স্কুলে মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ওন্দা থানার কাঁটাবাড়ি আপার প্রাইমারি স্কুলে। প্রায় ১০০ জন পড়ুয়াকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার নিবেদিতা মিশ্র বলেন, “৯৭ জন পড়ুয়াকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। অধিকাংশকে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও বমি ও পেট ব্যাথা থাকায় ১২ জনকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি রাখা হয়। পরে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।” তাঁর মতে খাবারে বিষক্রিয়া জনিত কারণেই এই সমস্যা।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে অধিকাংশ পড়ুয়ার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পরে ডালের পাত্রে একটি সেদ্ধ গিরগিটি দেখতে পাওয়া যায়। তত ক্ষণে অনেক পড়ুয়া বাড়ি ফিরে গিয়েছিল। তাঁদের মতোই যারা স্কুলে ছিল, অনেকেই বমি শুরু হয়। সেই সঙ্গে পেট ব্যাথ্যা। ঘটনাটি জানাজানি হতেই গ্রামবাসী ও শিক্ষকেরা অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করে কয়েক দফায় ৯৭জন পড়ুয়াকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান। |
গ্রামের বাসিন্দা অপু মহাপাত্র বলেন, “রাঁধুনিদের নজর এড়িয়ে কী ভাবে গিরগিটিটি ডালের পাত্রে পড়ে গেল ভেবে অবাক হচ্ছি। বড় কিছু হয়ে গেলে তখন কে এর দায় নিত?” ওই ডাল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা তুফান দে’র ভাইপো, ভাইঝি। তিনি বলেন, “দু’জনেরই চোখ লাল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে জ্বর এসে গিয়েছিল। বমিও করে কয়েক বার। স্কুলে পাঠিয়ে কী যে বিপদে পড়ে গিয়েছিলাম।’’ ওই স্কুলের প্রথম শ্রেণির বিশ্বরূপ দে, পঞ্চম শ্রেণির মিনতি রায়রা জানায়, “ডালে দুর্গন্ধ পাওয়ায় সন্দেহ হচ্ছিল। খাওয়ার পর পেট মোচড় দিতেই বুঝতে পারি খাবারে কিছু গোলমাল হয়েছে।”
স্কুলের প্রধানশিক্ষক মধুসূদন পাল বলেন, “একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠি রান্নার কাজে যুক্ত। কেন ডালের পাত্রে গিরগিটি পড়ল, তাঁদের কাছে তা জানতে চাওয়া হবে।’’ ওন্দার স্কুল ইন্সপেক্টর দেবব্রত ঘোষ বলেন, “ভোটের কাজে ব্যস্ত রয়েছি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে ঘটনার কথা জেনেছি। তদন্ত করা হবে।”
|