খুব শীঘ্রই ইকোকার্ডিওগ্রাফির আর একটি যন্ত্র পেতে চলেছে এসএসকেএম হাসপাতাল। মঙ্গলবার ওই হাসপাতালের এক জরুরি বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী তথা এসএসকেএমের ভারপ্রাপ্ত মদন মিত্র এ দিন বলেন, “এ বার থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই পরীক্ষার সময় পাওয়া যাবে। এক বছর অপেক্ষা করতে হবে না।”
এত দিন রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে একটি মাত্র ইকোকার্ডিওগ্রাফির যন্ত্র ছিল। তাই সেই পরীক্ষার সময় পেতে বছর ঘুরে যেত। এই অবস্থার কথা সংবাদপত্রে প্রকাশিত হওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত। |
এসএসকেএম হাসপাতাল নিয়ে প্রথম থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি নিজেও বেশ কয়েক বার ওই হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছেন। হাসপাতালের পরিষেবার উপরে বিশেষ নজর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই নির্দেশ কতটা পালন করা হচ্ছে এবং হাসপাতালের কোথায় কী অসুবিধা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতেই মঙ্গলবার সকালে মদনবাবুর সঙ্গে এসএসকেএমে আসেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র, স্বাস্থ্যসচিব সতীশ তিওয়ারি, মা ও শিশু-মৃত্যু হার কমাতে গঠিত টাস্ক ফোর্সের চেয়ারম্যান ত্রিদিব বন্দ্যোপাধ্যায়, পূর্তসচিব ও অন্য আধিকারিকেরা। হাসপাতালের অধিকর্তা প্রদীপ মিত্রের সঙ্গে বৈঠকের পরে মদনবাবু বলেন, “আজকের বৈঠক পূর্ব-ঘোষিত নয়। হাসপাতালকে ঘিরে মুখ্যমন্ত্রীর যে স্বপ্ন, তা বাস্তবায়িত হতে কতটা বাকি রয়েছে, সেটাই দেখতে এসেছি।” মদনবাবু দাবি করেন, হাসপাতালের যে সমস্ত কাজ বাকি রয়েছে, আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে তার অন্তত সত্তর শতাংশ শেষ হয়ে যাবে।
মদনবাবু আরও জানান, হেপাটোলজি ও গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি, এই দুই বিভাগকে আলাদা করা হবে। হাসপাতালের পলি-ক্লিনিকের জায়গায় হেপাটোলজি বিভাগকে স্থানান্তরিত করা হবে। রোগীদের সুবিধার্থে সেখানে কয়েকটি শয্যাও রাখা হবে। এ ছাড়া, ২৪ ঘণ্টা প্যাথোলজি বিভাগ চালু হয়েছে বলেও জানান মদনবাবু। তিনি বলেন, “রোগীদের সুবিধার্থে রাতে হাসপাতালে এক জন করে সহকারী সুপার রাখার কথা ভাবা হচ্ছে।”
হাসপাতালে পানীয় জল ও বিদ্যুতের সমস্যার কথা স্বীকার করে নেন মদনবাবু। তবে সেই সমস্যা মেটানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে সিইএসসি-র সঙ্গেও আলোচনা করা হচ্ছে। মদনবাবু এ দিন বলেন, “ডায়মন্ড হারবার রোডে পুরসভার হাসপাতালে এসএসকেএমের স্ত্রী-রোগ বিভাগের একটি অ্যানেক্স তৈরি হবে।” সম্প্রতি এসএসকেএমে ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান পরিদর্শনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাস্তায় রোগীর পরিজনদের শুয়ে থাকতে দেখে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেন। এ দিন মদনবাবু বলেন, “একটি নাইট শেল্টার তৈরির চেষ্টা চলছে। যত দিন তা না হচ্ছে, তত দিন হাসপাতালের সামনে একটি শেড তৈরি করে থাকার ব্যবস্থা করা হবে।”
|