাস চলবে। ওখানকার যাত্রীদের জন্য কারেন্সি এক্সচেঞ্জ কেন্দ্রও থাকবে।”
|
দুই ২৪ পরগনা ও হাওড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রভাব পড়ছে কলকাতার কিছু স্কুল-কলেজেও। আজ, শুক্রবার কয়েকটি স্কুল-কলেজে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তালিকায় রয়েছে দিল্লি পাবলিক স্কুল (ডিপিএস) নিউ টাউন ও মেগাসিটি, ডিপিএস রুবি পার্কের প্রাথমিক বিভাগ, বেথুন কলেজ। যে সব ছাত্র-শিক্ষকের বাড়ি ওই জেলাগুলিতে, তাঁদের কথা মাথায় রেখে এবং যানবাহনের অভাবে বাকিদেরও যাতায়াতে সমস্যার আশঙ্কায় এই ছুটি। বন্ধ থাকছে কলকাতার প্রায় সাড়ে তিনশো প্রাথমিক স্কুল। নির্বাচনের কাজে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের ব্যবহার করায় প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধ রাখা হচ্ছে বলে স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। যদিও অনেক স্কুল-কলেজ জানিয়েছে, নির্বাচনের জন্য এ দিন ছাত্র-শিক্ষকের হাজিরা অন্যান্য দিনের থেকে কম থাকতে পারে। তবে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে না। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, যেখানে নির্বাচন, কেবল সেই সব জায়গার স্কুল-কলেজই বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “বেথুনে শিক্ষাকর্মীরা ভোটের কাজে গিয়েছেন। তাই সেখানে ছুটি। সরকারি কলেজে ১১৫ দিন ছুটি দেওয়ার বন্দোবস্ত রয়েছে, ছুটিটা সেই হিসেবেই দেওয়া হয়েছে। এতে কাজের দিন নষ্ট হবে না।”
|
বছর কুড়ি আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে ১৩ জন মারা যান। সেই দিনের স্মরণে শহিদ দিবস থেকে মমতা-সরকারের বিরুদ্ধেই এ বার মহাকরণ ঘেরাওয়ের ডাক দিতে চলেছে বর্তমান যুব কংগ্রেস। ২০০৮ সালের পর এ বার গাঁধী মূর্তির পাদদেশে শহিদ দিবসের সমাবেশের আয়োজন করছে যুব কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস শীর্ষ নেতারা তো থাকবেনই, দিল্লি থেকে সি পি জোশী, শাকিল আহমেদ খানের মতো এআইসিসি-র পদাধিকারীরাও যোগ দেবেন। প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সভাপতি সৌমিক হোসেন বৃহস্পতিবার বলেন, “কংগ্রেস ও যুব কংগ্রেস কর্মীদের উপর শাসক দলের অত্যাচার, পুলিশি হেনস্থার প্রতিবাদে মহাকরণ ঘেরাও কর্মসূচি শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ঘোষণা করব।” ১৯৯৩ সালের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক থেকে তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব মণীশ গুপ্তেরও শাস্তি চাইবেন সৌমিকরা।
|
যোধপুর পার্কে ফরাসি তরুণীর শ্লীলতাহানি ও তাঁর সঙ্গী যুবককে খুনের চেষ্টার ঘটনায় ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে ৪ জন। আর ১ অভিযুক্তকে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক। ঘটনার পরেই রবিবার কমল নস্কর বলে এক অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই দিনই জামিন পায় সে। বৃহস্পতিবার তার জামিন খারিজের আবেদন করে আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় পুলিশ। প্রথমে পুলিশ শুধু মারধর ও কটূক্তির মতো লঘু ধারায় মামলা দায়ের করে। সেই সুযোগে জামিন পায় কমল। পরে খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির মতো জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের হয়। মঙ্গলবার ছোটু হালদার, বুবাই হাজরা ও নেপাল সর্দার নামে আরও তিন জন গ্রেফতার হয়। কমল বাদে সকলেই পুলিশ হেফাজতে। পুলিশের দাবি, ঘটনার দিন অভিযুক্তরা সকলেই মত্ত অবস্থায় ছিল। প্রতেক্যের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
|
রাজ্য সরকার ২০ বছর আগে একটি বাড়ি অধিগ্রহণ করেছিল রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে। এত দিনে বাড়িটি ফিরে পাচ্ছেন তার মালিক। ওই বাড়িতে ছিল সরকারের অধীন সংস্থা তন্তুশ্রী। নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ২০১১-র ১৬ নভেম্বর ভূমি দফতরের উপসচিব ওই বাড়ির অধিগ্রহণ খারিজ করে দেন। কারণ হিসেবে বলা হয়, তন্তুশ্রী রুগ্ণ। তাই বাড়িটি রাখার প্রয়োজন নেই। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে তন্তুশ্রী বলে, রাজ্যে তাদের প্রায় ৬০টি দোকান, ৬০০ জন প্রত্যক্ষ কর্মী রয়েছেন। বাড়িটি যেন মালিকের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া না-হয়। বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য বাড়িটি মালিককে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। ডিভিশন বেঞ্চে যায় তন্তুশ্রী। বিচারপতি প্রণব চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ বৃহস্পতিবার জানায়, অধিগ্রহণ খারিজের পরে ওই বাড়িতে সরকারের কোনও সংস্থার অধিকার নেই। দ্রুত বাড়িটি তার মালিক অনিল তোদিকে ফিরিয়ে দিতে হবে। |