গত বছরের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ‘মুক্তোর প্রতিমা’। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, গণেশ, কার্তিক এমনকী মহিষাসুর পর্যন্ত মুক্তোয় তৈরি। শ্বেতমুক্তোর উপর বিভিন্ন হাল্কা রঙের প্রলেপ।
মণ্ডপ নির্মিত হয়েছিল তাইল্যান্ডের একটি বৌদ্ধ মন্দিরের আদলে।
মুক্তোর প্রতিমার পাশাপাশি জমজমাট ছিল আলোকসজ্জাও। মূল প্রবেশদ্বারে নির্মিত হয়েছিল প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের বিশাল প্রতিরূপ। সন্ধে থেকেই সেই টাওয়ার সেজে উঠেছে উজ্জ্বল আলোয়। এ ছাড়া আলোকসজ্জাতেই প্রদর্শিত হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক আন্দোলনের নানা মুহূর্ত। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর শপথগ্রহণ, মহাকরণে প্রথম প্রবেশের সে দৃশ্যও তুলে ধরা হয়েছিল আলোর মাধ্যমে।
|
বহু বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে দুর্গাপুজো করে আসছে বনগাঁ মতিগঞ্জ ঐক্য সম্মিলনী। গত শতাব্দীর ছয়ের দশকের মাঝামাঝি এই বারোয়ারি দুর্গাপুজোর সূত্রপাত। কাজেই গত বছর ছিল তাদের ৪৫ বছরের পুজো।
|
প্রত্যেকবার পুজোর সময় ঐক্য সম্মিলনী একটি সাহিত্য পত্রিকাও প্রকাশ করে। এ ছাড়া দুঃস্থ মানুষদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ করা হয় ষষ্ঠীর দিন। আর অষ্টমীর দিন প্রচুর মানুষ ও দর্শনার্থীদের খাওয়ানো হয় পুজোর ভোগ। |
এ বারও ঐক্য সম্মিলনী বেশ বড় করেই পুজোর আয়োজন করছে। কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রকের আদলে তৈরি হবে মণ্ডপ। আলোকসজ্জায় তুলে ধরা হবে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনি। খুঁটি পুজোও হয়েছে ধুমধামের সঙ্গে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “বনগাঁর দুর্গাপুজোর একটা ঐতিহ্য আছে। লাখ লাখ মানুষ এখানকার পুজো দেখতে আসেন। আসলে দর্শকদের চাহিদা থেকেই আমরা প্রতি বার ভাল পুজো করতে বাধ্য হই।” |