|
|
|
|
সাঁইথিয়া পুরসভা |
অস্থায়ী কর্মীদের জন্য চালু ইপিএফ
ভাস্করজ্যোতি মজুমদার • সাঁইথিয়া |
অস্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক ও দৈনিক মজুরী ভিত্তিক কর্মীদের জন্য এমপ্লয়িজ’ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) চালু করতে চলেছে সাঁইথিয়া পুরসভা। কংগ্রেস পরিচালিত ওই পুরসভার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারেখের দাবি, এমন উদ্যোগ রাজ্যে এই প্রথম। তিনি বলেন, “ইতিমধ্যেই আমরা ৯৭ জন কর্মীকে ইপিএফের আওতায় আনতে পেরেছি। বাকিদেরও খুব শীঘ্রই তার আওতায় নিয়ে আসা হবে। ওই কর্মীদের স্থায়ীকরণের বিষয়টিও আমাদের মাথায় আছে।”
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, সাঁইথিয়া পুরসভায় ওই তিন শ্রেণির কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৬০ জন। তাঁরা বহু দিন ধরেই স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এখন ওই কর্মীদের ২০১১ জানুয়ারি মাসের হিসেব থেকে ইপিএফ দেওয়া হবে। অস্থায়ী কর্মী প্রণব কালেলিয়া, চুক্তিভিত্তিক কর্মী প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দৈনিক মজুরীতে কাজ করা মানিক গুপ্ত-রা বলেন, “স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। তবে আমরাও যে ইপিএফ পেতে পারি, তা জানা ছিল না। সম্প্রতি পুরপ্রধানই আমাদের ওই খবর দেন।” ১৯৯৬ সালে কেন্দ্র সরকার ‘সামাজিক সুরক্ষা নীতি’ (সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) চালু করেছিল। জেলা আইএনটিইউসি সভাপতি মিলটন রশিদের দাবি, “এ রাজ্যে ওই প্রকল্প চালু করতে বামফ্রন্ট সরকার অনেক দেরি করে। ২০১০ সালে এ রাজ্যে কয়েকটি ক্ষেত্রে ওই প্রকল্প চালু হলেও পুরসভায় তা হয়নি।” তাঁর দাবি, রাজ্যে এই প্রথম কোনও পুর কর্তৃপক্ষ এমন কর্মীদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা নীতি প্রকল্পে ইপিএফ চালু করল।
পুরপ্রধান জানিয়েছেন, সাঁইথিয়া পুরসভা ইতিমধ্যেই ২০১০ সালে বিপিএল তালিকাভুক্তদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য বিমা প্রকল্প শুরু করেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে তারা বিপিএল তালিকাভুক্ত পরিবারগুলির জন্য ‘সুস্থ মা, সুস্থ শিশু ও সুস্থ শহর’ প্রকল্প গড়ে তোলে। ওই প্রকল্পে যে সব মা আড়াই কিলো বা তার বেশি ওজনের শিশুর জন্ম দেবেন, তাঁদের দু’ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা সব্যসাচী দত্ত-র দাবি, ওই দু’টি প্রকল্প চালু করে সাঁইথিয়া পুরসভা গোটা দেশে নজির সৃষ্টি করেছে। বীরেন্দ্রবাবু বলেন, “২০১০ সালেই সম্পূর্ণ বিনামূল্যে আমরাই প্রথম স্বাস্থ্যবিমা চালু করেছিলাম। শহরের ৫২৮১টি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। এরপরে ‘সুস্থ মা, সুস্থ শিশু ও সুস্থ শহর’ প্রকল্পেও আমরা সমান সাফল্য অর্জন করি।” পুরপ্রধানের দাবি, তাঁদের দেখানো পথে হেঁটে রাজ্যের সমস্ত পুরসভায় ইপিএফ চালু করা গেলে ওই ধরনের প্রায় ৩৮ হাজার কর্মী উপকৃত হবেন। |
|
|
|
|
|