টুকরো খবর
মন্ত্রীর রক্ষীর রাইফেল চুরি
খোদ মন্ত্রীর বাড়ি থেকে চুরি হয়ে গেল নিরাপত্তারক্ষীর আগ্নেয়াস্ত্র। প্রশ্ন উঠেছে, দু’জন সশস্ত্র কনস্টেবল থাকার পরেও মন্ত্রীর বাড়ির নিরাপত্তার যদি এই হাল হয়, তবে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। সোমবার রাত তিনটে নাগাদ শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসুর বাগুইআটি থানা এলাকার তেঘরিয়ার বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। বিধাননগর কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান অর্ণব ঘোষ বলেন, “যে কনস্টেবলের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র খোয়া গিয়েছে, তাঁকে কর্তব্যের গাফিলতিতে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে তদন্তে নেমেছে বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগ।” রাইফেলটির এখনও হদিস পায়নি পুলিশ। পূর্ণেন্দুবাবু অবশ্য সোমবার রাতে তেঘরিয়ার ওই বাড়িতে ছিলেন না। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ণেন্দুবাবুর তেঘরিয়ার ওই ফ্ল্যাটে দিন-রাতের জন্য ছ’জন নিরাপত্তারক্ষী মজুত থাকেন। তাঁদের তদারকিতে থাকেন একজন সাব ইনস্পেক্টর। ছ’জন কনস্টেবল পালা করে তিন শিফ্টে ডিউটি করেন। সোমবার রাতে ডিউটিতে ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের আর্মস কনস্টেবল বিভাগের কর্মী তমাল নস্কর ও ভবরঞ্জন গিরি। তমালবাবুর কাছে থাকা থ্রি নট থ্রি রাইফেলটি খোয়া যায়। রাইফেলে পাঁচটি কার্তুজ ‘লোড’ করা ছিল বলে জানান পুলিশকর্তারা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পাঁচ মাস মন্ত্রীর বাড়িতে কর্মরত তমালবাবুর বক্তব্যে কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। ওই রাতে অবশ্য পূর্ণেন্দুবাবু ছিলেন তাঁর উত্তরপাড়ার বাড়িতে। তিনি বলেন, “আমি সকালে খবরটা পাই। কী ভাবে চুরি হল, সবিস্তার জানি না। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে শুনেছি।”

শোকপ্রস্তাবেই নেই কামদুনি, হইচই পুরসভায়
বারাসতের কামদুনি কাণ্ডের আঁচ এ বার কলকাতা পুরসভাতেও। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক শোকপ্রস্তাবে কামদুনির উল্লেখ ছিল না। ধর্ষিতা ও নিহত কলেজছাত্রীর স্মরণে শোকপ্রস্তাব আনার অনুমতি না-পেয়ে পুর অধিবেশন কক্ষে হইচই শুরু করে দেন বাম কাউন্সিলরেরা। এক সময় তাঁরা নিজেরাই শোকপ্রস্তাব পাঠ শুরু করেন। আলাদা ভাবে পালন করেন নীরবতাও। অধিবেশনের পরে মুখে কালো কাপড় বেঁধে পুরসভায় মৌনী মিছিল করেন বাম সদস্যেরা। মঙ্গলবার মাসিক অধিবেশনের শুরুতেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মৃত্যুতে শোকপ্রস্তাব পাঠ করেন পুর চেয়ারম্যান সচ্চিদানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। নীরবতাও পালন করা হয়। তার পরেই বামেরা বলতে থাকেন, কামদুনির ধর্ষিতা-নিহতের স্মরণেও শোকপ্রস্তাব আনতে হবে। সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে চেয়ারম্যান পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে থাকেন। কামদুনির ঘটনা নিয়ে শোকপ্রস্তাব পাঠ শুরু করেন বিরোধী দলনেত্রী রূপা বাগচী। তবে মাইকে চেয়ারম্যানের ঘোষণার মধ্যে তা প্রায় শোনাই যায়নি। এরই মধ্যে দেখা যায়, বাম কাউন্সিলরেরা ফের নীরবতা পালন করছেন। পরে তাঁরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে, প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে পুরসভা-চত্বরে মৌনী মিছিল করেন। রূপাদেবী বলেন, “ধর্ষিতা-নিহতের স্মরণে শোকপ্রস্তাবও আনতে দিল না তৃণমূল বোর্ড। এটা পুরসভার লজ্জা।” মেয়র শোভন চট্টোপাধায় বলেন, “বানতলা কাণ্ড বা তাপসী মালিকের ঘটনার পরে বামেরা তো পুরসভায় শোকপ্রস্তাব আনেননি। কামদুনি নিয়ে রাজনীতির চেষ্টা হচ্ছে।” চেয়ারম্যান ব্যাখ্যা দেন, প্রয়াত সাংসদ, বিধায়ক, পুরপ্রতিনিধি, লেখক-সহ বিশিষ্টদের স্মরণে শোকপ্রস্তাব আনা হয় পুরসভায়। অন্য কারও ক্ষেত্রে নয়। এ দিন সেই নিয়মই মানা হয়েছে।

অ্যাম্বুল্যান্সে কাও
মাঠপুকুর কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর শম্ভুনাথ কাওকে মঙ্গলবার অ্যাম্বুল্যান্সে জেল থেকে আলিপুর আদালতে আনা হয়। তাঁর আইনজীবী জানান, ১৮ জুন বুকে ব্যথা হওয়ায় তাঁকে ১৯ জুন পিজিতে দেখানো হয়। এ দিন কাও পুলিশি প্রহরায় হেঁটে আদালতের লক-আপে যান। ফেরেনও অ্যাম্বুল্যান্সে। মাঠপুকুর কাণ্ডের আরও ৫ অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় মোট অভিযুক্তের সংখ্যা ৭। এক জন জামিনে আছেন।
জেল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে আদালতে এলেন শম্ভু কাও। —নিজস্ব চিত্র।
অভিযুক্তদের এ দিন অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় মাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করার কথা ছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলি দায়রা আদালতে বিচার্য। তাই মঙ্গলবারই মামলাটি পাঠানোর কথা ছিল জেলা দায়রা জজের আদালতে। কিন্তু এ দিন আদালতে বসেছিলেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক বিজয়িতা দে। আজ, বুধবার ফের শুনানি।

পুরনো খবর:
শিক্ষক-নিগ্রহে কড়া শাস্তি কি না, ফের বিবেচনা
নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করবে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্জিকিউটিভ কাউন্সিল বা ইসি-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ছাত্রটির যথেষ্ট শাস্তি হয়নি বলে অভিযোগ। তাঁর কঠোর শাস্তির দাবিও উঠেছে। মে মাসে পরীক্ষার হলে এক ছাত্রীকে নকল করতে বাধা দেন সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক প্রদীপ দাস। তার প্রতিবাদে ছাত্রীটির এক বন্ধু প্রদীপবাবুকে ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ। ওই ছাত্র রবীন্দ্রভারতীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অন্যতম নেতা। তাঁকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। এই শাস্তিতে সন্তুষ্ট নন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ, ছাত্রটিকে গুরু পাপে লঘু দণ্ড দেওয়া হয়েছে। ছাত্রটির কঠোর শাস্তির দাবিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে মঙ্গলবার ইসি-র বৈঠক চলাকালীন উপাচার্যের অফিসের ঢোকার মুখে চাতালে অবস্থান করে রবীন্দ্রভারতী শিক্ষক সমিতি। পরে উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী বলেন, “শিক্ষকদের দাবি মেনে বিষয়টি নিয়ে শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিতে আলোচনা করা হবে।” তবে ছাত্রটি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে তাঁকে এক মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল বলে জানান উপাচার্য।

‘অশ্লীল’ শিক্ষক
ফের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার পার্ক স্ট্রিটে সেভেন্থ ডে অ্যাডভেন্টিস্ট স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক বার্নার্ড শ হালদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রতিদিন দুপুরে ছুটির পরে স্কুলেই ছাত্রীদের জন্য টিউশনের ব্যবস্থা রয়েছে। দ্বাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রী ছুটির পরে টিউশন ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করত। মঙ্গলবার সে বাড়ি ফিরে জানায়, দুপুর ২টো নাগাদ ছুটির পরে সে যখন ক্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিল, তখন প্রধান শিক্ষক তাকে নিজের অফিসে ডেকে পাঠান। অভিযোগ, তখন তিনি তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন। ওই ছাত্রীর কথার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু বৃদ্ধের
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। মঙ্গলবার, টালা থানা এলাকার এম এন চ্যাটার্জি স্ট্রিট ও বি টি রোডের মোড়ে। মৃত ব্যক্তির নাম শোভেন মণ্ডল (৭০)। ওই এলাকারই স্থানীয় বাসিন্দা। পুলিশ জানায়, এ দিন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় একটি লরি ধাক্কা মারে শোভেনবাবুকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনার পরই লরির চালক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। লরিটি আটক করেছে পুলিশ।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.