ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে ছড়িয়ে থাকা বিভিন্ন বাসগুমটির বৈধতা নিয়ে এ বার প্রশ্ন তুলল হাইকোর্ট। আদালত জানতে চেয়েছে, যে সব বাসগুমটি ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে রয়েছে, সেগুলির ওই জায়গায় থাকার ব্যাপারে রাজ্য সরকারের কোনও বৈধ অনুমতিপত্র রয়েছে কি না। তা না-থাকলে কী ভাবে গুমটিগুলি গজিয়ে উঠেছে, তা-ও জানতে চেয়েছে আদালত।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড অন্যত্র সরানোর ব্যাপারে বহু দিন আগেই সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল। এর আগে ২০০৭ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্ট তিন মাসের মধ্যে বাস টার্মিনাস সরাতে বলেছিল। পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে যায়। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কোনও সময়সীমা না দিলেও রাজ্যকে নির্দেশ দিয়ে বলেছিল, ওই বাস টার্মিনাস সরিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা আজ পর্যন্ত সরেনি। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানি চলছিল। |
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন এই মামলায় যুক্ত হওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করে ‘কলকাতা বাস অপারেটর্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’। অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাদের কৌঁসুলি আদালতকে জানান, বাসমালিকেরা বহু টাকা ধারদেনা করে জেএনএনইউআরএম-এর বাস কিনে চালাচ্ছেন। তাই এই মুহূতের্র্ বাস টার্মিনাস উঠে গেলে তাঁদের সকলের রুজি বিপন্ন হবে। এ জন্য তাঁদের প্রস্তাব, শেষ পর্যন্ত বাস টার্মিনাস উঠে গেলেও গুমটিগুলি যেন রাখা হয়। তা হলে বাসগুলি গুমটিতে দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলতে পারবে। যাত্রীদেরও সমস্যা হবে না। আদালত অবশ্য এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়ে জানায়, এখন ধর্মতলার পূর্ব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ সব জায়গা থেকেই বাস পাওয়া যায়। এ জন্য যাত্রীদের ধর্মতলা বাস টার্মিনাসে আসার প্রয়োজন হয় না।
ওই শুনানি চলার সময়ে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত আদালতকে জানান, যে সব বাসগুমটি ধর্মতলায় রয়েছে, সেগুলির কোনও বৈধতা নেই। সেগুলির কোনও পরিকাঠামো নেই, শৌচাগার নেই। সুভাষবাবু অভিযোগ, ওই গুমটিগুলি বেআইনি ভাবে গড়ে উঠে এলাকায় দূষণ ছড়াচ্ছে। এই বক্তব্য শোনার পরে আদালত সুভাষবাবুকে আগামী ১০ তারিখের মধ্যে অ্যাফিডেভিট জমা দিতে বলেছে। ১৮ তারিখ এই মামলার ফের শুনানি হবে।
|