| আজকের দিনে |
 • ১৯১০: অধুনা পাকিস্তানের লাহৌরে জন্মগ্রহণ করেন ইন্দো-মার্কিন নভোবস্তুবিদ(পদার্থবিদ) সুব্রক্ষ্মণ্যম চন্দ্রশেখর। বৃহত্ নক্ষত্রের বিবর্তনের বিভিন্ন পর্যায়ের হদিশ দিয়ে ১৯৮৩ সালে উইলিয়াম এ ফাওলারের সঙ্গে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান তিনি। |
|
|
| হপ্তা জুড়ে... |
| শনিবার |
রবিবার |
পাক্ষিক |
 |
 |
 |
 |
 |
 |
|
গত মাসের গোড়ায় হাবরার শ্রীনগরের যুবক গোপাল বিশ্বাসকে পিটিয়ে, মাথা থেঁতলে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার সকালে বাজার যাওয়ার পথে একই পরিণতি হল তাঁর বাবা সঞ্জয় বিশ্বাসেরও (৫০)।
এলাকায় ‘গাঁজা সঞ্জয়’ নামেই বেশি পরিচিত নিহত প্রৌঢ়ের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ছেলেকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকে গ্রেফতারের দাবি নিয়ে থানায় যাতায়াত করছিলেন সঞ্জয়বাবু। সেই আক্রোশেই দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করল। গোপাল খুনের ঘটনায় যার বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ দায়ের হয়েছিল, ওই এলাকারই বাসিন্দা সেই মনোতোষ ঘোষকে পুলিশ এখনও ধরতে পারেনি। সঞ্জয়বাবু খুনে মনোতোষ-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়।
পুলিশের দাবি, নিহত প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে অতীতে গাঁজা বিক্রি-সহ নানা অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। সেই সব মামলা মিটে গেলেও পুরনো কোনও আক্রোশে তাঁকে খুন করা হল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, “খুনের কারণ পরিষ্কার নয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি গুলি উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে একটি রক্তমাখা পাথরের চাঁই। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
এনবিএসটিসির কোচবিহার ডিপো। ছবি তুলেছেন হিমাংশুরঞ্জন দেব। গৌরবের ঐতিহ্য আজ অতীত। নব্বইয়ের দশকে গ্রামীণ যাত্রী পরিষেবায় সাফল্যের জন্য জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত হয়েছিল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা (এনবিএসটিসি)। ৪৪০টি রুটে চলত উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস। এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২০টি। প্রায় অর্ধেকই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অসম-বিহার-ঝাড়খণ্ডের মতো জায়গায় এখন আর বাস চালানো হয় না। কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিঙের প্রত্যন্ত এলাকায় যোগাযোগের জন্য যে সমস্ত বাস চালানো হত তাও এনবিএসটিসি কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যেমন কোচবিহার থেকে দিনহাটা, এই রুটে অফিসের সময়ে ১০ মিনিট অন্তর বাস পরিষেবা ছিল। কোচবিহার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত ৩০ মিনিট অন্তর বাস চলেছে। নানা রুটে নন স্টপ বাস পরিষেবা ছিল। এর ফলে ক্রমশ ভোগান্তি বেড়ে চলেছে উত্তরবঙ্গের যাত্রীদের। যা অবশ্য কার্যত স্বীকার করেছেন এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী গৌতম দেব। 
ব্লক অফিসে বৈঠক সেরে শিল্পমন্ত্রী গেলেন বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। রাস্তার পাশে রাখা নৌকোয় সপার্ষদ উঠে বসলেন। জলে মেরেকেটে হাত কুড়ি দূরত্বে খান তিনেক পাক মারল সেই নৌকো। রাস্তার ধারে তখন বেশ কিছু উৎসুক চোখ। কী বলেন মন্ত্রী, জানার আগ্রহ গ্রামের মানুষের মধ্যে। তাঁদের দিকে হাত নেড়ে নৌকো থেকেই শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বললেন, “আলোচনা করে গেলাম। সব ব্যবস্থা হবে।” মিনিট পনেরো জলে চক্কর কেটে নৌকো ভিড়ল পাড়ে। সেখান থেকে গাড়িতে উঠে বেরিয়ে গেলেন পার্থবাবু। জনতার মন্তব্য ভেসে এল, “কেন যে এলেন, কী দেখলেন, কিছুই বোঝা গেল না।” বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটে নাগাদ খানাকুল ১ ব্লক অফিসে পৌঁছন তৃণমূলের মহাসচিব তথা শিল্পমন্ত্রী পার্থবাবু। সেখানে হাজির ছিলেন হুগলির জেলাশাসক মনমীত নন্দা, পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী-সহ পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। ছিলেন জেলার বহু নেতা-বিধায়ক।
সকলকে নিয়ে ঘণ্টা খানেক বৈঠক সারেন শিল্পমন্ত্রী। পরে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই খানাকুলের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এসেছেন। বলেন, “জল নামছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানাব মুখ্যমন্ত্রীকে।”
রাত থেকে ইট চাপা দিয়ে রাখা থাকে টিকিট সংরক্ষণের আবেদনপত্র। কাউন্টার খোলার আগেই সেখানে হাজির বেশ কিছু লোকজন। আবেদনপত্রগুলি নিজেদের দাবি করে লাইনে সবার আগে দাঁড়িয়ে পড়ে তারা। কাউন্টার খুলতে অবশ্য ইট চাপা কাগজগুলি আর জমা পড়ে না, পকেট থেকে বেরোয় অন্য আবেদনপত্র।
বার্নপুর স্টেশনে টিকিট সংরক্ষণের কাউন্টারটিতে দালালদের এই ধরনের দৌরাত্ম্যে নাজেহাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ-সহ রেলের কনসাল্টেটিভ কমিটির সদস্যেরাও। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রেলের টিকিট সংরক্ষণের জন্য বার্নপুর-সহ আশপাশের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দাদের একমাত্র ভরসা ওই কাউন্টারটি। প্রতিদিন কাউন্টার খোলা থেকে বন্ধ হওয়া পর্যন্ত সেখানে উপছে পড়ে ভিড়। কিন্তু সকাল থেকে লাইন দিয়েও টিকিট পেতে নাকাল হতে হয় বলে অভিযোগ যাত্রীদের। কারণ, বেশ কিছু দালাল কৌশলে কাউন্টারে ভিড় জমিয়ে পরপর টিকিট কাটতে থাকে।
পুজো দিতে এসে তারাপীঠ মন্দিরের পাণ্ডাদের কাছে হেনস্থা হওয়ার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন তারাপীঠ ঢোকার মুখে রামপুরহাট-সাঁইথিয়া রাস্তার উপরে, আটলা-কবিচন্দ্রপুর মোড়ে ঘণ্টাখানেক ধরে ওই অবরোধ চলে। অবরোধের জেরে অবশ্য খানিকটা নাকালের মধ্যে পড়েন মা তারার দর্শনার্থীদের একাংশও। শেষমেশ তারাপীঠ ফাঁড়ির পুলিশ এসে সমস্যা মেটানোর আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা আন্দোলন থেকে বিরত হন। এ দিকে তারাপীঠ মন্দির কমিটির পক্ষে তারামাতা সেবাইত সঙ্ঘের আবার দাবি, হেনস্থার কোনও ঘটনাই ঘটেনি। অবরোধকারীরাই বরং বেলাইন দিয়ে পুজো দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। উভয়পক্ষই পুলিশের কাছে পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ দু’পক্ষের অভিযোগই খতিয়ে দেখছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথা মাফিক আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে তারা মায়ের আর্বিভাব উপলক্ষে বিগ্রহকে মূল মন্দির থেকে মন্দির চত্বরে থাকা ‘বিরামমঞ্চ’ নামে একটি মন্দিরে নিয়ে আসা হয়। এই একটি মাত্র দিনই বিগ্রহের মুখ পশ্চিম দিকে করে রাখা হয়।
