উত্তরবঙ্গ: মালদহ |
বিবেকানন্দ স্মৃতি সংসদের পুজো |
শুধু গত বছরই নয়, উত্তর মালদহের পুজোগুলির মধ্যে প্রতি বছরই বিবেকানন্দ স্মৃতি সংসদের পুজো দর্শনার্থীদের অন্যতম আকর্ষণ। কিন্তু গত বছর প্রতিমা ও মণ্ডপসজ্জায় চমক দিয়ে নিজেদেরই আগের সব রেকর্ডকে পেছনে ফেলে দেয় ওই ক্লাব। বাঁশ ও বেত দিয়ে তৈরি দেবী প্রতিমা তো ছিলই। পাশাপাশি মণ্ডপেও ছিল অসাধারণত্ব। মণ্ডপে হরেক রকমের নিখুঁত কারুকাজ গ্রাম্য পরিবেশকে ছাপিয়ে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল বনেদিয়ানায়। মালদহ প্রেস ফটোগ্রাফার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে উত্তর মালদহের শ্রেষ্ঠ পুজোর সন্মান পেয়েছিল এই পুজো। এ ছাড়াও মালদহের স্পন্দন ক্লাব ও রোটারি ক্লাবের তরফেও একই সম্মান মিলেছিল। স্থানীয় একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমও বিশেষ শারদ সন্মান জানায়।
|
|
পুজোর শুরু |
এ বার ওই ক্লাবের পুজো ৩২ বছরে পড়বে। ১৯৭৫ সালে তৈরি হয় বিবেকানন্দ স্মৃতি সংসদ। ব্লকের আবাসনে যে পুজো হত তার দায়িত্ব প্রথমে দেওয়া হত বিবেকানন্দ স্মৃতি সংসদকে। কিন্তু পরে সদস্যরাই ঠিক করেন যে ব্লকের পুজো পরিচালনা না করে নিজেদের উদ্যোগেই পুজো করা হবে। ১৯৮১ থেকে শুরু হয় পুজো।
|
পুজোর বৈশিষ্ট্য |
দেবী প্রতিমা, মণ্ডপসজ্জা, মানানসই আলোকসজ্জার পাশাপাশি প্রতি বছরই নবমীর দিন দর্শনার্থীদের পেট পুরে খিচুড়ি খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করেন উদ্যোক্তারা। ওই পুজোর বিসর্জনও কম আকর্ষণীয় নয়। মুর্শিদাবাদের দেবগ্রাম থেকে নিয়ে আসা হয় তাসা-ব্যান্ড পার্টি। সুসজ্জিত ট্যাবলোয় গোটা চাঁচল ঘোরার পর প্রতিমা বিসর্জন হয়। পুজো কমিটির সম্পাদক সৌরভ সরকার বলেন, “আশা করছি গত বছরের শিরোপার সম্মান এ বছরও আমরা ধরে রাখতে পারব।”
|
এ বারের পুজোয় |
প্রতি বছরই নানা চমক থাকে এই পুজোয়। এ বারও সেই চমক দিতে চলছে জোরদার প্রস্তুতি। ক্লাব সূত্রেই জানা গিয়েছে, এ বার পুজোর মণ্ডপ দক্ষিণের তিরুপতি মন্দিরের আদলে তৈরি করা হবে। সুদৃশ্য মন্দিরের পাশাপাশি প্রতিমাও হবে তিরুপতির আদলে, কালচে রঙের। প্রতিমা তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালদহের শিল্পী সুকুমার পণ্ডিতকে। গত বছর বাঁশ ও বেতের তৈরি প্রতিমা গড়ে নজর কেড়েছিলেন সুকুমারবাবু।
উত্তর মালদহের মধ্যে সেরা পুজোর সম্মান এ বছরও ধরে রাখতে দু’মাস আগে থেকেই কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছেন ক্লাব সদস্যরা। বেড়েছে গত বারের তুলনায় পুজোর বাজেটও। |
তথ্য ও ছবি: বাপি মজুমদার
|
|
|
|