অক্টোবর ২০১২
 
এই সংখ্যায় ‘নব আনন্দে জাগো’
একে চন্দ্র... ছয়ে ঋতু... আষাঢ়-শ্রাবণ বর্ষাকাল... ভাদ্র-আশ্বিন শরৎকাল...
এ ভাবেই নিয়ম করে ঘুরপাক খায় বাঙালির অভ্যস্থ দৈনন্দিন। পার্বণের দিন ক্ষণ তার সঙ্গেই জুড়ে থাকে। গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীত এই তিনের আধিক্যে প্রায় বুড়ি ছুঁয়েই পালিয়ে যায় শরৎ-হেমন্ত ও বসন্ত। তবু তারা যে আসে সে কথা টের পাওয়া যায়। আসমানি রঙে সাদা মেঘের যাতায়াত, কাশের বনে হাওয়ার দুলুনি, শিশির-ধোয়া শিউলির পড়ে থাকা... শরৎ এসেছে। আর তখনই তো রাত জাগতে শুরু করে কুমোরপাড়া থেকে পাড়ার নির্মীয়মাণ মণ্ডপ। তার পর বোধন থেকে যাত্রামঙ্গল— দিনগুলো কেটে যায় দুগ্গা বাহিনীর সঙ্গে। বিশ্ব জুড়ে বাঙালি-পাড়ার চিত্রটা ঠিক এমনই। তবে জায়গা বিশেষে নির্ঘণ্টের সামান্য হেরফের হয়। তাতে আনন্দ-আয়োজনের যদিও কোনও খামতি থাকে না সর্বত্রই ‘ধিন তাক ধিন ধিন তাক’! এমন শরৎ-দিনে বিদেশ-স্বদেশ মিলে তেমনই নানা পুজোর উদ্যোগ-কাহিনি প্রকাশিত হল। সঙ্গের ফোটো শপেও মা দুগ্গা— গ্রামীণ পুজো-আয়োজনের শুরু থেকে শেষের একের পর এক ছবি। তবে এ সবের মধ্যেই আগামিকাল গাঁধী জয়ন্তী। দেবীপক্ষ শুরুর আগে আপনার কলমে তাই পিতৃপক্ষে জাতির ‘জনক’ মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য।


বিদেশে ‘টিম-দুর্গা’র আরাধনা ভীষণই আন্তরিক ভাবে হয়ে থাকে। এ বিষয়ে বাঙালি আবেগে এক্কেবারে পাগল পারা। অনর্গল ভিন্ ভাষায় কথা বলা এ প্রজন্মের
অপু-দুগ্গাও এক চিলতে ওই সময়ে ঘুরে বেড়ায় আদ্যোপান্ত বঙ্গ সন্তান হয়ে। পুজোর ভোগ থেকে শুরু করে পোশাক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পারস্পরিক অন্তরঙ্গতা
বিদেশের মাটিতে বাঙালি হঠাৎই যেন খুঁজে পায় তার ভিতরে ডুবে থাকা ‘আমি’কে। নিজেকে উজাড় করে দেওয়া উদ্দীপনায় বাঙালি বিদেশে বন্দনা করে
দেবী দুর্গার। বিভিন্ন দেশে সেই আয়োজনের নানা কাহিনি গত বছর পুজোর আগে হাওয়াবদলে প্রকাশিত হয়েছিল। তবে স্থানাভাবে বেশ কিছু লেখা-চিত্র
প্রকাশ সম্ভব হয়নি ওই সংখ্যাগুলিতে। এ বার সেখান থেকেই নির্বাচিত কয়েকটি লেখা, যেখানে গল্পে কথায় উঠে এসেছে ২০১১ সালের ‘বিদেশে বন্দনা’।
বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন
টোকিও
বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন
অকল্যান্ড
পশ্চিমীর দুর্গাপুজো
ক্যালিফোর্নিয়া
দুর্গাবাড়ি সোসাইটি
হিউস্টন
মাতৃবন্দনায়
বিশ্ববাসী


রথের দিন খুঁটি পুজো, জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজো— শরৎ শুরুর অনেক আগে এ ভাবেই সূচনা হয় শারোদোৎসবের। তার পর দেবীপক্ষে ঢাকে পড়ে কাঠি। নানান তালে
বাজার পর বিসর্জনের বোল তুলে সেই ঢাকের আওয়াজও বিদায় নেয় মায়ের সঙ্গে সঙ্গে। ফের আরও একটি বছরের অপেক্ষা। বঙ্গদেশের প্রতিটি কোণাতেই এই রীতি।
আয়োজন ও আনন্দের এ উন্মাদনার মাঝে চলে প্রতিযোগিতা। কে কাকে কী ভাবে টক্কর দিল, কোন পুজো থিমে এগিয়ে, কেই বা আবার প্রতিমায় পিছনে ফেলে দিল
কাকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই ময়দানে। পুজো-মাঠের সেই ধারাবিবরণি শেষে জয়ীর নাম ঘোষণা হয়। বিচারের দায়িত্বে কখনও দর্শক, কখনও প্রশাসন, কখনও বা কোনও
নিরপেক্ষ সংস্থা। গত বছর রাজ্যের জেলাগুলিতে যে সমস্ত পুজোগুলি জয়ীর শিরোপা পেয়েছে বিভিন্ন মাপকাঠিতে, তাদের বেশির ভাগকে নিয়েই এ বার ‘জেলায় সেরা’।
বাদকুল্লার অনামী ক্লাব,
নদিয়া
বিবেকানন্দ স্মৃতি সংসদ,
মালদহ
শিবপুর নবারুণ সঙ্ঘ,
হাওড়া
মতিগঞ্জ ঐক্য সম্মিলনী,
বনগাঁ
কোতয়ালি বাজার সর্বজনীন,
মেদিনীপুর
আমরা ক’জন ক্লাব,
মুর্শিদাবাদ
মধ্য কেন্দুয়াডিহি আদি সর্বজনীন,
বাঁকুড়া
শহরের সেরা তিন দুর্গাপুজো
বর্ধমান
মানসবাগ সর্বজনীন,
বেলঘরিয়া
রামনগর বাজার ব্যবসায়ী সমিতি,
রামনগর
সুদর্শনপুর সর্বজনীন,
রায়গঞ্জ
ভামুরিয়া বাথানেশ্বর,
পুরুলিয়া
মার্কনি দক্ষিণপল্লি,
দুর্গাপুর
হরিহরপুর সর্বজনীন,
বারাসত
হাজরা মোড় কমিটি,
হলদিয়া
 

ক্যামেরাও কথা বলে। সেই রং-বেরঙের ছবির সাম্রাজ্যেও অবাধ বিচরণ হাওয়াবদল-এর।
রঙিন মুহূর্তগুলিকে একের পর এক সাজিয়ে শোনানো হবে বেড়ানোর অন্য রকম গল্প।
এ সংখ্যায়
অমিতাভ ঘোষ-এর ক্যামেরায় বীরভূমের এক প্রত্যন্ত গ্রামের দুর্গাপুজো-র গল্প।
 
গাঁধীজির জন্মস্থানে সর্বধর্ম সমন্বয়ের ‘কীর্তি মন্দির’

গোটা পৃথিবীর বুকে অহিংস আন্দোলনের স্রষ্টা মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর আগামিকাল ১৪৩তম জন্মদিন। গুজরাতের পোরবন্দরে ১৮৬৯ সালে যে বাড়িতে তিনি জন্মেছিলেন, সেখানে সর্বধর্ম সম্প্রীতিতে তাঁর জীবদ্দশাতেই শুরু হয়েছিল এক স্মারকসৌধ নির্মাণের কাজ। এ কাজে গাঁধী নিজেই সম্মতি দিয়েছিলেন। তাঁর জন্মভিটেয় সেই ‘কীর্তি মন্দির’ এবং স্বস্তিকা চিহ্নিত জন্মস্থান দেখে এলেন কল্পিতা চক্রবর্তী
 

মাঝ-মাসের সংযোজন
শারদ-খুশির হাওয়া বইছে বাঙালির মনে মনে। যেখানে বাঙালির বাস— নিউ ইয়র্ক হোক বা নিউ আলিপুর অথবা আলিপুরদুয়ার কিংবা ইয়র্কশায়ার, সব জায়গাতেই এই বাতাস বহমান। বিকিকিনির শপিং মল, মাপজোক-কাটাকুটি-সেলাইয়ের টেলারিং শপ, এমনকী পাড়ার ছোটখাটো দোকানগুলিতেও জোরালো তার উপস্থিতি। দেবীপক্ষে এই তোড়জোড়ের বহর আরও বেড়ে যাবে। আগমনীর সৌরভ ঢুকে পড়বে হেঁশেলেও, সঙ্গে মিশে যাবে নানা রকম পদের সুগন্ধ। শারদীয়ার সুন্দর দিনগুলিতে রন্ধনশালা সাজানোর হদিশ নিয়ে এগিয়ে এলেন আপনারাই। কী নেই সে তালিকায়! তাই, সেরা পদের সেরা সম্ভার দিয়ে জমে উঠুক আপনার রান্নাঘর, এই পুজোয়। নিরামিষ
আমিষ
মিষ্টি
স্ন্যাক্স


রাজপাট গিয়েছে। সে দিনের আর্থিক জৌলুসও এখন আর নেই। তবু রয়ে
গিয়েছে কৌলিন্য। জাত্যভিমানের সেই মর্যাদা থেকেই কিছু পরিবারে আজও
পালন করা হয় বেশ কিছু প্রথা। যেমন, ঠাকুর দালানের দুগ্গাপুজো। কয়েকশো
বছরের ঐতিহ্য মেনে, নিষ্ঠা সহকারে এখনও মাতৃ-আরাধনা হয় সেখানে।
তেমনই কয়েকটি পারিবারিক আয়োজনে সমৃদ্ধ বনেদি বাড়ির পুজো।

‘আলোর বেণু’ শুনেই ‘ভুবন’ মেতে ওঠে। কিন্তু সে তো মহালয়ার
ভোরে রেডিও কিংবা সিডি-ক্যাসেট-টিভির দৌলতে। তবে তার আগে থেকেই
মাতামাতির নানা দৃশ্য চোখে পড়ে সারা বিশ্ব জুড়ে! বারো মাসে তেরো পার্বণে
মেতে যাওয়া বাঙালির শ্রেষ্ঠ উন্মাদনা যে দুর্গোত্সবকে ঘিরে, তারই বিভিন্ন
চিত্তাকর্ষক ও ফুরফুরে একঝাঁক খবরের ডালি নিয়ে শারদ সংবাদ।
 
 
‘হাওয়াবদল’ আপনার কেমন লাগছে? লেখা, ছবি ও অন্যান্য বিষয়ে আপনার মতামত জানান নীচের ঠিকানায়:
হাওয়াবদল
আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্টারনেট সংস্করণ
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট কলকাতা ৭০০০০১

ই-মেল করুন haoabadal@abp.in অথবা haoabadal@gmail.com
 
এ যাবৎ ২০১২
জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি মার্চ এপ্রিল মে জুন
বিদেশ বিভুঁই
নরওয়ে, প্যারিস,
সান ফ্রান্সিসকো
উত্তরবঙ্গে ট্রেকিং
টাইগার রিজার্ভ প্রজেক্ট,
অ্যাডভেঞ্চার ক্যাম্প
দ্বীপ রাজ্য
স্প্লিট শহর, আন্দামান,
লেমন আইল্যান্ড
কাজের ফাঁকে
আমস্টারডামের টিউলিপের বাগান,
সেন্ট লুইস শহরের
গেটওয়ে আর্চ
পাহাড়ের টানে
কুমায়ুন জঙ্গলের সুন্দরডুঙ্গা,
তুষার তীর্থ— অমরনাথ যাত্রা
মেলা-সমাগম
মালয়েশিয়া, মালাক্কা ও
পুরুলিয়ার ভিন্ন ধরনের ‘মেলা’
জুলাই অগস্ট সেপ্টেম্বর
খামখেয়ালি পাহাড়
চুইখিম, উত্তরাখণ্ড, কানাডিয়ান রকিজ
সাক্ষী যখন ইতিহাস
গ্রিস, মিশর, চিনের প্রাচীর
মার্কিন জাতীয় উদ্যান
গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন ও লাস ভেগাস


Content on this page requires a newer version of Adobe Flash Player.

Get Adobe Flash player


রোজের আনন্দবাজার এ বারের সংখ্যা পুরনো সংস্করণ
 
অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.