বাঁকুড়া |
মধ্য কেন্দুয়াডিহি আদি সর্বজনীন |
থিমের নাম ‘আমার বাংলা’। আর তাতেই বাজি মাত। এই থিম দিয়ে বাঁকুড়াবাসীর মন জয়ের পাশাপাশি তাদের পুজোর ৭৮তম বর্ষে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ২০১১ সালের সেরা পুজোর খেতাবটাও জিতে নিয়েছিল মধ্য কেন্দুয়াডিহি আদি সর্বজনীন। ওই পুজো কমিটির সম্পাদক অরিন্দম ঘোষাল বলেন, “এই যান্ত্রিক শহরের জটিল জীবনে মানুষ হাঁফিয়ে ওঠে, তাই পুজোর চারটি দিন শান্তির গ্রামীণ পরিবেশ উপহার দিতে চেয়েছিলাম, আর সেই কাজে আমরা সফল হয়েছি।”
খড়ের চালার মাটির বাড়ি। পাশে গোয়ালে বাঁধা রয়েছে গরু। গোয়াল ঘরের দেওয়ালে রাখা গরুর গাড়ির একটি চাকা। মাটিতে হাল, লাঙল-সহ চাষের প্রয়োজনীয় উপকরণ। বাড়ির উঠোনে ধানের গোলার পাশে স্তূপীকৃত খড়ের আঁটি। এখানেই শেষ নয়! গ্রামীণ মন্দির, তার পাশেই খেজুর গাছ পরিবৃত পুকুর, আর তাতে চরে বেড়াচ্ছে হাঁসের দল।
পুরো চিত্রটাকে আরও বাস্তবের সঙ্গে মেলাতে ছিল দু’জন সাঁওতালি ধামসা-মাদল বাদকও।
|
|
পুজোর শুরু |
এই পুজো শুরু হয় ১৯৩৩ সালে। সেই সময় থেকেই কমিটির উদ্যোক্তারা নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজো করে আসছেন।
|
পুজোর বৈশিষ্ট্য |
থিমের পাশাপাশি পঞ্চমীর দিন রক্তদান ও স্বাস্থ্য শিবির, ষষ্ঠীতে বস্ত্র বিতরণ ও নরনারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল। অরিন্দমবাবু বলেন, “সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা ভেবেই পুজোর পাশাপাশি এই সব অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।’’
|
এ বারের পুজোয় |
থিম নিয়ে প্রতি বছরই প্রত্যেকটি পুজো কমিটির মধ্যে একটা চাপানউতোর চলতে থাকে। শেষ হাসিটা কে হাসবে তা নিয়েও থাকে একটা চাপা উত্তেজনা। তাই থিম কী হবে তা নিয়ে প্রত্যেক কমিটিই পুজোর আগে থেকেই মুখে কুলুপ আঁটে। মধ্য কেন্দুয়াডিহি আদি সর্বজনীনের এ বারের থিম সম্পর্কে পুজোর উদ্যোক্তারা খোলসা করে না বললেও একটা আভাস দিয়েছেন। রামচন্দ্রের দুর্গাপুজো শুরু থেকে আধুনিক দুর্গাপুজোর চিত্র ফুটিয়ে তোলা হবে মণ্ডপে। এক কথায় বলতে গেলে ‘দুর্গা পুজোর উত্তরণ’। |
তথ্য: রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
ছবি: অভিজিত্ সিংহ |
|
|
|