পুলিশি হেফাজত থেকে সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেন ও সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে ফের জেল-হাজতে পাঠানো হল। প্রতারণার দু’টি মামলায় মঙ্গলবার দু’টি আদালত পৃথক ভাবে এই নির্দেশ দেয়।
৪২ হাজার টাকা প্রতারণার মামলায় সুদীপ্ত ও দেবযানীকে এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বরূপ শেঠের এজলাসে আনা হয়। ২৩ এপ্রিল রামচন্দ্র সিংহ নামে সারদার এজেন্ট হেস্টিংস থানায় দু’জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন। গত সপ্তাহে ওই মামলাতেই সুদীপ্ত ও দেবযানীকে আদালতে তোলা হয়েছিল। আদালত দু’জনই ছ’দিন পুলিশি হাজতে রাখার নির্দেশ দেয়। হেফাজতের মেয়াদ শেষে এ দিন অভিযুক্তদের ফের আদালতে তোলা হয়। ২ জুলাই পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক।
এ দিনই লেক থানার প্রতারণার মামলায় সুদীপ্ত-দেবযানীকে ৯ জুলাই পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আলিপুর আদালত। সুদীপ্ত-দেবযানীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য মহারাষ্ট্র পুলিশ এ দিন ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আবেদন করেছিল। আদালত তা খারিজ করে দেয়।
আমানতকারীদের অভিযোগ নেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিশনে। তবু কেন আলাদা তদন্ত চলছে ও প্রতারণার পৃথক মামলায় অভিযুক্তদের কেন বিভিন্ন আদালতে তোলা হচ্ছে, এ দিন ফের সেই প্রশ্ন ওঠে। দেবযানীর আইনজীবী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই একত্রে মামলাগুলির বিচারের আবেদন করছেন তাঁরা। সুদীপ্তের আইনজীবী বলেন, আদালত জনস্বার্থ মামলায় রায় দিতে গিয়ে বলেছে, সারদা সংক্রান্ত সব মামলার বিচার একসঙ্গে করতে হবে। দুই আইনজীবীই আর্জি জানান, তাঁদের মক্কেলদের বিরুদ্ধে আনা সব মামলার বিচার একসঙ্গেই করা হোক। |