রোগী মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। মৃতা রীতা দাস (১০) মুরুটিয়ার শিকারপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, ঘটনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক সুদীপা মণ্ডলকে মারধর করে রোগীর বাড়ির লোকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রীতা শিকারপুরের বাসিন্দা হলেও করিমপুরের মধ্য গোপালপুরে মামার বাড়িতে থাকত। মঙ্গলবার দুপুরে দিদা সরস্বতী দাস তাকে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সরস্বতীদেবী বলেন, “মঙ্গলবার সকালে নাতনির জ্বর আসে। দুপুরে ওকে নিয়ে আসি হাসপাতালে।’’ সরস্বতীদেবীর অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও কর্তব্যরত ওই মহিলা চিকিৎসক তাঁর নাতনিকে ‘দায়সারাভাবে’ দেখে কতগুলো ওষুধ আনতে বলেন। বিকেলে ওই চিকিৎসকই একটা ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই মারা যায় রীতা। সরস্বতীদেবী বলেন, “ভুল চিকিৎসার জন্যই আমার নাতনিটা মারা গেল। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাব।’’
এরপরই রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে এসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। বেশ কিছু মহিলা দলবেঁধে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুদীপা মণ্ডলকে মারধর করে বলে অভিযোগ। সুদীপা মণ্ডল বলেন, “হাসপাতালে ভর্তির সময়ই রোগীর অবস্থা ছিল সঙ্কটজনক। ভর্তি করার সঙ্গে সঙ্গেই তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও শুরু করা হয়। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। এরপরই রোগীর বাড়ির লোকজন বেশ কিছু মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাকে মারধর করতে শুরু করে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, কর্তব্যরত ওই চিকিৎসক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। |