বারুইপুরে প্রতারণার একটি মামলায় বারুইপুর আদালতে থেকে জামিন পেয়েছিলেন সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং সংস্থার ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হেস্টিংস থানার তিনটি প্রতারণার মামলায় তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। বিচারক দু’জনকেই ১৬ জুলাই পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তদের আইনজীবী এ দিন আদালতে আবেদন জানান, তাঁর মক্কেলদের শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। জেল-হাজতে থাকার সময় তাঁদের যাতে ঠিকঠাক চিকিৎসা হয়, আদালত সেই নির্দেশ দিক। আদালত ওই আইনজীবীর আবেদন মঞ্জুর করেছে। |
|
|
ব্যাঙ্কশাল কোর্টে সুদীপ্ত-দেবযানী। মঙ্গলবার।—নিজস্ব চিত্র |
|
সুদীপ্ত ও দেবযানীকে সোমবার বালুরঘাটের মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছিল। অভিযোগ, এ দিন সকালে সেখান থেকে সোজা তাঁদের আনা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। দেবযানীকে রীতিমতো বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। শুনানি চলাকালীন তিনি পুরো সময় আদালতে থাকতেও পারেননি। দেবযানীর আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আদালতের বাইরে অভিযোগ করেন, তাঁর মক্কেলকে নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া করা হচ্ছে। তাতে তাঁর শরীরের উপরে ভীষণ ধকল পড়ছে। আজ, বুধবার সুদীপ্তের সঙ্গেই দেবযানীকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। সেখানে এই বিষয়ে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলে অনির্বাণবাবু জানিয়ে দিয়েছেন।
বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল সুদীপ্তকেও। তবে তিনি দাড়ি কেটেছেন। পরিচিত সাদা পাজামার বদলে তাঁর পরনে ছিল সবুজ প্যান্ট, সাদা হাফহাতা পাঞ্জাবি।
ঢাকুরিয়ার আমরি হাসপাতালের সামনে সারদার একটি অফিস রয়েছে। অন্য একটি বেসরকারি সংস্থারও অফিস আছে সেই বাড়িতে। ওই সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেছে, সারদার অফিস থাকায় পুলিশ গোটা বাড়িটা বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে তাদের কর্মীরা কাজ করতে পারছেন না। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে গঠিত বিশেষ দলকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
|